ETV Bharat / bharat

কোরোনা : ব্যক্তিগত সুরক্ষার মাধ্যমেই সম্ভব জাতীয় সুরক্ষা

ডিরেক্টর অব ইনস্টিটিউট অব প্রিভেনটিভ মেডিসিন সতর্ক করে আশঙ্কা প্রকাশ করে জানিয়েছে যে, বস্তি এলাকা থেকে কোরোনা ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি । এই রিপোর্ট সামনে আসার পর তেলঙ্গানা হাইকোর্ট একটি নির্দেশিকায় সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে, বস্তি এলাকায় যথেষ্ট পরিমাণে জলের ব্যবস্থা করতে ও বস্তির পাশেই বিশেষ ওয়ার্ড তৈরি করতে ৷

COVID-19
COVID-১৯
author img

By

Published : Mar 18, 2020, 1:35 PM IST

দিল্লি: COVID-19, যে রোগটিকে বিল গেটস বলেছেন এই শতকে হানা দেওয়া এক মারাত্মক ব্যাধি, তা ইতিমধ্যেই বিশ্ব জুড়ে দেড় লক্ষের বেশি মানুষকে আক্রান্ত করে সামাজিক থেকে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রগুলিকে ধ্বংস করে চলেছে । বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যদিও বিশ্বাস করে যে, এই ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়া প্রতিরোধ করা সম্ভব, তবুও ভারত-সহ 80টি দেশ এখন এক ভয়ঙ্কর অবস্থায় দাঁড়িয়ে । রোগের কেন্দ্রস্থল চিনে এই ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া আটকানো গিয়েছে ঠিকই, কিন্তু ইরান, ইট্যালি, দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপানের মতো দেশে মৃত্যুর হার বেড়েই চলেছে । ইট্যালি থেকে 24 জন সংক্রামিত ব্যক্তির মাধ্যমে 14টি দেশে এবং ইরান থেকে 97 জন সংক্রামিতের মাধ্যমে ১৪টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে এই মারণ ভাইরাস । ভারতে 30টি সংক্রামিত কেসের মধ্যে অর্ধেকই ইটালির পর্যটক । রোগীদের চিহ্নিত করতে সরকার সব রাজ্যে ইন্টিগ্রেটেড ডিজিজ সারভেইল্যান্স প্রোগ্রাম (IDSP) চালু করেছে । দেশের 21 টি বিমানবন্দর ও 65টি নৌবন্দরগুলিতে দেশ-বিদেশ থেকে আগত যাত্রীদের চলছে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ।

ডিরেক্টর অব ইনস্টিটিউট অব প্রিভেনটিভ মেডিসিন সতর্ক করে আশঙ্কা প্রকাশ করে জানিয়েছে যে, বস্তি এলাকা থেকে কোরোনা ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি । এই রিপোর্ট সামনে আসার পর তেলঙ্গানা হাইকোর্ট একটি নির্দেশিকায় সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে, বস্তি এলাকায় যথেষ্ট পরিমাণে জলের ব্যবস্থা ও বস্তির পাশেই বিশেষ ওয়ার্ড তৈরি করতে । কাশি এবং হাঁচির মাধ্যমে যাতে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে না পারে, তার জন্য বস্তিবাসীদের মধ্যে স্যানিটাইজার ও মাস্ক বিলি করতেও নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট । চিনে প্রতি বর্গকিলোমিটারে যেখানে জনঘনত্ব 148, সেখানে ভারতে এই অনুপাত 420 । কোনও ভাবে যদি COVID-19 এ দেশের অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ বস্তি এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে, তা হলে তার প্রভাব যে কতটা মারাত্মক হতে পারে, তা বলাই বাহুল্য । কোরোনার বিরুদ্ধে এই যুদ্ধে দেশের প্রতিটি নাগরিককে সৈনিক হতে হবে । রক্ষা করতে হবে নিজেকে এবং দেশকে ।

COVID-19
সমগ্র বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে কোরোনা ভাইরাস

COVID-19-কে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্যানডেমিক বলে ঘোষণা করতে নারাজ হলেও চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং জানিয়েছিলেন যে, এই মারণ ভাইরাস এখনও পূর্ণ শক্তি নিয়ে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেনি । এই তথ্য যথেষ্ট ভয়ের । শুধুমাত্র চিনে 80 হাজারেরও বেশি কোরোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীর মধ্যে তিন হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে, ছয় হাজার কোরোনা আক্রান্ত এখনও এই রোগের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালাচ্ছে । বেশ কিছু রিপোর্টে জানা গিয়েছিল যে, চিনের একটি স্থানীয় পরীক্ষাগারে কোভিড-19 তৈরি করা হয়েছিল । চিনের পর এই মারণ ভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি ইট্যালি(148), ইরান (107) এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় (35) । আমেরিকা-সহ একাধিক উন্নত দেশে এই ভাইরাসের আতঙ্কের কারণ খুবই সরল । মানবদেহে সংক্রমণ ঘটাতে পারে, করোনা ভাইরাসের এমন সাতটি প্রকারের মধ্যে চারটি অতটাও ভয়ঙ্কর নয় । কিন্তু MERS বা SARS-এর মতো বাকি তিনটি প্রকারের সঙ্গে নোভেল কোরোনা ভাইরাসের প্রধান পার্থক্য হল— এর এখনও কোনও প্রতিষেধক খুঁজে পাওয়া যায়নি ।

পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে, কোরোনা আক্রান্তদের 80 শতাংশের ক্ষেত্রেই সংক্রমণ ততটা মারাত্মক নয় । 18 শতাংশের ক্ষেত্রে তা ভয়ঙ্কর এবং বাকি দুই শতাংশের ক্ষেত্রে তা প্রাণঘাতী । ঠিক 100 বছর আগে স্প্যানিশ ফ্লু বিশ্বের 40 শতাংশকে আক্রান্ত করে ফেলেছিল এবং এর ফলে মারা গিয়েছিলেন প্রায় পাঁচ কোটি মানুষ । 1957৭ সালে হওয়া এশিয়ান ফ্লু-তে মারা গিয়েছিলেন 20 লক্ষ মানুষ । 1968 সালে হংকং ফ্লু-তে মৃত্যু হয় 33 হাজার মানুষের । এই ধরনের ভয়ঙ্কর সব অভিজ্ঞতা থাকায় কোভিড-19-এর হানায় জনস্বাস্থ্যের ক্ষতি নিয়ে ত্রস্ত গোটা বিশ্ব । জনস্বাস্থ্য নীতির অনুপস্থিতি এবং পরিচ্ছন্নতার সামান্যতম পাঠ না থাকায় ভারতের বেশির ভাগ মানুষের মধ্যে কোরোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়লে কী ভাবে তার মোকাবিলা করা সম্ভব, তা ভেবেই শিউড়ে উঠছেন বিশেষজ্ঞরা । ডিসেম্বরে যখন করোনা ভাইরাস প্রথম আঘাত হানে, তখন এর ব্যাপকতা আন্দাজ করতে পারেনি চিন । কিন্তু শীঘ্রই এর ব্যাপকতা বুঝতে পেরে দ্রুত পদক্ষেপ করে চিনের প্রশাসন । মাত্র নয় দিনের মধ্যে চিনা সরকার একটি এক হাজার শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল তৈরি করে ফেলে, যেখানে 24 ঘণ্টা চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণ চলে । এই ভয়ঙ্কর রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে চিনে মৃত্যু হয়েছে অন্তত 200 জন স্বাস্থ্যকর্মীর । আরোগ্য লাভ করা রোগীদের কয়েক জনের ফের এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা সামনে আসায় COVID-19-এর বিরুদ্ধে লড়াই আরও কঠিন হয়েছে ।

তিন জন বিদেশি পর্যটককে আইসোলেশনে রাখার কেরল সরকারের দ্রুত সিদ্ধান্তে এই ভাইরাস রাজ্যে সে ভাবে ছড়িয়ে পড়তে পারেনি । অভিবাসন কর্মী, পুলিশ, পঞ্চায়েত কর্মী, স্বাস্থ্যকর্মী এবং চিকিৎসকদের ক্ষমতা বাড়িয়ে রোগ প্রতিরোধ করার পরিকল্পনা প্রাথমিক ভাবে সফল হয়েছে । এক ধাপ এগিয়ে কেরল সরকার রাজ্যবাসীদের মধ্যে সচেতনতার প্রচারে জোর দিয়েছে । নিপা সংক্রমণ থেকে শিক্ষা কোরোনা ভাইরাস নিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ করেছে সরকার । রাজ্যের প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলির দ্রুত পদক্ষেপ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করেছে । এখন সরকারের উচিত জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং গুজব রুখতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া । সাধারণ মানুষের মধ্যে পরিচ্ছন্নতার পাঠ কঠোর ভাবে প্রয়োগ করতেও পদক্ষেপ করতে হবে সরকারকে ।

দিল্লি: COVID-19, যে রোগটিকে বিল গেটস বলেছেন এই শতকে হানা দেওয়া এক মারাত্মক ব্যাধি, তা ইতিমধ্যেই বিশ্ব জুড়ে দেড় লক্ষের বেশি মানুষকে আক্রান্ত করে সামাজিক থেকে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রগুলিকে ধ্বংস করে চলেছে । বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যদিও বিশ্বাস করে যে, এই ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়া প্রতিরোধ করা সম্ভব, তবুও ভারত-সহ 80টি দেশ এখন এক ভয়ঙ্কর অবস্থায় দাঁড়িয়ে । রোগের কেন্দ্রস্থল চিনে এই ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া আটকানো গিয়েছে ঠিকই, কিন্তু ইরান, ইট্যালি, দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপানের মতো দেশে মৃত্যুর হার বেড়েই চলেছে । ইট্যালি থেকে 24 জন সংক্রামিত ব্যক্তির মাধ্যমে 14টি দেশে এবং ইরান থেকে 97 জন সংক্রামিতের মাধ্যমে ১৪টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে এই মারণ ভাইরাস । ভারতে 30টি সংক্রামিত কেসের মধ্যে অর্ধেকই ইটালির পর্যটক । রোগীদের চিহ্নিত করতে সরকার সব রাজ্যে ইন্টিগ্রেটেড ডিজিজ সারভেইল্যান্স প্রোগ্রাম (IDSP) চালু করেছে । দেশের 21 টি বিমানবন্দর ও 65টি নৌবন্দরগুলিতে দেশ-বিদেশ থেকে আগত যাত্রীদের চলছে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ।

ডিরেক্টর অব ইনস্টিটিউট অব প্রিভেনটিভ মেডিসিন সতর্ক করে আশঙ্কা প্রকাশ করে জানিয়েছে যে, বস্তি এলাকা থেকে কোরোনা ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি । এই রিপোর্ট সামনে আসার পর তেলঙ্গানা হাইকোর্ট একটি নির্দেশিকায় সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে, বস্তি এলাকায় যথেষ্ট পরিমাণে জলের ব্যবস্থা ও বস্তির পাশেই বিশেষ ওয়ার্ড তৈরি করতে । কাশি এবং হাঁচির মাধ্যমে যাতে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে না পারে, তার জন্য বস্তিবাসীদের মধ্যে স্যানিটাইজার ও মাস্ক বিলি করতেও নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট । চিনে প্রতি বর্গকিলোমিটারে যেখানে জনঘনত্ব 148, সেখানে ভারতে এই অনুপাত 420 । কোনও ভাবে যদি COVID-19 এ দেশের অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ বস্তি এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে, তা হলে তার প্রভাব যে কতটা মারাত্মক হতে পারে, তা বলাই বাহুল্য । কোরোনার বিরুদ্ধে এই যুদ্ধে দেশের প্রতিটি নাগরিককে সৈনিক হতে হবে । রক্ষা করতে হবে নিজেকে এবং দেশকে ।

COVID-19
সমগ্র বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে কোরোনা ভাইরাস

COVID-19-কে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্যানডেমিক বলে ঘোষণা করতে নারাজ হলেও চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং জানিয়েছিলেন যে, এই মারণ ভাইরাস এখনও পূর্ণ শক্তি নিয়ে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেনি । এই তথ্য যথেষ্ট ভয়ের । শুধুমাত্র চিনে 80 হাজারেরও বেশি কোরোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীর মধ্যে তিন হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে, ছয় হাজার কোরোনা আক্রান্ত এখনও এই রোগের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালাচ্ছে । বেশ কিছু রিপোর্টে জানা গিয়েছিল যে, চিনের একটি স্থানীয় পরীক্ষাগারে কোভিড-19 তৈরি করা হয়েছিল । চিনের পর এই মারণ ভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি ইট্যালি(148), ইরান (107) এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় (35) । আমেরিকা-সহ একাধিক উন্নত দেশে এই ভাইরাসের আতঙ্কের কারণ খুবই সরল । মানবদেহে সংক্রমণ ঘটাতে পারে, করোনা ভাইরাসের এমন সাতটি প্রকারের মধ্যে চারটি অতটাও ভয়ঙ্কর নয় । কিন্তু MERS বা SARS-এর মতো বাকি তিনটি প্রকারের সঙ্গে নোভেল কোরোনা ভাইরাসের প্রধান পার্থক্য হল— এর এখনও কোনও প্রতিষেধক খুঁজে পাওয়া যায়নি ।

পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে, কোরোনা আক্রান্তদের 80 শতাংশের ক্ষেত্রেই সংক্রমণ ততটা মারাত্মক নয় । 18 শতাংশের ক্ষেত্রে তা ভয়ঙ্কর এবং বাকি দুই শতাংশের ক্ষেত্রে তা প্রাণঘাতী । ঠিক 100 বছর আগে স্প্যানিশ ফ্লু বিশ্বের 40 শতাংশকে আক্রান্ত করে ফেলেছিল এবং এর ফলে মারা গিয়েছিলেন প্রায় পাঁচ কোটি মানুষ । 1957৭ সালে হওয়া এশিয়ান ফ্লু-তে মারা গিয়েছিলেন 20 লক্ষ মানুষ । 1968 সালে হংকং ফ্লু-তে মৃত্যু হয় 33 হাজার মানুষের । এই ধরনের ভয়ঙ্কর সব অভিজ্ঞতা থাকায় কোভিড-19-এর হানায় জনস্বাস্থ্যের ক্ষতি নিয়ে ত্রস্ত গোটা বিশ্ব । জনস্বাস্থ্য নীতির অনুপস্থিতি এবং পরিচ্ছন্নতার সামান্যতম পাঠ না থাকায় ভারতের বেশির ভাগ মানুষের মধ্যে কোরোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়লে কী ভাবে তার মোকাবিলা করা সম্ভব, তা ভেবেই শিউড়ে উঠছেন বিশেষজ্ঞরা । ডিসেম্বরে যখন করোনা ভাইরাস প্রথম আঘাত হানে, তখন এর ব্যাপকতা আন্দাজ করতে পারেনি চিন । কিন্তু শীঘ্রই এর ব্যাপকতা বুঝতে পেরে দ্রুত পদক্ষেপ করে চিনের প্রশাসন । মাত্র নয় দিনের মধ্যে চিনা সরকার একটি এক হাজার শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল তৈরি করে ফেলে, যেখানে 24 ঘণ্টা চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণ চলে । এই ভয়ঙ্কর রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে চিনে মৃত্যু হয়েছে অন্তত 200 জন স্বাস্থ্যকর্মীর । আরোগ্য লাভ করা রোগীদের কয়েক জনের ফের এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা সামনে আসায় COVID-19-এর বিরুদ্ধে লড়াই আরও কঠিন হয়েছে ।

তিন জন বিদেশি পর্যটককে আইসোলেশনে রাখার কেরল সরকারের দ্রুত সিদ্ধান্তে এই ভাইরাস রাজ্যে সে ভাবে ছড়িয়ে পড়তে পারেনি । অভিবাসন কর্মী, পুলিশ, পঞ্চায়েত কর্মী, স্বাস্থ্যকর্মী এবং চিকিৎসকদের ক্ষমতা বাড়িয়ে রোগ প্রতিরোধ করার পরিকল্পনা প্রাথমিক ভাবে সফল হয়েছে । এক ধাপ এগিয়ে কেরল সরকার রাজ্যবাসীদের মধ্যে সচেতনতার প্রচারে জোর দিয়েছে । নিপা সংক্রমণ থেকে শিক্ষা কোরোনা ভাইরাস নিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ করেছে সরকার । রাজ্যের প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলির দ্রুত পদক্ষেপ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করেছে । এখন সরকারের উচিত জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং গুজব রুখতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া । সাধারণ মানুষের মধ্যে পরিচ্ছন্নতার পাঠ কঠোর ভাবে প্রয়োগ করতেও পদক্ষেপ করতে হবে সরকারকে ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.