গুয়াহাটি, 6 জুন : মূত্রথলি থেকে বের করা হল মোবাইলের চার্জার। ঘটনাটি ঘটেছে অসমের গুয়াহাটিতে।
30 বছরের ওই যুবক পেটে ব্যথা বলে চিকিৎসকদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে । পেট অপারেশন করেও কোন কিছু না মেলায় X-RAYতে সম্পূর্ণ ঘটনাটি স্পষ্ট হয়ে যায়। দেখা যায়, ওই যুবকের মূত্রথলিতে আটকে রয়েছে একটি মোবাইল চার্জার।
গুয়াহাটির একটি বেসরকারি হাসপাতালে শল্যবিদ ওয়াল্লিয়াম ইসলাম জানান, "কিছুদিন আগে এক যুবক পেটে ব্যথার চিকিৎসা করাতে আসেন। সেই যুবক জানান, সেই ভুল করে হেডফোন গিলে ফেলেছে। কিন্তু অপারেশন করে তার গ্যাস্ট্রোইনটেস্টিনাল ট্রাকে কোন কিছুই পাওয়া যায়নি। এরপরে X-RAY করতেই দেখা যায় ওই যুবকের মূত্রথলিতে হয়েছে একটি মোবাইল চার্জারের তার। ওই যুবক নিজেই শরীরে প্রবেশ করিয়েছিল চার্জারের তার। "
তিনি আরও বলেন, "ওই যুবক যদি সত্যি কথা বলত, তাহলে অপারেশনের কোনও প্রয়োজনই পড়ত না। পেনাইল ইউরেথ্রা থেকে বিনা অপারেশনেই ওই তার বের করা যেত। "
ওই চিকিৎসক নিজের ফেসবুকে এই ঘটনার উল্লেখ করে লেখেন, " অপারেশনে বিস্ময় ! 25 বছরের অভিজ্ঞতা সত্ত্বেও আমি এখনও বিস্মিত ও হতবাক হই এমন সব ঘটনায়, যা আমার দক্ষতাকে চ্যালেঞ্জ জানায়। 30 বছরের এক যুবক আমার কাছে তলপেটে ব্যথা নিয়ে চিকিৎসা করাতে আসে। সে জানায়, ভুল করে হেডফোনের তার গিলে ফেলেছে। অথচ অপারেশন করে গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ট্রাকে কোন কিছুই মেলে না। উলটে দেখা যায়, তার মূত্রথলিতে রয়েছে চার্জারের তার। আশা করছি আপনারা সকলেই বুঝতে পারছেন কীভাবে তারটি মূত্রথলিতে পৌঁছাল ! অপারেশন সফল হয়েছে এবং রোগী ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছে, যদিও তাঁর মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। এই পৃথিবীতে সবই সম্ভব, সত্যিই !"
জানা গিয়েছে, ওই যুবক যৌনতা সংক্রান্ত কারণে শরীরে বিভিন্ন বস্তু প্রবেশ করিয়েছে আগেও। চিকিৎসক জানান, " এই ধরনের কাজকে ইউরেথ্রাল সাউন্ডিং বা ইউরেথ্রাল মৈথুন বলা হয়। এই যুবকের ক্ষেত্রে চার্জারের তারটি মূত্রথলিতে গিয়ে আটকে যায়। আমি আমার 25 বছরের চিকিৎসক অভিজ্ঞতায় এই ধরনের ঘটনা আগে কখনও দেখিনি। "