ভোপাল, 16 মার্চ : মধ্যপ্রদেশের সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে, আর তাই আস্থা ভোট থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন কমল নাথ৷ এমনই অভিযোগ করছেন শিবরাজ সিং চৌহান ৷ বলেন, " মুখ্যমন্ত্রী বলছেন তিনি আস্থা ভোট চান ৷ তবে তিনি কেন আস্থা ভোট করাচ্ছেন না ? আমাদের একমাত্র দাবি হল আস্থা ভোট ৷"
জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া ও তাঁর অনুগামী 22 কংগ্রেস বিধায়ক দল ছেড়ে BJP-র হাত ধরার পর থেকেই মধ্যপ্রদেশে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক টানাপোড়েন ৷ পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে কমল নাথের সরকারের আর সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই, এই দাবি নিয়েই বিধানসভায় অনাস্থা প্রস্তাব আনার পথে এগোচ্ছে গেরুয়া শিবির ৷ এদিকে আজ থেকেই শুরু হচ্ছে মধ্যপ্রদেশের বিধানসভার অধিবেশন ৷ আর অধিবেশেনের প্রথম দিনেই আস্থা ভোট করার কথা বলেছেন রাজ্যপাল লালজি ট্যান্ডন ৷
বিধানসভার স্পিকার নর্মদা প্রসাদ প্রজাপতিকে পাঠানো এক চিঠিতে রাজ্যপাল গতকালই জানিয়েছিলেন, বিধানসভা অধিবেশনের প্রারম্ভিক ভাষণের পরেই যাতে আস্থা ভোট করানো হয় ৷ এই নিয়ে এবার মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথকেও চিঠি পাঠান তিনি ৷ স্পিকারকে পাঠানো চিঠিতে বোতাম টিপে ভোট করানোর কথা বললেও, পরে মুখ্যমন্ত্রীকে পাঠানো ওই চিঠিতে হাত তুলে পক্ষে বা বিপক্ষে জানানোর জন্য বলেছেন রাজ্যপাল ৷ এর কারণ হিসেবে রাজ্যপাল জানিয়েছেন, BJP-র তরফে তাঁকে জানানো হয়েছিল বিধানসভায় ইলেকট্রনিক ভোটদান ব্যবস্থার কোনও উল্লেখ নেই ৷ এই কারণেই সিদ্ধান্ত বদল করেছেন তিনি ৷
রাজ্যপালের চিঠি পাওয়ার পর গতকাল রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন কমল নাথ ৷ সাক্ষাৎ শেষে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানিয়েছিলেন, "রাজ্যপালের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে ৷ আস্থা ভোটের জন্য আমি প্রস্তুত ৷ আগামীকাল বিধানসভার অধ্যক্ষের সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলব ৷" তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, কোরোনা মোকাবিলার ইশু তুলে আস্থা ভোটের দিন পিছোতে পারেন কমল নাথ ৷
এদিকে মধ্যপ্রদেশের BJP সভাপতি ভি ডি শর্মা জানিয়েছেন, "মুখ্যমন্ত্রী কী বলছেন তাতে কিছু যায় আসে না ৷ আজ আস্থা ভোট হবেই ৷ মুখ্যমন্ত্রী ও বিধানসভার অধ্যক্ষ দু'জনকেই এই নিয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন রাজ্যপাল ৷ আমি আশা করব অধ্যক্ষ রাজ্যপালের নির্দেশ মানবেন ৷"
পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য 113 জন বিধায়কের সমর্থন প্রয়োজন ৷ কংগ্রেসের সমর্থনে বর্তমানে রয়েছে 115 জন বিধায়ক ৷ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে যত আসন দরকার, তার থেকে মাত্র দু'টি আসন বেশি ৷ কিন্তু এই রাজনৈতিক টালমাটাল পরিবেশে আস্থা ভোট হলে মধ্যপ্রদেশের পাল্লা কোনদিকে ঝুলবে তা নিয়ে এখনও নিশ্চিত নয় রাজনৈতিক মহল ৷ সিন্ধিয়ার ও তাঁর অনুগামীদের দল ছেড়ে যাওয়ার প্রশ্নের মুখ মধ্যপ্রদেশে কমল নাথের সরকার ৷