কাসারাগোড (কেরালা), 30 অগাস্ট : কেরালার মধুর মাধনন্দেশ্বর সিদ্ধিবিনায়ক মন্দির ৷ এর সামনেই রয়েছে একটি পুকুর ৷ কথিত আছে, এই জলে নাকি দূর হয় ত্বকের রোগ ৷ এক সময় টিপু সুলতানও নাকি এই জল পান করার পর সাম্রাজ্য বিস্তারের পরিকল্পনা থেকে পিছিয়ে আসেন ৷ একবার জেনে নেওয়া যাক মন্দিরের ইতিহাস ৷
একদিকে সারি সারি খেজুর গাছ ৷ অন্যদিকে বইছে মধুবাহিনী নদী ৷ তারই মধ্যে রয়েছে মধুর মাধনন্দেশ্বর সিদ্ধিবিনয়াক মন্দিরটি ৷ প্রায় পাঁচ হাজার বছরের পুরানো এই মন্দির, স্থাপত্য-ভাস্কর্যে মোড়া ৷ বর্তমানে এলাকায় নানারকম পরিবর্তন দেখা দিলেও সেই অর্থে মন্দিরটির কোনও রকম পরিবর্তন হয়নি ৷
মূর্তির বৈশিষ্ট্য
মধুর মাধনন্দেশ্বর মন্দিরে রয়েছে গণেশের মাটির একটি মূর্তি ৷ কথিত আছে, মূর্তিটি নিজে থেকেই আত্মপ্রকাশ করে ৷ এখানে গণপতির শুঁড় ডানদিকে বাঁকানো ৷ মূলত দেখা যায় গণেশ তাঁর শুঁড়ের মধ্যে খাবার ধরে রেখেছেন ৷ কিন্তু এই গণপতি তাঁর শুঁড়ে মাটির কলসি ধরে আছেন ৷ এখানে বিনায়ক বালগণপতি নামে পরিচিত ৷ যদিও, পরমশিব সিদ্ধিবিনায়ক একানে বেশি জনপ্রিয় ৷ মধুরু নামের এক মহিলা একটি শিবলিঙ্গ পান ৷ রাজার আদেশে তিনি সেটি প্রতিষ্ঠা করেন ৷ এরপর থেকেই ওই অঞ্চলটির নাম হয় মধুর ৷
মন্দিরের বৈশিষ্ট্য
মন্দিরটি তৈরি হয়েছিল ময়ীপড্ডি রাজার আমলে ৷ প্রায় পাঁচ হাজার বছর আগে ৷ এই মন্দিরটির একাধিক ভাস্কর্য মালাবার অঞ্চলের শিল্পের মতো ৷ এর ভিতরে পঞ্চ পাণ্ডবের ভাস্কর্য রয়েছে ৷ তবে এখানে কোনও নৈবেদ্য দেওয়া হয় না৷ শুধু প্রসাদ হিসেবে মাঝে মধ্যে পায়েস বা মিষ্টি ভাত দেওয়া হয় যা মুডাপ্পাসেভা নামে পরিচিত ৷ এই ব্যবস্থাটিও বছরে একটিবার করে পালন করা হয় ৷
কথিত আছে
মন্দিরটির সামনে রয়েছে একটি পুকুর ৷ বলা হয়, এই জলে নাকি ত্বকের রোগ দূর হয় ৷ টিপু সুলতানও নাকি এই জল পান করে রাজ্য বিস্তারের মানসিকতা বদল করেছিলেন ৷
সালটা 1784 ৷ টিপু সুলাতান রাজ্য বিস্তারের জন্য আসেন এই অঞ্চলে৷ ভেঙে দিতে চান মন্দির ৷ এখনও মন্দিরের গায়ে দেখা যায় সেই তলোয়ারের দাগ ৷ কিন্তু ওই পুকুরের জল পান করার পর বদলে যায় তাঁর মানসিকতা ৷