দিল্লি, 5 মার্চ : দেশে এখনও পর্যন্ত কোরোনায় আক্রান্ত হয়েছেন 29 জন ৷ কোরোনার মোকাবিলা নিয়ে রাজ্যসভায় কথা বলতে গিয়ে আজ স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, "আমরা এখন নতুন এক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি ৷ কোরোনার মোকাবিলা করতে আমরা আগ্রায় এক বিশেষ পরীক্ষাকেন্দ্র গড়ে তুলেছি ৷" তবে এখনই ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই বলেও উল্লেখ করেন হর্ষবর্ধন ৷ জানান, প্রধানমন্ত্রী নিজে কোরোনার মোকাবিলার বিষয়টির উপর নজর রাখছেন ৷
তিনি আরও বলেন, আমরা ইরানে আটকে পড়া ভারতীয় পড়ুয়া ও তীর্থযাত্রীদের নিয়ে বেশি চিন্তিত ৷ সরকার ইরানের পরিস্থিতির উপর সবসময় নজর রাখছে ৷ তিনি আরও বলেন, " এখনও পর্যন্ত 29 জনের শরীরে কোরোনার সংক্রমণ মিলেছে ৷ তাদের মধ্যে কেরালার যে তিনজনের শরীরে সংক্রমণ মিলেছিল, তাদের ইতিমধ্যেই হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে ৷ দিল্লিতে যার শরীরে ভাইরাসের সংক্রমণ মিলেছে, সে এর আগে ইট্যালিতে গেছিল ৷"
রাজ্যসভায় দাঁড়িয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও জানান, "স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে 17 জানুয়ারি থেকে কোরোনা মোকাবিলার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া শুরু হয়ে গেছিল ৷ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উপদেশের অনেক আগে থেকেই আমরা প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করে দিয়েছিলাম ৷ গতকাল পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সবমিলিয়ে 6 লাখ 11 হাজার 176 জন যাত্রীর স্বাস্থ্যপরীক্ষা করা হয়েছে ৷"
স্বাস্থ্যপরীক্ষা নিয়ে নয়া বিধি আগেই জারি করে দেওয়া হয়েছিল স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে ৷ আজ সেই কথা আরও একবার রাজ্যসভায় তুলে ধরেন তিনি ৷ বললেন, " শুধুমাত্র তালিকাভুক্ত 12 টি দেশই নয়, এখন থেকে সব দেশ থেকে আসা যাত্রীদেরই স্বাস্থ্যপরীক্ষা করাতে হবে ৷"
গতকালই সাংবাদিক বৈঠক চলাকালীন হর্ষবর্ধন জানিয়েছিলেন, তিনি দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন ৷ দিল্লির সমস্ত হাসপাতালগুলিতে আইসোলেশন ওয়ার্ড প্রস্তুত রাখার জন্যও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি ৷ গতকাল নতুন করে 22 জনের শরীরে ভাইরাসের সংক্রমণের খবর সামনে আসে ৷ এরপরেই দিল্লির সমস্ত স্কুলগুলিকে নির্দেশিকা পাঠায় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক ৷ ওই নির্দেশিকায় স্কুলগুলিতে পড়ুয়ারা যাতে এক জায়গায় অনেকে একসঙ্গে ভিড় না করে সেই দিকে নজর রাখতে বলা হয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষগুলিকে ৷ কোনও পড়ুয়া বা শিক্ষক বা শিক্ষাকর্মী যদি বিগত 28 দিনে কোরোনা সংক্রমিত কোনও দেশে গিয়ে থাকে, তবে তাকে যেন 14 দিন বাড়িতে পৃথকভাবে পর্যবেক্ষণে রাখা হয় ৷