দিল্লি, 6 এপ্রিল : দিল্লির শুভম ভরদ্বাজ । পেশায় আর্কিটেক্ট । দেশজুড়ে 21 দিন ব্যাপী যে লকডাউন চলছে তাতে আর্থিক দিক থেকে অনেকটাই লোকসানের মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে । বাড়িতে রয়েছে দুই ছেলে । দু'জনেই দিল্লি নামজাদা বেসরকারি স্কুলে পাঠরত । লকডাউনের জেরে এখন বন্ধ রয়েছে স্কুল । কিন্তু বকেয়া বেতনের জন্য ইতিমধ্যেই শুভমবাবুকে ম্যাসেজ পাঠিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ ।
একইরকম হয়েছে তৃষা ভাটিয়ার সঙ্গেও । বেসরকারি এক সংস্থায় কর্মরত তৃষাদেবী এ-মাসে লকডাউনের জেরে 20 শতাংশ বেতন কম পেয়েছেন । এদিকে মেয়ের স্কুল থেকে বেতন চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে তাঁকেও । মেয়ের স্কুলের বেতন যাতে কিছুদিন পরে দেওয়া যায়, সেবিষয়ে স্কুল কর্তপক্ষের কাছে আবেদনও করেছেন তিনি ।
শুভমবাবু বা তৃষাদেবী কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নন । এমন অবস্থা রাজধানীর বেশিরভাগ স্কুলের অভিভাবকদেরই । অন্যদিকে স্কুল কর্তৃপক্ষগুলির তরফে দাবি করা হচ্ছে, স্কুল বন্ধ থাকলেও, অনলাইনে পঠনপাঠন চালু রয়েছে । ফলে শিক্ষক-শিক্ষিকাদেরও বেতন দিতে হচ্ছে স্কুলগুলিকে । বকেয়া বেতন আদায় না হলে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বেতন দেওয়ার ক্ষেত্রেও সমস্যা হবে বলে জানাচ্ছে স্কুলগুলি ।
লকডাউনে স্কুলগুলির সুইমিং পুল, হর্স রাইডিং ও অন্যান্য অতিরিক্ত পরিষেবাগুলি বন্ধ রয়েছে । কিন্তু এইসব পরিষেবাগুলির জন্য যে অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হয়, সেগুলিও স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে চাওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন অভিভাবকদের একাংশ ।
নয়ডায় প্রশাসনিক স্তরে ইতিমধ্যে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে । তাতে বলা হয়েছে, বর্তমান সংকটের পরিস্থিতিতে নয়ডা বা গ্রেটার নয়ডার কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই অভিভাবকদের থেকে জোর করে বেতন আদায় করতে পারবে না । পাশাপাশি কোনও পড়ুয়ার অনলাইন ক্লাসও বন্ধ করতে পারবে না স্কুলগুলি । হরিয়াণার সরকারও গত সপ্তাহে স্কুলের বেতন আদায়ের উপর স্থগিতাদেশ জারি করেছে ।