পটনা, 1 নভেম্বর : বিহারে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে রাহুল গান্ধি ও তেজস্বী যাদবকে নাম না করে যুবরাজ বলে কটাক্ষ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির । বিহারে বিধানসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফার প্রচারে আজ চারটি জনসভায় অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ।
মোদি বলেন, “কয়েক বছর আগে উত্তরপ্রদেশে যুবরাজদের হারিয়ে যেভাবে BJP জিতেছিল এবার বিহারেও সেটাই হবে ।” এর আগে প্রচারে এসে তেজস্বীকে "জঙ্গলরাজ কা যুবরাজ" বলে উল্লেখ করেন মোদি । মোদি বলেন, “3-4 বছর আগে উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনে দুই যুবরাজ হাত মিলিয়েছিলেন । কিন্তু তাঁঁদের মেনে নেয়নি সাধারণ মানুষ । সেখানকার এক যুবরাজ এবার বিহারের যুবরাজের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে ।” উত্তরপ্রদেশে অখিলেশ যাদব ও রাহুল গান্ধিকে কটাক্ষ করে মূলত এই মন্তব্য করেন । তিনি বলেন, “বিহারে এখন দু'টি দল উন্নয়নের কাজ করছে । অন্যদিকে রয়েছে দু'জন যুবরাজ । তাঁদের মধ্যে একজন আবার জঙ্গলরাজের যুবরাজ । NDA সরকার বিহারের উন্নয়নের প্রতি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ । অন্যদিকে যুবরাজ ব্যস্ত বিবাদে ।" যদিও মোদির ‘যুবরাজ’ প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করতে চাননি তেজস্বী যাদব ।
বিহারে আজ দ্বিতীয় দফার নির্বাচনী প্রচার শেষ হচ্ছে । ছাপড়া মূলত লালুপ্রসাদ যাদবের কর্মভূমি হিসেবে পরিচিত । 1977 সালে মাত্র 29 বছর বয়সে ছাপড়া থেকে লোকসভার সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হন লালু । সারণের অতিরিক্ত জেলাশাসক জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় কোরোনা সংক্রান্ত সমস্ত প্রোটোকল মেনে চলা হবে । 25 হাজার চেয়ারের ব্যবস্থা করা হয়েছে । প্রত্যেকের মধ্যে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে বসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । পাশাপাশি জনসমাবেশ স্থান এবং তার বাইরেও প্রত্যেককে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক বলে প্রশাসন নির্দেশ জারি করেছে ।
পূর্ব চম্পারণের জেলাশাসক সিরসত কপিল এবং পুলিশ সুপার নবীনচন্দ্র প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশের আগে বৈঠক করেছেন । বাগাহাতে ভূতনাথ কলেজের মাঠে সমাবেশে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী । এই নিয়ে তৃতীয়বার নির্বাচনী প্রচারে বিহারে গেলেন তিনি । এর আগে 23 এবং 28 অক্টোবর নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ।