দিল্লি, 26 ডিসেম্বর : আগামী বছরের প্রথম দিন মহাত্মা গান্ধির উপর একটি নতুন বই প্রকাশিত হতে চলেছে। যে বইয়ের নাম 'মেকিং অফ আ হিন্দু প্যাট্রিয়ট : ব্যাকগ্রাউন্ড অফ গান্ধীজি'স হিন্দু স্বরাজ'। জে কে বাজাজ ও এম ডি শ্রীনিবাসের লেখা এই বইটি প্রকাশ করবেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের প্রধান মোহন ভাগবত। লেখকরা জানিয়েছেন, এই বইয়ে ধর্মীয় দেশাত্মবোধের প্রেক্ষিতে 'হিন্দু স্বরাজ' এর বিবর্তনের কথা বলা হয়েছে। লেখকদের মতে, গান্ধীজি ছিলেন একজন হিন্দু দেশপ্রেমিক। তিনি সম্ভবত সেরা দেশভক্ত মহাত্মা।
জে কে বাজাজ সেন্টার ফর পলিসি স্টাডিজের প্রতিষ্ঠাতা ডিরেক্টর। আর এম ডি শ্রীনিবাস ওই সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান। বাজাজ জানিয়েছেন, তাঁরা হিন্দু স্বরাজের বিষয়টি গান্ধীজির ভাষাতেই আরও বড় করে তুলে ধরেছেন। তাঁদের মতে, গান্ধীজি সব সময় নিজেকে একজন হিন্দু হিসেবেই দেখতেন। সম্ভবত অন্যদের থেকে ভালো হিন্দু।
লেখকদের বক্তব্য, বিভিন্ন সভ্যতার মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ গড়ে ওঠার কারণে গান্ধীজি ছোটো শহরের সাধারণ হিন্দুদের বিশ্বাস সম্বন্ধে গভীরভাবে চিন্তা ভাবনা করেছিলেন। যা তিনিও শৈশব থেকে করে এসেছিলেন।
এই বইটি প্রকাশিত হতে চলেছে হর আনন্দ প্রকাশনী থেকে। হাজারের বেশি পাতার এই বই বলছে, দক্ষিণ আফ্রিকায় কিছু শুভাকাঙ্খী তাঁকে ধর্মান্তরিত হওয়ার জন্য চাপ দেয়। তার পরই তিনি নিজের ধর্ম সম্পর্কে আরও জানতে শুরু করেন। অন্য ধর্ম নিয়ে জানার কাজ শুরু করেন তিনি। তার পর তিনি হিন্দু হিসেবে নিজের দায়িত্ব ও মানে সম্পর্কে সুনিশ্চিত হন। ভারতীয় ও আধুনিক পশ্চিমী সভ্যতা নিয়েও তিনি পড়াশোনা করেন। লেখকরা তাই মনে করছেন ধর্মীয় দেশাত্মবোধের ক্ষেত্রে 'হিন্দু স্বরাজ' লেখাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
এর আগে এই লেখকরা 2011 সালে 'হিন্দু স্বরাজ' এর একটি সঠিক সংস্করণ প্রকাশ করেছিলেন। তখন বইটি উদ্বোধন করেছিলেন মোহন ভাগবত ও গুজরাতের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এবার ভাগবত রাজঘাটের গান্ধি দর্শনে নতুন বইটির উদ্বোধন করবেন।
আরও পড়ুন: দেশের প্রথম চালকহীন মেট্রোর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
হিন্দু স্বরাজ বইটি গান্ধীজি লিখেছিলেন 1909 সালে। প্রথমে তিনি বইটি গুজারাতি ভাষায় লেখেন। পরে এটি ইংরেজিতে অনুবাদ করেন।