দিল্লি, 29 ডিসেম্বর : পণ না পেয়ে স্ত্রীকে গুলি করে খুন ৷ ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ পশ্চিম দিল্লির কাপাশেরা এলাকায় ৷ 25 ডিসেম্বর (বুধবার) ভোরে প্রথমে গুলি করে পরে অ্যাপার্টমেন্টের দ্বিতীয় তল থেকে ফেলে দেওয়া হয় দিব্যাকে ৷ তদন্তের ভিত্তিতে পুলিশে দিব্যার স্বামী রোহিতকে গ্রেপ্তার করে ৷
দিব্যার (25) সঙ্গে রোহিতের বিয়ে হয় 2015 সালে ৷ বিয়েতে রোহিতের পরিবার একটি SUV-র দাবি করেছিল কনের বাড়ির কাছে ৷ কিন্তু দিব্যার বাড়ির থেকে তখন সেই শখ মেটানো সম্ভব হয়নি ৷ এরপর থেকে মাঝে মধ্যেই শ্বশুরবাড়িতে কথা শুনতে হত দিব্যাকে ৷ অত্যাচারও চলত ৷ বড়দিনের আগের রাতে ফের অশান্তি চরমে পৌছায় ৷ রোহিতের লাইসেন্সপ্রাপ্ত বন্দুকের গুলি সোজা গিয়ে লাগে দিব্যার মাথায় ৷ মৃত্যু নিশ্চিত জানার পরে 25 ডিসেম্বরের ভোর 5.40 নাগাদ দোতলার ব্যালকনি থেকে ছুড়ে ফেলে দেওয়া হয় দিব্যার দেহ ৷
আরও পড়ুন : গেস্ট হাউজ়ে নিয়ে গিয়ে যুবতির শ্লীলতাহানি অভিযোগ, গ্রেপ্তার বন্ধু
পুলিশের কাছে খবর যায়, সামালখা ভিলেজ আবাসনের দোতলা থেকে ঝাঁপ দিয়েছেন এক যুবতি ৷ এক পুলিশ আধিকারিক জানান, দিব্যাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা ৷ দোতলা থেকে ফেলে দেওয়ার কারণে তাঁর মাথায় বেশ কয়েক জায়গায় ফেটে গেছিল ৷ প্রাথমিকভাবে পুলিশ অনুমান ছিল, আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল সে ৷ কিন্তু পরে দেহ ময়নাতদন্তের পরে জানা যায় দিব্যাকে প্রথমে মাথায় গুলি করে তারপর ফেলে দেওয়া হয়েছিল দোতলার ঘর থেকে ৷
এরপরেই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে রোহিত ও তার পরিবারের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ৷ ভারতীয় দণ্ডবিধির 498(A) নম্বর ধারা (গার্হস্থ্য হিংসা), 304 নম্বর ধারা (পণের জন্য মৃত্যু) ও 34 নম্বর ধারায় (একই উদ্দেশ্য নিয়ে অপরাধমূলক কাজ) মামলা রজু করেছে পুলিশ ৷