দশক পেরিয়ে যাচ্ছি আমরা । স্মৃতির বায়োস্কোপে চোখ রেখে ফিরে দেখার সময় । এই দশ বছরে ভারতীয় ও আন্তর্জাতিক সিনেমায় বহু ছবি বারবার আলোচনায় উঠে এসেছে । বক্সঅফিস হিট হয়েছে প্রচুর ছবি । আবার কোনও কোনও ছবি বক্সঅফিসে সেভাবে সাড়া না ফেললেও সমালোচক ও সমঝদারদের প্রশংসা পেয়েছিল । দশক শেষের দোরগোড়ায় এসে তেমনই কয়েকটি ছবিকে ফিরে দেখা যাক আরও একবার ।
গ্যাংস অফ ওয়াসেপুর (1 ও 2 ) (2012)
অনুরাগ কাশ্যপের অন্যতম আলোচিত ছবি গ্যাংস অফ ওয়াসেপুর 1 ও 2 । ওয়াসেপুরের কয়লা মাফিয়াদের পারিবারিক ও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এবং স্থানীয় রাজনীতি ছবির বিষয়বস্তু । বলিউডের 'লার্জার দ্যান লাইফ' ইওটোপিয়ান ন্যারেটিভকে ভেঙে দৃশ্যায়িত হয়েছিল ডিসটোপিয়া ও ডার্কনেস । এই ছবির জন্য মনোজ বাজপেয়ি সেরা অভিনেতা হিসেবে পেয়েছেন এশিয়া পেসিফিক পুরস্কার । নওয়াজ়উদ্দিন সিদ্দিকি পেয়েছেন জাতীয় পুরস্কার । ছবিটি আন্তর্জাতিক ইন্ডিয়ান ফিল্ম অ্যাকাডেমি পুরস্কার পায় সেরা সংলাপের জন্য । বেস্ট ফিল্ম (ক্রিটিক্স) হিসেবে জিতে নেয় 2013-র ফিল্ম ফেয়ার অ্যাওয়ার্ড । ছবিতে আঞ্চলিক গানের ব্যবহার প্রশংসিত হয়েছিল ।
কাহানি (2012)
সুজয় ঘোষ পরিচালিত কাহানি ছবিটি সাড়া ফেলেছিল দর্শকমহলে । কলকাতার প্রেক্ষাপটে তৈরি ছবিটির প্রধান চরিত্র বিদ্যা বাগচি লন্ডন থেকে কলকাতায় আসেন তাঁর নিখোঁজ স্বামীর খোঁজে । এরপর সময়ের সঙ্গে সঙ্গে খুলতে থাকে একে একে রহস্যের পরত । প্রধান নারী চরিত্রকে কেন্দ্র করে থ্রিলারের এক অসাধারণ স্ক্রিনপ্লে উপহার দিয়েছিলেন সুজয় । সেরা পরিচালক হিসেবে জিতে ছিলেন ফিল্ম ফেয়ার অ্যাওয়ার্ড । স্ক্রিনপ্লে রাইটার হিসেবে জিতেছিলেন জাতীয় পুরস্কারও । বিদ্যা বালান জিতেছিলেন সেরা অভিনেত্রীর ফিল্ম ফেয়ার অ্যাওয়ার্ড ।
কুইন (2013)
বিকাশ বহেল পরিচালিত 'কুইন' 2015 সালে সেরা ছবি হিসেবে ফিল্ম ফেয়ার অ্যাওয়ার্ড পেয়েছিল । প্রধান চরিত্র রানির ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন কঙ্গনা রানাওয়াত । পেয়েছিলেন সেরা অভিনেত্রীর জাতীয় পুরস্কার । ছবির গল্পে জীবনের বাঁধা ছক থেকে বেরিয়ে স্বাধীনতা খুঁজেছিলেন রানি । সেই অর্থে নারী স্বাধীনতাই এই ছবির প্রধান চরিত্র । সমালোচক মহলে প্রশংসিত হয়েছিল, বক্সঅফিসেও সাড়া জাগিয়েছিল 'কুইন' ।
বাহুবলী : দ্য কনক্লুশন (2017) ও বাহুবলী : দ্য বিগিনিং (2015)
ভারতের বিগ বাজেট ছবিগুলির মধ্যে অন্যতম বাহুবলী । বাহুবলী : দ্য বিগিনিং-এ যে রহস্য তৈরি হয়েছিল, বাহুবলীকে কাটাপ্পা কেন মেরেছিল সেই রহস্যের সমাধান হয় দ্য কনক্লুসন পার্টে । গ্রাফিক্সের এরকম অসাধারণ ব্যবহার খুব কম ভারতীয় ছবিতেই এখনও পর্যন্ত দেখা গেছে । বিদেশেও জনপ্রিয় হয় ছবিদুটি ।
মাসান (2015)
- " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data="">
মাসান শব্দের অর্থ 'শ্মশান' । অর্থাৎ মৃত্যুর জঠরে যেন ভালবাসার সূত্রপাত হয়েছিল এই ছবির ন্যারেটিভে । আঞ্চলিক পরিসর ও সংস্কৃতির দৃশ্যায়ন এই ছবির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় । সেরা ডেবিউ পরিচালক হিসেবে এই ছবির পরিচালক নীরজ ঘ্যায়ন পেয়েছিলেন ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড । ইন্ডিয়ান ওশিয়েন ব্যান্ডের সঙ্গীত প্রশংসিত হয়েছিল ।
পিকু (2015)
শহর কলকাতা সুজিত সরকার পরিচালিত এই ছবির অন্যতম প্রেক্ষাপট । এক মেয়ে ও তাঁর বৃদ্ধ বাবার সম্পর্কের রসায়ন এই ছবির স্টোরিলাইন । অমিতাভ বচ্চন ও দীপিকা পাড়ুকোন অভিনীত ছবি পিকু বাঙালির মন যেমন জয় করেছিল, একইসঙ্গে প্রশংসিত হয়েছিল জাতীয় দর্শকের কাছে । ছবির চিত্রনাট্য সমালোচকমহলে প্রশংসা পেয়েছিল । শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্য লেখক হিসেবে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার পেয়েছিলেন জুহি চতুর্বেদী ।
লিপস্টিক আন্ডার মাই বুরখা (2016)
অলংকৃতা শ্রীবাস্তব পরিচালিত এই ছবিটি মুক্তি পাওয়ার আগেই শোরগোল ফেলেছিল । ইন্ডিয়ান ফিল্ম সেনসর বোর্ড ছবিটিকে 'অবাস্তব' ও 'অশ্লীল' বলে প্রথমে ছাড়পত্র দেয়নি । তারপর আইন-আদালতের ঝক্কি পেরিয়ে অবশেষে মুক্তি পায় ছবিটি । সাড়াও ফেলেছিল দর্শকমহলে । বুরখার আড়ালে থাকা নারীসত্ত্বাকে বড়পর্দায় দেখিয়েছিল লিপস্টিক আন্ডার মাই বুরখা ।
দঙ্গল (2016)
নীতেশ তিওয়ারি পরিচালিত গীতা ফোগত ও ববিতা কুমারীর জীবনীমূলক ছবি দঙ্গল । নারী প্রধান এই ছবিটি বক্স অফিসে হিট হয়েছিল । পেয়েছিল সমালোচকদের প্রশংসা । আমির খানের অভিনয়ও প্রশংসিত হয়েছিল । শ্রেষ্ঠ পরিচালক, শ্রেষ্ঠ অভিনেতা, শ্রেষ্ঠ ছবি হিসেবে জিতেছিল ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড ।
পিঙ্ক (2016)
অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরি পরিচালনা করেন । ছবিটির প্রযোজনা করেছিলেন সুজিত সরকার । অমিতাভ বচ্চন অভিনীত ছবিটি সাড়া ফেলেছিল দর্শক মহলে । তিনজন চাকুরিজীবী স্বাধীন মেয়ের জীবনযাপনই এই ছবির কেন্দ্রবিন্দু । ছবির প্লাস পয়েন্ট সংলাপ । শান্তনু মৈত্রের ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর ছবিটিকে একটি অন্যমাত্রা দেয় । তৈরি হয় থ্রিল, একটু একটু করে গড়ে দেয় লড়াইয়ের জমি । সামাজিক সমস্যার উপর তৈরি শ্রেষ্ঠ ছবি হিসেবে জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিল পিঙ্ক ।
প্যাডম্যান (2018)
মহিলাদের ঋতু চলাকালীন তাঁদের স্বাস্থ্যসচেতনতা ও স্যানিটারি প্যাড ব্যবহার এই ছবির বিষয়বস্তু । ছবিটি পরিচালনা করেছিলেন আর বালকি । অরুণাচলম মুরুগানানথম গ্রামের দরিদ্র মহিলাদের জন্য সস্তায় স্যানিটারি ন্যাপকিন তৈরি করতেন । তাঁর জীবনের উপর তৈরি এই ছবিটি । অরুণাচলমের চরিত্রে অভিনয় করেছেন অক্ষয় কুমার । ইন্ডিয়ান ফিল্ম ফেস্টিভাল অফ মেলবোর্নে সেরা অভিনেতা ও সেরা পরিচালকের পুরস্কার পান অক্ষয় কুমার ও আর বালকি ।
অক্টোবর (2018)
- " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data="">
সুজিত সরকারের 'অক্টোবর' ছবি একটি অন্যরকম ভালোবাসার ছবি । ড্যান (অভিনয়ে বরুণ ধাওয়ান) এবং শিউলি (অভিনয়ে- বনিতা) ছবির প্রধান দুই চরিত্র । ছবিটি সাড়া ফেলেছিল দর্শক ও সমালোচক মহলে । ছবির গল্প জুহি চতুর্বেদীর । অভীক মুখোপাধ্যায়ের সিনেমাটোগ্রাফি ও শান্তনু মৈত্রর মিউজ়িক প্রশংসিত হয়েছিল । বলিউড মেনস্ট্রিমে 'অক্টোবর' এক স্বতন্ত্র্য প্রেমের ছবি । সেরা অভিনেতা হিসেবে NBT উৎসব পুরস্কার (2018) পেয়েছিলেন বরুণ ধাওয়ান ।
শব্দ (2012)
কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় পরিচালিত ছবি শব্দ-তে একজন ফলি শিল্পী প্রধান ভূমিকায় রয়েছেন । তাঁর পার্সেপশন থেকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ছবির দৃশ্যপট । ছবিতে পালটে গেছে শব্দের বাঁধা ধরা ব্যবহার । প্রাথমিক শব্দগুলি গৌণ হয়ে ওঠে, প্রাধান্য পায় অ্যাম্বিয়েন্স (পারিপার্শ্বিক) শব্দ । পরিচালকের এই পদক্ষেপ বাংলা ছবিকে এক নতুন বিষয়ের সঙ্গে পরিচয় করিয়েছে । বাংলা ভাষায় শ্রেষ্ঠ ছবি হিসেবে শব্দ জাতীয় পুরস্কার পায় । সমালোচক মহলে সাড়া ফেলেছিল ছবিটি ।
চিত্রাঙ্গদা (2012)
রবীন্দ্রনাথের চিত্রাঙ্গদা নৃত্যনাট্যকে সমকালীন দৃষ্টিকোণ থেকে দর্শকদের সামনে উপস্থাপন করেছিলেন ঋতুপর্ণ ঘোষ । অভিনয় করেছিলেন ঋতুপর্ণ ঘোষ , জিশু সেনগুপ্ত । জেন্ডার এবং প্রেম এই ছবির ন্যারেটিভে নতুনভাবে দর্শকের সামনে তুলে ধরা হয় । প্রাধান্য পায় অপূর্ণ ইচ্ছেগুলো । জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে স্পেশাল জুরি অ্যাওয়ার্ড পেয়েছিল চিত্রাঙ্গদা ।
আসা যাওয়ার মাঝে (2014)
আদিত্য বিক্রম সেনগুপ্তের প্রথম পরিচালনা । কম বাজেটে তৈরি ছবিটি ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল সমালোচক মহলে । প্রায় সংলাপহীন ছবিটি নিঃশব্দের এক ভালবাসার গল্প বলে । ছবির লং শট, লং টেক এক নতুনের সাক্ষী বানায় বাংলা ছবিকে । শ্রেষ্ঠ অডিয়োগ্রাফির জন্য জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিল আসা যাওয়ার মাঝে । প্রশংসিত হয়েছিল ঋত্বিক চক্রবর্তী ও বাসবদত্তার অভিনয় ।
দ্য কোর্ট (2015)
- " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data="">
62তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে সেরা ফিচার ফিল্ম হিসেবে মনোনীত হয়েছিল কোর্ট । আঞ্চলিক ভাষার ছবিগুলির মধ্যে অন্যতম প্রশংসিত ছবিটি জিতে নিয়েছিল 17টি আন্তর্জাতিক পুরস্কারও । কোর্টরুম ড্রামার সত্যতা দৃশ্যায়িত হয়েছিল এই ছবিতে । একজন সমাজকর্মীর মুম্বই সেশন কোর্টে বিচার ও তাকে ঘিরে একাধিক ঘটনাই এই ছবির স্টোরিলাইন । ফিকশন ও ননফিকশন ন্যারেটিভের মধ্যবর্তী বিভাজনরেখা মুছে দিয়েছিল মারাঠি ভাষার ছবি কোর্ট ।
চার্লি (2015)
মার্টিন প্রাক্কট পরিচালিত দুলকার সলমন ও পার্বতী অভিনীত ছবি 'চার্লি' । মালায়লম ছবির ইতিহাসে এখনও পর্যন্ত সবথেকে বেশি ব্যবসা করেছে এই ছবিটি । ভবঘুরে চার্লির প্রেমে পড়ে টেসরা খুঁজে বেড়ায় তাকে । আর এইভাবেই এগোয় ছবির গল্প । কেরালা চলচ্চিত্র উৎসবে শ্রেষ্ঠ ছবি , শ্রেষ্ঠ পরিচালক, শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী , শ্রেষ্ঠ আলোকচিত্র, শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্য , শ্রেষ্ঠ আর্ট ডিরেকশন , শ্রেষ্ঠ সাউন্ড মিক্সিং-র পুরস্কার পায় ।
সহজ পাঠের গপ্পো (2017)
মানসমুকুল পাল পরিচালিত ছবি সহজ পাঠের গপ্পো ছবিটির ন্যারেটিভ এক শিশুর দৃষ্টিভঙ্গী থেকে দেখা । ছবিতে বিষাদের একাধিক এলিমেন্ট থাকলেও ছবিটিতে দুঃখ নেই কোনও । বেঁচে থাকা আর তার পাশাপাশি রয়েছে ঈশ্বরের সঙ্গে শিশুমনের কথোপকথন, যে মন ঈশ্বরকে প্রায়ই প্রশ্ন করে সেই গ্রামেরই জনৈক ব্যক্তি তাঁর বাড়িতে তাদের খাওয়ার নিমন্ত্রণ করবে তো ? বাংলার গ্রাম্য পরিসর এই ছবিতে দৃশ্যায়িত হয়েছিল । শ্রেষ্ঠ শিশু অভিনেতা হিসেবে জাতীয় পুরস্কার পায় নুর ইসলাম ও সামিউল আলম ।
ভিলেজ রকস্টার (2017)
- " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data="">
অসমের একটি ছোটো গ্রামের কয়েকটি ছোটো ছেলে-মেয়ে রকস্টার হওয়ার স্বপ্ন দেখে । প্রধান চরিত্র ধুনু একটা গিটার কিনতে চায় । রিমা দাস পরিচালিত এই ছবিটি অহমিয়া ভাষায় শ্রেষ্ঠ ছবি হিসেবে জাতীয় পুরস্কার জেতে । ব্রিক্স ফিল্ম ফেস্টিভালে জেতে স্পেশাল জুরি অ্যাওয়ার্ড । বক্স অফিসে সেভাবে সাড়া না ফেললেও সমালোচকমহলে প্রশংসিত হয়েছিল ভিলেজ রকস্টার । ছবিতে দৃশ্যায়িত হয়েছিল অসমের এক প্রত্যন্ত গ্রামের আঞ্চলিক সংস্কৃতি ।
দিস ইজ় নট আ ফিল্ম (2011)
অফসাইড ছবিটি পরিচালনা করেছিলেন জাফর পানাহি । তারপরই রাষ্ট্রের কাছে তিনি বিতর্কিত হয়ে ওঠেন । ইরানিয়ান নিউ ওয়েভের এই বিখ্যাত পরিচালকের থেকে কেড়ে নেওয়া হয় ক্যামেরা । তাঁকে গৃহবন্দী করা হয় । এরপরও তিনি দিস ইজ় নট আ ফিল্ম বানান । সেই ছবির ন্যারেটিভে জানা যায় কেমন আছেন পরিচালক । জীবনযাপনের এক তথ্যচিত্রই হয়ে উঠেছে ফিকশন ন্যারেটিভ । কান চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা পরিচালক হিসেবে পুরস্কৃত হন জাফর পানাহি ।
দ্য ডার্ক নাইট রাইজ়েস (2012)
ক্রিস্টোফার নোলানের ব্যাটম্যান ট্রিলজির তৃতীয় তথা শেষ ছবি । সুপারহিরো কমিকস্ট্রিপের তথাকথিত হিরো বনাম ভিলেনের একপার্শ্বিক লড়াইয়ের বদলে বহুমাত্রিক চরিত্রগুলির জটিলতা ও সংঘাত, রাষ্ট্রের ক্ষমতার অলিন্দে দুর্নীতির ব্যাভিচার ছিল এই ছবির মূল উপজীব্য । বাড়তি পাওনা অসাধারণ সিনেমাটোগ্রাফি । ছবিটি সমালোচকদের প্রশংসা আদায়ের পাশাপাশি বক্সঅফিসেও ঝড় তুলেছিল ।
ব্লু ইজ় দ্য ওয়ার্মেস্ট কালার (2013)
আবদুল্লাতিফ কাশিশের পরিচালিত ব্লু ইজ় দ্য ওয়ার্মেস্ট কালার পেয়েছিল পাম দে'অঁর পুরস্কার । এছাড়াও আন্তর্জাতিকস্তরে প্রশংসা পায় ছবিটি । জিতে নেয় একাধিক পুরস্কার । সমলিঙ্গের দুই মানুষের প্রেমের আখ্যান উপহার পেয়েছিল দর্শকমহল ।
ট্রেন টু বুসান (2016)
- " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data="">
ইয়ন সাং হো পরিচালিত ট্রেন টু বুসান ছবিটি আন্তর্জাতিক খ্যাতি পেয়েছে । দক্ষিণ কোরিয়ার জ়ম্বি হরর-থ্রিলর জঁরের (genre) এই ছবিটির অধিকাংশই ট্রেনের কামরার মধ্যে । ছবির বাঁধন তৈরি করে এক রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা । দর্শক মহলে প্রিয় ছবিটি প্রশংসিত হয়েছিল সমালোচক মহলেও । ছবির ক্রাফট ও মেকিং প্রশংসা পেয়েছে ।
লা লা ল্যান্ড (2016)
ড্যামিয়েন শ্যাজ়েল পরিচালিত মার্কিন রোমান্টিক সংগীতধর্মী কৌতুকপূর্ণ নাট্য চলচ্চিত্র । ছবিটি মুক্তির পরপরই সমালোচকদের প্রশংসা পায় । ছবিটি 74তম গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কারে মনোনীত সাতটি বিভাগেই পুরস্কার জিতে সর্বোচ্চ ও সকল বিভাগে পুরস্কার জেতার রেকর্ড ভাঙে । 70তম ব্রিটিশ অ্যাকাডেমি চলচ্চিত্র পুরস্কারে 11টি বিভাগে মনোনীত হয় । সেরা পরিচালক, সেরা অভিনেত্রী বিভাগে পুরস্কারও জিতে নেয় ।
ডুব (2017)
ফারুকি পরিচালিত ভারত-বাংলাদেশের যৌথ প্রযোজনার ছবি ডুব । জাভেদ হাসানের ভূমিকায় মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেন ইরফান খান । শুধুমাত্র সময় এবং পরিসরের ব্যবহার করে ক্যামেরার ধীর গতিও কবিতা লিখতে পারে , তাই প্রমাণ করে ‘ডুব’। ছবিতে সঙ্গীতের ব্যবহার প্রশংসিত হয়েছিল ।
পিরিয়ড. এন্ড অফ সেনটেন্স (2018)
- " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data="">
লস অ্যাঞ্জেলেসের ওয়াকউড স্কুলের শিক্ষিকা মেলিসা বার্টন ও পড়ুয়াদের প্যাড প্রজেক্টের অংশ হিসাবে প্রাথমিকভাবে প্রকাশ্যে আসে ‘পিরিয়ড. এন্ড অফ সেনটেন্স’। ছবির প্রেক্ষাপট দিল্লির কাছেই হাপুর গ্রামের মেয়েদের সংগ্রাম । শ্রেষ্ঠ তথ্যচিত্র হিসেবে অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ড পায় ।