হায়দরাবাদ, 26 সেপ্টেম্বর : মুম্বইয়ের করিমি গ্রন্থাগারের ঐতিহ্যবাহী ভবনে রাখা আছে হিন্দু ধর্মতত্ত্বের বিপুল সংখ্যায় উর্দুতে লেখা গ্রন্থ । এই লাইব্রেরি আঞ্জুমান-ই-ইসলামের, যা হল মুম্বইয়ের বৃহত্তম ও প্রাচীনতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান । অন্যতম পুরনো নির্মাণ হওয়া সত্ত্বেও এই গ্রন্থাগার এখনও মজবুত রয়েছে । আঞ্জুমান-ই-ইসলাম একটি 147 বছরের পুরনো প্রতিষ্ঠান, যারা রাজ্যজুড়ে অন্তত 97টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালায়। এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিতে এক লাখেরও বেশি পড়ুয়া রয়েছেন, যাঁরা বিভিন্ন ধর্মের, এবং রয়েছেন তিন হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা। এই প্রতিষ্ঠানগুলির প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীদের একটা বড় অংশ এখন কর্মরত এবং বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে প্রতিষ্ঠিত ।
করিমি গ্রন্থাগারে যে বিপুল সংখ্যায় হিন্দু ধর্মতত্ত্বের দুর্লভ উর্দু বই রয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে রামায়ন ও হনুমান চালিশাও। এই প্রাচীন বইগুলি পাঠকদের কাছে লাইব্রেরিতে সহজেই লভ্য। এদের মধ্যে কিছু বইয়ের পাতা নষ্ট হয়ে ঝুরঝুরে হয়ে গিয়েছে । লাইব্রেরি কর্তৃপক্ষ এই সম্পদকে সংরক্ষণের জন্য সেগুলি ডিজ়িটালাইজ় করার উদ্যোগ নিয়েছে ।
যতদূর আঞ্জুমান-ই-ইসলামের প্রসঙ্গ, এই মহান প্রতিষ্ঠান বিগত প্রায় দেড়শো বছর ধরে একটা ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেছে। এর নেতারা দেশের স্বাধীনতার জন্যও লড়াই করেছেন। আঞ্জুমান একটি ঐতিহাসিক সংস্থা যার নেতারা দেশের স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করেছিলেন। এই নেতাদের অনেকেই স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় জেলে যান । মহামারী বা প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মতো সংকটে এই প্রতিষ্ঠান সবসময়েই মানুষের পাশে থেকেছে । বিপর্যয়ের পর পুনর্বাসনের কর্মকাণ্ডের ইতিহাস রয়েছে তার।
আঞ্জুমান-ই-ইসলাম সবসময়েই "গঙ্গা-যমুনা তেহজিব" (ভারতীয় সভ্যতা ও সংস্কৃতি)-কে সংরক্ষণ ও শক্তিশালী করতে গঠনমূলক ভূমিকা পালন করেছে। 147 বছরের এই সংস্থা সবথেকে পুরনো মুসলিম প্রতিষ্ঠান হওয়ার সম্মান পেয়েছে, যারা দেশের শিক্ষাক্ষেত্রে বিরাট যোগদান রাখছে। এর অধীনে 97টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে, যেখানে এক লক্ষেরও বেশি পড়ুয়া ও তিন হাজার শিক্ষক রয়েছেন।