পিথোরাগড়, 18 জুন : নেপালের পার্লামেন্টে পাশ হয়ে গেছে মানচিত্রে বদল সংক্রান্ত সংবিধান সংশোধনী বিল । গতমাসে নেপালের নতুন যে মানচিত্র প্রকাশ করা হয়েছিল তাতে ভারতের মূল ভূখণ্ডের বেশ কিছু এলাকা নেপালের সীমানার অন্তর্ভুক্ত বলে দাবি করা হয় । সীমান্তের কালাপানি, লিপুলেখ পাস, লিম্পিয়াধুরা-সহ বেশকিছু এলাকা যা ভারতের অন্তর্ভুক্ত, তা নেপালের বলে দাবি করা হয়েছিল মানচিত্রে । এরই মাঝে নেপালের সেনাপ্রধান পুরন চন্দ্র থাপা ও নেপালের সশস্ত্র বাহিনীর IG শৈলেন্দ্র স্বানল ঘুরে দেখলেন দারচুলা সীমান্ত চেকপোস্ট । এই দারচুলা চেকপোস্ট বিতর্কিত কালাপানি এলাকা থেকে খুবই কাছে ।
দারচুলা চেকপোস্টের পাশাপাশি সদ্য তৈরি হওয়া ছাঙ্গ্রু পোস্টও পরিদর্শন করেন তাঁরা । নেপালের সশস্ত্র বাহিনীর জন্য ছাউনিটি তৈরি করা হয়েছে । পরে আকাশপথেও ছাউনি ও তার আশপাশের এলাকাগুলি ঘুরে দেখেন তাঁরা । ভারত-নেপাল সীমান্ত সমস্যা শুরু হওয়ার পর থেকে এই প্রথমবার এই সেনা ছাউনি পরিদর্শনে আসলেন সেনাপ্রধান ।
কূটনীতিকরা বলছেন, নেপালের সেনাপ্রধানের সীমান্ত পরিদর্শনের বিষয়টি নজরে রেখেছে ভারত । নেপালের সেনাপ্রধানের এই সীমান্ত পরিদর্শন মোটেই ভালো চোখে দেখছে না দিল্লি । প্রসঙ্গত, ভারত-নেপাল সীমান্ত জট শুরু হওয়ার পর থেকে নিজেদের শক্তি বাড়ানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে নেপাল ।
এদিকে নেপালের সেনাপ্রধানের সীমান্ত পরিদর্শনের পর থেকে কড়া সতর্কতা জারি করা হয়েছে সীমান্ত এলাকাগুলিতে । পাশাপাশি সশস্ত্র সীমা বলও (SSB) সীমান্ত বরাবর টহলাদারি বাড়িয়ে দিয়েছে । কালাপানি নদী এলাকায় দেওয়া হচ্ছে বাড়তি নজর ।
গতমাসে নেপালের তরফে যে মানচিত্র প্রকাশ করা হয়েছিল, তাতে সীমান্ত সংলগ্ন ভারতীয় ভূখণ্ডের পার্বত্য এলাকার বেশ কিছু এলাকা নিজেদের বলে দাবি করা হয় । এই নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল ভারত সরকার । দিল্লির তরফে বলা হয়েছিল, "নেপালের এই মানচিত্রের কোনও ঐতিহাসিক ভিত্তি নেই এবং একতরফাভাবে এই মানচিত্র তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ।" নতুন যে মানচিত্র তৈরি করা হয়েছিল তাতে, কালাপানি, লিপুলেখ পাস ও লিম্পিয়াধুরাসহ কালী নদীর পূর্বপাড়ের বেশ কিছু এলাকা নেপালের ভূখণ্ডের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে । এই এলাকাগুলি কূটনৈতিকভাবে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ । 1962 সালের ভারত-চিন যুদ্ধের পর থেকে এই এলাকাগুলির কূটনৈতিক গুরুত্ব আরও বেড়ে গেছে ।