ETV Bharat / bharat

"মেয়েটা সুবিচার পেল", চোখে জল নির্ভয়ার মায়ের - against four convicts

আজ নির্ভয়াকাণ্ডে যুক্ত চার দোষীর ফাঁসির নির্দেশ দিল আদালত ৷ বিচারে খুশি বলে জানালেন নির্ভয়ার মা আশাদেবী ৷ মেয়ে বিচার পেল ৷

বিচারে খুশি
বিচারে খুশি
author img

By

Published : Jan 7, 2020, 5:27 PM IST

Updated : Jan 7, 2020, 10:00 PM IST

দিল্লি, 7 জানুয়ারি : 13 দিনের সেই লড়াই আজ স্বার্থকতা পেল !

সে-দিন সুবিচারের দাবিতে হাঁড়কাপানো ঠান্ডায় দিল্লির রাজপথ গর্জে উঠেছিল ৷ দাঁতে দাঁত চেপে সেই লড়াই যেন সফল হল ৷ চার দোষীর সাজা ঘোষণা করল আদালত ৷ ফাঁসির সাজা ৷ সাত বছর ধরে চেপে রাখা চোখের জল আর বাঁধ মানল না ৷ বলে উঠলেন, মেয়েটা সুবিচার পেল ৷

তিনি আশাদেবী ৷ সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের এক গৃহবধূ ৷ পরিচিতি তেমন ছিল না বললেই চলে ৷ কিন্তু, 2012 সালের 16 ডিসেম্বর পালটে দিয়েছিল সব হিসেব-নিকেশ ৷ 23 বছরের মেয়েটাকে ধর্ষণের পর যৌনাঙ্গে লোহার রড ঢুকিয়ে দিয়েছিল দুষ্কৃতীরা ৷ দেহের বাইরে বেরিয়ে এসেছিল জরায়ুর বেশ কিছুটা ৷ জীবন-মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা ৷ 13 দিনের মাথায় থমকে গিয়েছিল নির্ভয়ার লড়াই ৷ আর তারপর সুবিচারের দাবিতে শুরু হয়েছিল আর এক লড়াই ৷ সুবিচারের লড়াই ৷ দাবি ছিল একটাই ৷ চরম শাস্তি ৷ অবশেষে দিল্লির পাতিয়ালা হাউজ় কোর্ট চার দোষীর ফাঁসির সাজা ঘোষণা করল ৷

ভাঙা ভাঙা গলায় বলে উঠলেন, "মেয়েটা বিচার পেল ৷ আজকের রায়ের ফলে দেশের বিচার ব্যবস্থার প্রতি আস্থা বাড়ল ৷" স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে আদালতে হাজির হয়েছিলেন বদ্রীনাথ সিংও (নির্ভয়ার বাবা) ৷ যারা মেয়েটাকে কেড়ে নিয়েছিল, তাদের চরম শাস্তির কথা শুনে নিজেকে ধরে রাখতে পারেননি ৷ আদালত কক্ষেই হাউহাউ করে কেঁদে উঠলেন ৷

না ৷ ক্ষোভ-ভয়-অপমানের নয় ৷ এই কান্না আবেগের ৷ দীর্ঘ লড়াইয়ের পর সাফল্যের ৷ কথায় কথায় বলে ফেললেন, "অনেকগুলো রাত চোখের পাতা এক করতে পারিনি ৷ চোখ বন্ধ করলেই মেয়ের মুখটা ভেসে উঠত ৷ বহুদিন নিজের সঙ্গে লড়াই করেছি ৷ সুবিচারের আশায় আইনের দরজায় দরজায় ঘুরে বেরিয়েছি ৷ আশা ছিল, সুবিচার পাবই ৷"

  • Asha Devi, mother of 2012 Delhi gang-rape victim: My daughter has got justice. Execution of the 4 convicts will empower the women of the country. This decision will strengthen the trust of people in the judicial system. pic.twitter.com/oz1V5ql8Im

    — ANI (@ANI) January 7, 2020 " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data=" ">

গত বছর ডিসেম্বরেই আদালত রায় শোনাতে পারে বলে মনে করা হয়েছিল ৷ কিন্তু, নানা কারণে তা পিছিয়ে যায় ৷ সংবাদমাধ্যম থেকে জেনেছিলেন আজ রায় ঘোষণা হতে পারে ৷ গতকাল সারাটা রাত দু'চোখের পাতা এক করতে পারেননি তাঁরা, নির্ভয়ার বাবা-মা ৷ বার বার মেয়ের ছবিটা বুকে আঁকড়ে ডুকরে কেঁদে উঠছিল মনটা ৷ একে অপরকে সান্তনা দেওয়া ছাড়া আর কিছুই যেন সম্বল ছিল না তাঁদের ৷ রাতের অন্ধকার যত গাঢ় হয়েছে, ততই যেন মেয়ের প্রতি বাবা-মায়ের বুক চাপা কান্নাটা তীব্র হয়েছিল ৷

সকাল হতেই তড়িঘড়ি আদালতে চলে যান আশাদেবী-বদ্রীনাথ সিং ৷ বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষাও করেছিলেন ৷ বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ রায় ঘোষণা হতে আর চেপে রাখতে পারেননি আবেগ ৷

সব শেষে, আদালতের বাইরে তাঁরা যখন দাঁড়িয়ে তামাম সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হচ্ছিলেন, তখনও চোখের কোণটা চিকচিক করছে ৷

শুধু নির্ভয়ার বাবা-মা নন, খুশি দেশের প্রতিটি মানুষ ৷ তবে রায় জানাতে অনেক দেরি করল আদালত বলে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন দিল্লির মহিলা কমিশনের প্রধান স্বাতী মালিওয়াল ৷ বলেন, "দেশের প্রতিটি নির্ভয়ার জয় হল আজ ৷ নির্ভয়ার বাবা-মায়ের সাত বছরের লড়াইকে কুর্নিশ জানাই ৷ কিন্তু, কেন সাত বছর সময় লাগল দোষীদের শাস্তি দিতে? কেন এই সময়টা কমিয়ে আনা গেল না?"

  • Delhi Commission for Women Chief Swati MaliwaI: Strongly welcome this decision. It is a win for all the 'Nirbhayas' living in this country.I salute Nirbhaya's parents who fought for 7 long years. Why has it taken 7yrs to punish these people? Why can't this time period be reduced? pic.twitter.com/ziS9mNxXXD

    — ANI (@ANI) January 7, 2020 " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data=" ">

দিল্লি আদলতের রায়কে সম্মান জানালেন পঞ্জাব মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন মনীষা গুলাটি ৷ বলেন, "এটা খুবই ভালো সিদ্ধান্ত ৷ আমি এটাকে শ্রদ্ধা করি ৷ এবার নির্ভয়ার আত্মা শান্তি পাবে ৷ দেশের প্রতিটি মেয়ে আজ বিচার পেল ৷"

  • Manisha Gulati, Punjab Women Commission Chairperson on Court's verdict in 2012 Delhi gangrape case: It is a very good decision and I respect it. Now the soul of #Nirbhaya will rest in peace. Today every daughter in the country has got justice. pic.twitter.com/xu8CqqCiIo

    — ANI (@ANI) January 7, 2020 " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data=" ">

দিল্লি, 7 জানুয়ারি : 13 দিনের সেই লড়াই আজ স্বার্থকতা পেল !

সে-দিন সুবিচারের দাবিতে হাঁড়কাপানো ঠান্ডায় দিল্লির রাজপথ গর্জে উঠেছিল ৷ দাঁতে দাঁত চেপে সেই লড়াই যেন সফল হল ৷ চার দোষীর সাজা ঘোষণা করল আদালত ৷ ফাঁসির সাজা ৷ সাত বছর ধরে চেপে রাখা চোখের জল আর বাঁধ মানল না ৷ বলে উঠলেন, মেয়েটা সুবিচার পেল ৷

তিনি আশাদেবী ৷ সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের এক গৃহবধূ ৷ পরিচিতি তেমন ছিল না বললেই চলে ৷ কিন্তু, 2012 সালের 16 ডিসেম্বর পালটে দিয়েছিল সব হিসেব-নিকেশ ৷ 23 বছরের মেয়েটাকে ধর্ষণের পর যৌনাঙ্গে লোহার রড ঢুকিয়ে দিয়েছিল দুষ্কৃতীরা ৷ দেহের বাইরে বেরিয়ে এসেছিল জরায়ুর বেশ কিছুটা ৷ জীবন-মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা ৷ 13 দিনের মাথায় থমকে গিয়েছিল নির্ভয়ার লড়াই ৷ আর তারপর সুবিচারের দাবিতে শুরু হয়েছিল আর এক লড়াই ৷ সুবিচারের লড়াই ৷ দাবি ছিল একটাই ৷ চরম শাস্তি ৷ অবশেষে দিল্লির পাতিয়ালা হাউজ় কোর্ট চার দোষীর ফাঁসির সাজা ঘোষণা করল ৷

ভাঙা ভাঙা গলায় বলে উঠলেন, "মেয়েটা বিচার পেল ৷ আজকের রায়ের ফলে দেশের বিচার ব্যবস্থার প্রতি আস্থা বাড়ল ৷" স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে আদালতে হাজির হয়েছিলেন বদ্রীনাথ সিংও (নির্ভয়ার বাবা) ৷ যারা মেয়েটাকে কেড়ে নিয়েছিল, তাদের চরম শাস্তির কথা শুনে নিজেকে ধরে রাখতে পারেননি ৷ আদালত কক্ষেই হাউহাউ করে কেঁদে উঠলেন ৷

না ৷ ক্ষোভ-ভয়-অপমানের নয় ৷ এই কান্না আবেগের ৷ দীর্ঘ লড়াইয়ের পর সাফল্যের ৷ কথায় কথায় বলে ফেললেন, "অনেকগুলো রাত চোখের পাতা এক করতে পারিনি ৷ চোখ বন্ধ করলেই মেয়ের মুখটা ভেসে উঠত ৷ বহুদিন নিজের সঙ্গে লড়াই করেছি ৷ সুবিচারের আশায় আইনের দরজায় দরজায় ঘুরে বেরিয়েছি ৷ আশা ছিল, সুবিচার পাবই ৷"

  • Asha Devi, mother of 2012 Delhi gang-rape victim: My daughter has got justice. Execution of the 4 convicts will empower the women of the country. This decision will strengthen the trust of people in the judicial system. pic.twitter.com/oz1V5ql8Im

    — ANI (@ANI) January 7, 2020 " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data=" ">

গত বছর ডিসেম্বরেই আদালত রায় শোনাতে পারে বলে মনে করা হয়েছিল ৷ কিন্তু, নানা কারণে তা পিছিয়ে যায় ৷ সংবাদমাধ্যম থেকে জেনেছিলেন আজ রায় ঘোষণা হতে পারে ৷ গতকাল সারাটা রাত দু'চোখের পাতা এক করতে পারেননি তাঁরা, নির্ভয়ার বাবা-মা ৷ বার বার মেয়ের ছবিটা বুকে আঁকড়ে ডুকরে কেঁদে উঠছিল মনটা ৷ একে অপরকে সান্তনা দেওয়া ছাড়া আর কিছুই যেন সম্বল ছিল না তাঁদের ৷ রাতের অন্ধকার যত গাঢ় হয়েছে, ততই যেন মেয়ের প্রতি বাবা-মায়ের বুক চাপা কান্নাটা তীব্র হয়েছিল ৷

সকাল হতেই তড়িঘড়ি আদালতে চলে যান আশাদেবী-বদ্রীনাথ সিং ৷ বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষাও করেছিলেন ৷ বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ রায় ঘোষণা হতে আর চেপে রাখতে পারেননি আবেগ ৷

সব শেষে, আদালতের বাইরে তাঁরা যখন দাঁড়িয়ে তামাম সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হচ্ছিলেন, তখনও চোখের কোণটা চিকচিক করছে ৷

শুধু নির্ভয়ার বাবা-মা নন, খুশি দেশের প্রতিটি মানুষ ৷ তবে রায় জানাতে অনেক দেরি করল আদালত বলে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন দিল্লির মহিলা কমিশনের প্রধান স্বাতী মালিওয়াল ৷ বলেন, "দেশের প্রতিটি নির্ভয়ার জয় হল আজ ৷ নির্ভয়ার বাবা-মায়ের সাত বছরের লড়াইকে কুর্নিশ জানাই ৷ কিন্তু, কেন সাত বছর সময় লাগল দোষীদের শাস্তি দিতে? কেন এই সময়টা কমিয়ে আনা গেল না?"

  • Delhi Commission for Women Chief Swati MaliwaI: Strongly welcome this decision. It is a win for all the 'Nirbhayas' living in this country.I salute Nirbhaya's parents who fought for 7 long years. Why has it taken 7yrs to punish these people? Why can't this time period be reduced? pic.twitter.com/ziS9mNxXXD

    — ANI (@ANI) January 7, 2020 " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data=" ">

দিল্লি আদলতের রায়কে সম্মান জানালেন পঞ্জাব মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন মনীষা গুলাটি ৷ বলেন, "এটা খুবই ভালো সিদ্ধান্ত ৷ আমি এটাকে শ্রদ্ধা করি ৷ এবার নির্ভয়ার আত্মা শান্তি পাবে ৷ দেশের প্রতিটি মেয়ে আজ বিচার পেল ৷"

  • Manisha Gulati, Punjab Women Commission Chairperson on Court's verdict in 2012 Delhi gangrape case: It is a very good decision and I respect it. Now the soul of #Nirbhaya will rest in peace. Today every daughter in the country has got justice. pic.twitter.com/xu8CqqCiIo

    — ANI (@ANI) January 7, 2020 " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data=" ">
New Delhi, Jan 07 (ANI): Delhi Police Crime Branch team arrived at Jawaharlal Nehru University to investigate violence that took place on January 05. Violence had broken out in the campus in which more than 30 people were injured. JNUSU President Aishe Ghosh was also attacked in the violence. JNU students are demanding the immediate removal of Vice Chancellor.

Last Updated : Jan 7, 2020, 10:00 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.