জয়পুর, 3 জুলাই : বাড়ির বাইরে খেলা করছিল মেয়েটি। বয়স সাত । অজ্ঞাতপরিচয় এক বাইকআরোহী তুলে নিয়ে যায় মেয়েটিকে। প্রথমে বেল্ট দিয়ে মারা হয়। পরে ধর্ষণ করা হয় তাকে। দু' ঘণ্টা পরে বাড়ি থেকে ১৫ কিমি দূরে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয় নাবালিকাকে। জয়পুরের শাস্ত্রী নগর এলাকা এই ঘটনার পরই উত্তাল হয়ে ওঠে। স্থানীয় বাসিন্দারা প্রতিবাদ জানান থানার সামনে। রাতভর বিক্ষোভ ও ধরনা চলে। ভাঙচুর করা হয় বেশ কিছু গাড়ি। ভেঙে দেওয়া হয় গাড়ির কাচের জানলাও। সোশাল মিডিয়ায় ঘটনা শেয়ার হওয়ায় ছড়ায় উত্তেজনাও। রাজস্থানের জয়পুরের বেশ কয়েকটি এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয় পুলিশি নির্দেশে। হিংসা ছড়ানোর অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় ১৬ জনকে। অভিযুক্ত অধরা এখনও।
পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার মেয়েটি যখন বাড়ির উঠোনে খেলছিল, তখন এক ব্যক্তি এসে বলে, তার বাবাকে কিছু টাকা দেওয়ার আছে, এর পরই বাড়ির উঠোন থেকে নাবালিকাকে অপহরণ করে বাইকে চম্পট দেয় অভিযুক্ত। মেয়েটিকে খুঁজে না পেয়ে খবর দেওয়া হয় পুলিশে। পরে বাড়ি থেকে বেশ খানিকটা দূরে অমানিশা ক্যানেলের কাছে তাকে পাওয়া যায়। জয়পুরের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ওই নাবালিকাকে।
আরও পড়ুন : মহারাষ্ট্রে প্রবল বৃষ্টিতে ভাঙল বাঁধ, মৃত 8 ; প্লাবিত গ্রামের পর গ্রাম
নাবালিকার এক আত্মীয় জানান, মেয়েটিকে যখন উদ্ধার করা হয় সারা শরীরে বেল্ট দিয়ে আঘাতের চিহ্ন ছিল। কপালে বেশ কয়েকটি স্টিচও করতে হয়েছে তার।
জয়পুরের পুলিশ কমিশনার আনন্দ শ্রীবাস্তব বলেন, ''সোশাল মিডিয়ায় হিংসা ছড়ানোর অভিযোগে ১৩টি পুলিশ স্টেশনের অধীনস্থ এলাকায় বন্ধ রাখা হয় নেট পরিষেবা।''
আরও পড়ুন : উপত্যকার স্কুল বন্ধ রেখে নিজের সন্তানকে বিদেশে পড়াচ্ছে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা : অমিত শাহ
অপরাধী গ্রেপ্তার না হওয়া পর্যন্ত প্রতিবাদ চলবেই, স্থানীয় এক ব্যক্তি জানান এমনটাই। ঠিক 10 দিন আগে একইরকম ঘটনা ঘটেছিল বলে জানায় পুলিশ। বাড়ির বাইরে থেকে চার বছরের এক শিশুকন্যাকে নিয়ে বাইকে তুলে নিয়ে যায় এক ব্যক্তি, ধর্ষণ করা হয় তাকেও। অপরাধীকে শনাক্ত করতে তার মুখের একটি নকশাও করা হয়েছে। একই ব্যক্তি দুটি ঘটনার সঙ্গে যুক্ত বলে মনে করছে পুলিশ। অপরাধীকে পাকড়াও করতে ১৪টি কমিটি গঠন করার কথা জানিয়েছেন পুলিশ কমিশনার আনন্দ শ্রীবাস্তব।