তিরুবনন্তপুরম, 10 জুলাই : কেরালার সোনা পাচারের ঘটনার তদন্তে নামছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (NIA) ৷ জানাল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ৷ কেরালায় সম্প্রতি যে 30 কেজি সোনা পাচারের খবর সামনে এসেছে, তারই তদন্তভার নিল NIA ৷ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, "এই ধরনের সংগঠিত পাচারচক্র জাতীয় নিরাপত্তার জন্য চিন্তাজনক ৷" এদিকে কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন গতকাল প্রধানমন্ত্রীকে পাঠানো এক চিঠিতে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করার আবেদন জানিয়েছেন ৷ পাশাপাশি, কেরালার প্রশাসনের থেকেও পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি ৷
এই সোনা পাচারের ঘটনায় জড়িত রয়েছে কেরালার মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর ৷ এমনই অভিযোগ তুলেছে বিরোধী আসনে থাকা কংগ্রেস ও BJP শিবির ৷ এরপর থেকেই শুরু হয় রাজনৈতিক তরজা ৷ আর এইসবের মধ্যেই জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে ঘটনার তদন্তভার তুলে দিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ৷
তিরুবনন্তপুরম বিমানবন্দরের কাস্টমস বিভাগের তরফে জানানো হয়েছিল, কেরালায় সংযুক্ত আরব আমিরশাহির দূতাবাসের নাম করে সোনাগুলি পাচার হচ্ছিল ৷ এদিকে ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি ৷ UAE থেকে বলা হয়েছে, "যে এমন কাজ করে ভারতে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির সম্মান নষ্ট করেছে, তাঁকে রেয়াত করা হবে না ৷"
কাস্টমস বিভাগের তরফে আরও বলা হয়েছে, কেরালায় সংযুক্ত আরব আমিরশাহির দূতাবাসের প্রাক্তন কর্মী স্বপ্না সুরেশের নামে ওই ব্যাগ ছিল ৷ জানা গেছে, তিনি কেরালা সরকারের তথ্য ও প্রযুক্তি দপ্তরেও চুক্তিভিত্তিক কর্মী ৷ তবে ঘটনার সঙ্গে কেরালার সরকারের কোনও যোগ নেই বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন ৷
তিনি বলেছেন, "সোনা পাচারের সঙ্গে যে মহিলার নাম উঠে এসেছে, তাঁর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরের কোনও যোগাযোগ নেই ৷ তথ্য ও প্রযুক্তি দপ্তরের সঙ্গেও যোগ নেই ৷ এই সোনা পাচারের ঘটনাকে কীভাবে রাজ্য সরকারের সঙ্গে যোগ করা হচ্ছে ? কোনও সরকারি দপ্তরের কাছে ওই ব্যাগটি আসেনি ৷ ব্যাগটি আসছিল সংযুক্ত আরব আমিরশাহির দূতাবাসের জন্য ৷ সেখানে যদি কোনও গাফিলতি থাকে, তবে তার জন্য রাজ্য সরকার কীভাবে দায় নেবে ? এর মধ্যে রাজ্যের কোনও ভূমিকা নেই ৷"