ETV Bharat / bharat

কৃষকদের বাঁচাতে এগিয়ে আসতে হবে

সম্প্রতি জাতীয় অপরাধ পরিসংখ্যানের তথ্যানুসারে, 2016 সালে গোটা দেশে 11,379 জন কৃষক এবং খামার শ্রমিক আত্মহত্যা করেছেন । NCRB-র রিপোর্টে কৃষক আত্মহত্যার কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে- শস্যহানি, রোজগার না থাকা, রোজগার কমে যাওয়া, ঋণ, পারিবারিক সমস্যা এবং শারীরিক অসুস্থতাকে ৷

প্রতীকী ছবি
author img

By

Published : Nov 18, 2019, 5:07 AM IST

Updated : Nov 18, 2019, 8:38 AM IST

দিল্লি, 18 নভেম্বর : দেশের মানুষের মুখে অন্ন তুলে দেন যাঁরা, দুর্ভাগ্যের বিষয় তাঁরাই খাদ্য নিরাপত্তার অভাবে ভুগছেন ৷ আশাহত হয়ে মৃত্যুকে বেছে নিচ্ছেন ৷ কারণ গত 25 বছর ধরে সরকার কৃষকদের সমস্যা সমাধানে ব্যর্থ ৷ সম্প্রতি জাতীয় অপরাধ পরিসংখ্যানের তথ্যানুসারে, 2016 সালে গোটা দেশে 11,379 জন কৃষক এবং খামার শ্রমিক আত্মহত্যা করেছেন । NCRB (ন্যাশানাল ক্রাইম রেকর্ড বিওরো ) রিপোর্টে কৃষক আত্মহত্যার কারণ কী তা বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হয়েছে ।

NCRB-র রিপোর্ট অনুযায়ী গড় হিসেব বলছে প্রতিদিন 31 জন এবং প্রতিমাসে 948 জন কৃষক আত্মহত্যা করছেন । আত্মহত্যার হার 2014 সালে 12,360 জন থেকে বেড়ে 2015 সালে পৌঁছেছিল 12,602 জনে । শেষ কয়েক বছর ধরে কৃষক মৃত্যুর হিসেবে সবার শীর্ষে রয়েছে মহারাষ্ট্র ৷ সেখানে 2016 সালে আত্মহত্যা করেছিল 3661 জন । এর পরেই রয়েছে কর্নাটক - 2078 জন, মধ্যপ্রদেশ - 1321 জন, এবং অন্ধ্রপ্রদেশ - 804 জন । রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে কৃষক মৃত্যুর হার 21 শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে ৷ খামার শ্রমিকের মৃত্যুর হার বৃদ্ধি পেয়েছে 10 শতাংশ ।

NCRB-র রিপোর্টে কৃষক আত্মহত্যার কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে- শস্যহানি, রোজগার নেই, রোজগার কমে যাওয়া, ঋণ, পারিবারিক সমস্যা এবং শারীরিক অসুস্থতাকে ৷ ঋণ পরিশোধ একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যখন কৃষকদের আর্থসামাজিক কাঠামো বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে । এই রিপোর্টে পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে ৷ বাকি রাজ্যগুলিতে 6270 জন কৃষক এবং 5109 খামার শ্রমিক আত্মহত্যা করেছেন ।

NCRB-র প্রকাশিত রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে, 1995 থেকে 2016 সালের মধ্যে 3 লাখ 30 হাজার 407 জন কৃষক আত্মহত্যা করেছে । এ প্রসঙ্গে IAS অফিসার P C বোধ তাঁর পর্যবেক্ষণ এবং অনুমানের প্রেক্ষিতে জানিয়েছেন, এই হারে কৃষক আত্মহত্যার ঘটনা ঘটতে থাকলে 2020 সালের মধ্যে সংখ্যাটা চার লাখে পৌঁছে যাবে । বৃষ্টিপাতের স্বল্পতা, জলের অভাব, বর্ষাকালে পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ার মতো ঘটনা কৃষকদের সমস্যা প্রতিনিয়ত বাড়িয়ে চলেছে । ঠিক মতো ফসল উৎপাদন করার ক্ষেত্রে ব্যর্থতার কারণে তারা নিজেদের জীবন শেষ করে দিতে বাধ্য হয় । ফসল ঠিক মতো উৎপাদিত না হলে ব্যাঙ্কের ঋণের বোঝা ক্রমশ বাড়তে থাকে ৷ জমানো টাকা প্রতি মুহূর্তে কমতে থাকে ৷ ফসল মজুত রাখার ক্ষেত্রেও সমস্যা তৈরি হয় ৷ যার ফলে ফসল নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয় ৷ এ রকম একাধিক সমস্যার সামনে পড়তে হয় কৃষকদের । 2013 থেকে 2018 সালের মধ্যে মহারাষ্ট্রে 15,356 জন কৃষকের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে ৷ তিনমাস আগে ভয়ঙ্কর দুর্ভিক্ষ বহু কৃষকের প্রাণ কেড়েছিল । এখন আবার মারাত্মক বন্যার কবলে । শুধুমাত্র মহারাষ্ট্র নয়, গোটা দেশের কৃষকরাই এ রকম সমস্যার সামনে ।

এ বছরে 280 জন কৃষক আত্মহত্যা করেছেন ৷ এই খবর প্রকাশিত হওয়ায় তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছিল কৃষক সংগঠন ৷ কারণ প্রতি বছর কমপক্ষে হাজার কৃষকের আত্যহত্যার ঘটনা ঘটে থাকে । 17 টি রাজ্যে খামার শ্রমিকের আত্মহত্যার ঘটনা কৃষক মৃত্যুর থেকেও বেশ কিছুটা বেশি, যা তুলে ধরে গ্রামীণ কৃষি ব্যবস্থার ভয়ঙ্কর অবস্থা । এ প্রসঙ্গে বলতে হয়, এ ক্ষেত্র সূক্ষ্ম পর্যবেক্ষণ অত্যন্ত জরুরি ৷ পাশাপাশি একদম নিচুতলার কৃষক এবং খামার শ্রমিকদের আর্থিক সাহায্যের জন্য কিছু পদক্ষেপ যেমন বিমা করা উচিত । এমন কিছু বিমা কার্যকর করা উচিত যাতে 2022 সালের মধ্যে কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার ক্ষেত্রে তা কার্যকর হতে পারে ।

কেন্দ্রীয় সরকার কৃষকদের প্রতিবছর আর্থিক সাহায্যের জন্য বিশেষ প্রকল্প আনছে ৷ এতে তাঁরা বছরে 6000 টাকা ভর্তুকি পেতে পারেন । ব্যক্তিগত বিনিয়োগ, কৃষি চুক্তি, কৃষি উৎপাদন, বিক্রির জন্য বাজারের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলির দিকে নজর দেওয়া এবং কৃষকদের উন্নতির কথা মাথায় রেখে বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে । মাস চারেক আগে মহারাষ্ট্রে যখন দেবেন্দ্র ফড়নবিশ মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, সে সময় একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়েছিল ৷ যদিও তার ভবিষ্যৎ এখন অনিশ্চিত । এটা বিশেষভাবে লক্ষণীয়, কৃষক সম্প্রদায়ের সহায়তার জন্য সংসদে পরিকল্পিত ভাবে কোনও অধিবেশন ডাকা হয়নি ৷ যেখানে কৃষকদের সমস্যা নিয়ে আলোচনা হতে পারে ৷ পরিসংখ্যান বলছে, 2015 সালে 80 শতাংশ কৃষক ঋণ নিয়েছিল ব্যাঙ্ক বা ছোটো বিনিয়োগকারী সংস্থার কাছ থেকে । বর্তমান সমবায় ব্যাঙ্ক ব্যবস্থা আসল সমস্যা সমাধানের থেকে অনেকটাই দূরে । আবহাওয়ার পরিবর্তনগত সমস্যাও একটি জটিল সমস্যা তৈরি করেছে । আবহাওয়ার পরিবর্তনগত সমস্যার হাত থেকে কৃষকরা কী ভাবে নিজেদের ফসল রক্ষা করবেন, সে বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য মুম্বই IIT-র গবেষকরা বিভিন্ন রাজ্যে আঞ্চলিক স্তর থেকে শুরু করে বিভিন্ন জেলায় সফর করেছেন । এ প্রসঙ্গে কেরলের পোক্কালি মডেল বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ এবং আবশ্যক বলে বিজ্ঞানীরা পরামর্শ দিয়েছেন । এখন সময় এসেছে কৃষির সঙ্গে বিজ্ঞানের মেলবন্ধন ঘটানোর ৷ কৃষকদের জীবনকে সুরক্ষিত করা, যাতে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা সুনিশ্চিত থাকে ।

দিল্লি, 18 নভেম্বর : দেশের মানুষের মুখে অন্ন তুলে দেন যাঁরা, দুর্ভাগ্যের বিষয় তাঁরাই খাদ্য নিরাপত্তার অভাবে ভুগছেন ৷ আশাহত হয়ে মৃত্যুকে বেছে নিচ্ছেন ৷ কারণ গত 25 বছর ধরে সরকার কৃষকদের সমস্যা সমাধানে ব্যর্থ ৷ সম্প্রতি জাতীয় অপরাধ পরিসংখ্যানের তথ্যানুসারে, 2016 সালে গোটা দেশে 11,379 জন কৃষক এবং খামার শ্রমিক আত্মহত্যা করেছেন । NCRB (ন্যাশানাল ক্রাইম রেকর্ড বিওরো ) রিপোর্টে কৃষক আত্মহত্যার কারণ কী তা বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হয়েছে ।

NCRB-র রিপোর্ট অনুযায়ী গড় হিসেব বলছে প্রতিদিন 31 জন এবং প্রতিমাসে 948 জন কৃষক আত্মহত্যা করছেন । আত্মহত্যার হার 2014 সালে 12,360 জন থেকে বেড়ে 2015 সালে পৌঁছেছিল 12,602 জনে । শেষ কয়েক বছর ধরে কৃষক মৃত্যুর হিসেবে সবার শীর্ষে রয়েছে মহারাষ্ট্র ৷ সেখানে 2016 সালে আত্মহত্যা করেছিল 3661 জন । এর পরেই রয়েছে কর্নাটক - 2078 জন, মধ্যপ্রদেশ - 1321 জন, এবং অন্ধ্রপ্রদেশ - 804 জন । রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে কৃষক মৃত্যুর হার 21 শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে ৷ খামার শ্রমিকের মৃত্যুর হার বৃদ্ধি পেয়েছে 10 শতাংশ ।

NCRB-র রিপোর্টে কৃষক আত্মহত্যার কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে- শস্যহানি, রোজগার নেই, রোজগার কমে যাওয়া, ঋণ, পারিবারিক সমস্যা এবং শারীরিক অসুস্থতাকে ৷ ঋণ পরিশোধ একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যখন কৃষকদের আর্থসামাজিক কাঠামো বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে । এই রিপোর্টে পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে ৷ বাকি রাজ্যগুলিতে 6270 জন কৃষক এবং 5109 খামার শ্রমিক আত্মহত্যা করেছেন ।

NCRB-র প্রকাশিত রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে, 1995 থেকে 2016 সালের মধ্যে 3 লাখ 30 হাজার 407 জন কৃষক আত্মহত্যা করেছে । এ প্রসঙ্গে IAS অফিসার P C বোধ তাঁর পর্যবেক্ষণ এবং অনুমানের প্রেক্ষিতে জানিয়েছেন, এই হারে কৃষক আত্মহত্যার ঘটনা ঘটতে থাকলে 2020 সালের মধ্যে সংখ্যাটা চার লাখে পৌঁছে যাবে । বৃষ্টিপাতের স্বল্পতা, জলের অভাব, বর্ষাকালে পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ার মতো ঘটনা কৃষকদের সমস্যা প্রতিনিয়ত বাড়িয়ে চলেছে । ঠিক মতো ফসল উৎপাদন করার ক্ষেত্রে ব্যর্থতার কারণে তারা নিজেদের জীবন শেষ করে দিতে বাধ্য হয় । ফসল ঠিক মতো উৎপাদিত না হলে ব্যাঙ্কের ঋণের বোঝা ক্রমশ বাড়তে থাকে ৷ জমানো টাকা প্রতি মুহূর্তে কমতে থাকে ৷ ফসল মজুত রাখার ক্ষেত্রেও সমস্যা তৈরি হয় ৷ যার ফলে ফসল নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয় ৷ এ রকম একাধিক সমস্যার সামনে পড়তে হয় কৃষকদের । 2013 থেকে 2018 সালের মধ্যে মহারাষ্ট্রে 15,356 জন কৃষকের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে ৷ তিনমাস আগে ভয়ঙ্কর দুর্ভিক্ষ বহু কৃষকের প্রাণ কেড়েছিল । এখন আবার মারাত্মক বন্যার কবলে । শুধুমাত্র মহারাষ্ট্র নয়, গোটা দেশের কৃষকরাই এ রকম সমস্যার সামনে ।

এ বছরে 280 জন কৃষক আত্মহত্যা করেছেন ৷ এই খবর প্রকাশিত হওয়ায় তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছিল কৃষক সংগঠন ৷ কারণ প্রতি বছর কমপক্ষে হাজার কৃষকের আত্যহত্যার ঘটনা ঘটে থাকে । 17 টি রাজ্যে খামার শ্রমিকের আত্মহত্যার ঘটনা কৃষক মৃত্যুর থেকেও বেশ কিছুটা বেশি, যা তুলে ধরে গ্রামীণ কৃষি ব্যবস্থার ভয়ঙ্কর অবস্থা । এ প্রসঙ্গে বলতে হয়, এ ক্ষেত্র সূক্ষ্ম পর্যবেক্ষণ অত্যন্ত জরুরি ৷ পাশাপাশি একদম নিচুতলার কৃষক এবং খামার শ্রমিকদের আর্থিক সাহায্যের জন্য কিছু পদক্ষেপ যেমন বিমা করা উচিত । এমন কিছু বিমা কার্যকর করা উচিত যাতে 2022 সালের মধ্যে কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার ক্ষেত্রে তা কার্যকর হতে পারে ।

কেন্দ্রীয় সরকার কৃষকদের প্রতিবছর আর্থিক সাহায্যের জন্য বিশেষ প্রকল্প আনছে ৷ এতে তাঁরা বছরে 6000 টাকা ভর্তুকি পেতে পারেন । ব্যক্তিগত বিনিয়োগ, কৃষি চুক্তি, কৃষি উৎপাদন, বিক্রির জন্য বাজারের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলির দিকে নজর দেওয়া এবং কৃষকদের উন্নতির কথা মাথায় রেখে বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে । মাস চারেক আগে মহারাষ্ট্রে যখন দেবেন্দ্র ফড়নবিশ মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, সে সময় একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়েছিল ৷ যদিও তার ভবিষ্যৎ এখন অনিশ্চিত । এটা বিশেষভাবে লক্ষণীয়, কৃষক সম্প্রদায়ের সহায়তার জন্য সংসদে পরিকল্পিত ভাবে কোনও অধিবেশন ডাকা হয়নি ৷ যেখানে কৃষকদের সমস্যা নিয়ে আলোচনা হতে পারে ৷ পরিসংখ্যান বলছে, 2015 সালে 80 শতাংশ কৃষক ঋণ নিয়েছিল ব্যাঙ্ক বা ছোটো বিনিয়োগকারী সংস্থার কাছ থেকে । বর্তমান সমবায় ব্যাঙ্ক ব্যবস্থা আসল সমস্যা সমাধানের থেকে অনেকটাই দূরে । আবহাওয়ার পরিবর্তনগত সমস্যাও একটি জটিল সমস্যা তৈরি করেছে । আবহাওয়ার পরিবর্তনগত সমস্যার হাত থেকে কৃষকরা কী ভাবে নিজেদের ফসল রক্ষা করবেন, সে বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য মুম্বই IIT-র গবেষকরা বিভিন্ন রাজ্যে আঞ্চলিক স্তর থেকে শুরু করে বিভিন্ন জেলায় সফর করেছেন । এ প্রসঙ্গে কেরলের পোক্কালি মডেল বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ এবং আবশ্যক বলে বিজ্ঞানীরা পরামর্শ দিয়েছেন । এখন সময় এসেছে কৃষির সঙ্গে বিজ্ঞানের মেলবন্ধন ঘটানোর ৷ কৃষকদের জীবনকে সুরক্ষিত করা, যাতে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা সুনিশ্চিত থাকে ।

Sangrur (Punjab), Nov 18 (ANI): A group of locals staged a protest against the killing of a Dalit man Jagmail Singh, who was allegedly beaten up and forced to drink urine in Punjab's Sangrur. Protesters demanded compensation for his family. While speaking to media, AAP MLA Harpal Singh Cheema said that compensation of Rs. 50 lakh must be given to the deceased's family. "He (Dalit man Jagmail Singh) died after he was forced to drink urine and was thrashed mercilessly. A compensation of Rs. 50 lakh must be given to the family of the deceased and also, a family member should be given a government job," Cheema told reporters.
Last Updated : Nov 18, 2019, 8:38 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.