ETV Bharat / bharat

ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকের ঠিক আগে কংগ্রেসে নেতৃত্ব সংকট - Congress

দলে নেতৃত্ব সংকট নিয়ে 24 অগাস্ট গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসতে চলেছে কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটি । কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে সেই বৈঠকের ঠিক আগের দিন নেতৃত্ব সংকট নিয়ে দলের অন্তর্বর্তী সভাপতি সোনিয়া গান্ধিকে গত মাসে লেখা দলের 23 জন প্রবীণ নেতার একটি চিঠি প্রকাশ্যে এসে পড়ায় একটা বিষয় এখন দিনের আলোর মতোই স্পষ্ট । শতাব্দী প্রাচীন দলের মধ্যে বহু সমস্যা রয়েছে । আলোচনায় বর্ষীয়াণ সাংবাদিক অমিত অগ্নিহোত্রি ।

Leadership crisis hits Congress
কংগ্রেসে নেতৃত্ব সংকট
author img

By

Published : Aug 24, 2020, 7:26 AM IST

দিল্লি , 24 অগাস্ট : গান্ধি না অন্য কেউ? শতাব্দী প্রাচীন দলের দায়িত্বে কে থাকবেন, তা নিয়ে পুরোনো সংকট ফের এক বার সামনে এসে পড়েছে । গান্ধিদের মধ্যে থেকেই যদি কাউকে বেছে নিতে হয়, তাহলে হাতে থাকে মাত্র দু’টি নাম সোনিয়া গান্ধি এবং রাহুল গান্ধি । আর এখানেই সবচেয়ে বড় সমস্যা ।

অনেক রাজনীতিবিদ মনে করেন , 2014 সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ভারতীয় জনতা পার্টির ক্ষমতায় আসা এবং সেই আবহে কংগ্রেসের বিশাল হার থেকে এই এই সমস্যার শুরু । দলে নেতৃত্ব সংকট নিয়ে 24 অগাস্ট গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসতে চলেছে কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটি । কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে সেই বৈঠকের ঠিক আগের দিন নেতৃত্ব সংকট নিয়ে দলের অন্তর্বর্তী সভাপতি সোনিয়া গান্ধিকে গত মাসে লেখা দলের 23 জন প্রবীণ নেতার একটি চিঠি প্রকাশ্যে এসে পড়ায় একটা বিষয় এখন দিনের আলোর মতোই স্পষ্ট । শতাব্দী প্রাচীন দলের মধ্যে বহু সমস্যা রয়েছে ।

একাধিক খারাপ দিক, দেশের বেহাল অর্থনীতি, নিরাপত্তা বিষয়ক একাধিক সমস্যা থাকা সত্ত্বেও যখন BJP ক্রমে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠছে , তখন কংগ্রেসের অবস্থা যেন আরও খারাপ হচ্ছে । কেন দলের অবস্থা খারাপ হচ্ছে , তার উত্তর পেতে কংগ্রেসকে সম্ভবত দলের অভ্যন্তরেই তাকাতে হবে ।

কংগ্রেসে এই নেতৃত্ব সংকট কিন্তু নতুন কোনও ঘটনা নয় । 2014 সালে লোকসভার 543 টি আসনের মধ্যে কংগ্রেস যখন মাত্র 44 টি আসন পেয়ে খারাপ ফল করার নতুন নজির তৈরি করেছিল , তখনই দলের সভাপতি পদ থেকে সরে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন সোনিয়া গান্ধি ।

একই সমস্যা তৈরি হয়েছিল পাঁচ বছর পরে যখন 2019 সালের লোকসভা নির্বাচনে 543 টি আসনের মধ্যে কংগ্রেস মাত্র 52 টি আসন জেতে । তখনও দলের পরাজয়ের দায়ভার নিয়ে রাহুল গান্ধি কংগ্রেসের সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেন ।

অনেকে বলেছিলেন যে , রাহুলের এই সিদ্ধান্ত সমালোচনার হাত থেকে বাঁচার জন্য নেওয়া । কিন্তু তখন থেকেই দেওয়াল লিখনটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল ।

দলের হাওয়া বুঝে রাহুল গান্ধি অ-গান্ধি কাউকে কংগ্রেসকে নেতৃত্ব দেওয়ার প্রস্তাব দেন । এই প্রস্তাব বহু বিতর্ক এবং আলোচনার পর দলের অন্তর্বর্তী সভাপতি হিসাবে সোনিয়া গান্ধিকে বেছে নেয় ।

অগাস্ট মাসের 10 তারিখ অন্তর্বর্তী সভাপতি হিসাবে এক বছরের মেয়াদ পূর্ণ করেন সোনিয়া । ইতিমধ্যেই অবশ্য ফের একবার রাহুল গান্ধিকে দলের সভাপতি করার বিষয়টি খুব জোরালো ভাবেই সামনে এসেছে । দলের প্রবীণ নেতাদের কাছে এই সিদ্ধান্ত যেন পুনর্মুষিক ভব ।

কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের ঠিক আগে দলের প্রবীণ নেতাদের নতুন নেতা খুঁজে নেওয়ার সোনিয়া গান্ধির নির্দেশের বিষয়টি সামনে আসার সঙ্গে সঙ্গে ফের একবার দলে রাহুল গান্ধির সমর্থক এবং বিরোধীদের সঙ্গে ছায়াযুদ্ধ শুরু হয়েছে ।

2017 সালে রাহুল গান্ধি দলের দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনটি রাজ্যে গুরুত্বপূর্ণ জয় পায় কংগ্রেস । 2018 সালে মধ্যপ্রদেশ , রাজস্থান এবং ছত্তিশগড় বিধানসভায় কংগ্রেসের জয়ের ফলে লোকসভা নির্বাচনে ভালো করার বিষয় আশাবাদী হয় দলীয় নেতৃত্ব । কিন্তু সবাইকে অবাক করে 2019 সালের সাধারণ নির্বাচনে ভরাডুবি হয় কংগ্রেসের । শুধুমাত্র সিদ্ধান্তহীনতা এবং অন্তর্কলহের জন্য চলতি বছর কংগ্রেস জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া এবং কমল নাথ সরকারকে BJP-এর কাছে হারায় । ক্ষমতালোভী BJP-এর থেকে কোনও মতে বাঁচে রাজস্থানের অশোক গেহলতের সরকার ।

আজকের দিনে কংগ্রেস একক ভাবে ক্ষমতায় রয়েছে পঞ্জাব , রাজস্থান , ছত্তিসগড় এবং পুদুচেরিতে । শরিকদের সঙ্গে ক্ষমতা ভাগ করে তারা ক্ষমতায় রয়েছে মহারাষ্ট্র এবং ঝাড়খণ্ডে । তিনটি বড় রাজ্য উত্তরপ্রদেশ , বিহার এবং পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেসের কার্যত কোনও অস্তিত্ব নেই । এই রাজ্যগুলিতে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে নির্বাচন রয়েছে ।

1998 থেকে 2017 সাল পর্যন্ত যখন সোনিয়া গান্ধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন , তখন তাঁর নেতৃত্ব গুণ , সবাইকে নিয়ে চলার ক্ষমতা , সবার মতামত নেওয়ার মতো বিষয়গুলি প্রশংসিত হয়েছিল । এই সব গুণের ফলেই তাঁকে অন্তর্বর্তী সভাপতি করা হয় । দলের প্রবীণ এবং নবীনদের কাছে তিনি একইরকমভাবে গৃহীত । কিন্তু তাঁর শারীরিক সমস্যা রয়েছে । আর কংগ্রেসের এমন কাউকে দরকার যিনি আগামী কয়েক দশক দলকে নেতৃত্ব দিতে পারবেন ।

2017 সালে রাহুল গান্ধির নেতৃত্বে আসা একটা প্রজন্মের পরিবর্তন বলে মনে করা হয় । যদিও তাঁর পদত্যাগের সিদ্ধান্ত বেশিরভাগকেই চমকে দিয়েছিল ।

দলের সাংগঠনিক স্তরে তৈরি হওয়া বড়সড় ফাঁকগুলি মেরামত করতে হবে কংগ্রেসকে । দলকে দেখতে হবে যেন নতুন প্রাদেশিক নেতা উঠে আসেন । তাঁদের হাতে যথেষ্ট ক্ষমতা দিতে হবে এবং কর্মসংস্থানের অভাব , বেহাল অর্থনীতি , জাতপাতের নামে বিভাজনের রাজনীতি , কৃষির সমস্যা ইত্যাদি বিষয়গুলি নিয়ে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে ।

যদিও এইসব কাজ করতে হলে কংগ্রেসকে সবার আগে নিজের ঘর গুছোতে হবে । কোনও অ-গান্ধির হাতে দলের নেতৃত্ব ছাড়লে দেখতে হবে তাঁর প্রতি যেন গান্ধি পরিবারের সমর্থন থাকে । তাঁকে স্বাধীন ভাবে কাজ করার সুযোগ দিতে হবে ।

দলে রাহুল গান্ধির সমর্থকরা বলেন , গত এক বছর ধরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং তাঁর বিভিন্ন নীতি নিয়ে একাই লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন রাহুল । জনমানসে তাঁর ছবি বদলানোর জন্য এক নাগাড়ে পরিশ্রম করে চলেছেন রাহুলের ম্যানেজাররা ।

সম্প্রতি দল থেকে বহিষ্কৃত কংগ্রেস নেতা সঞ্জয় ঝা এই ধরনের একটি চিঠির বিষয় সামনে আনেন । কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে দলের নেতৃত্ব বিষয়টি অস্বীকার করে সঞ্জয়ের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তোলেন । তার ঠিক কয়েক দিনের মধ্যেই সেই চিঠি ফাঁস হওয়ায় এখন প্রবল বিড়ম্বনায় পড়েছেন তাঁরা ।

ভোটারদের সঙ্গে সংযোগ বাড়াতে সমস্যা থেকে মুখ না ফিরিয়ে কংগ্রেসের উচিত সব সমস্যার বিরুদ্ধে লড়াই করা ।

দিল্লি , 24 অগাস্ট : গান্ধি না অন্য কেউ? শতাব্দী প্রাচীন দলের দায়িত্বে কে থাকবেন, তা নিয়ে পুরোনো সংকট ফের এক বার সামনে এসে পড়েছে । গান্ধিদের মধ্যে থেকেই যদি কাউকে বেছে নিতে হয়, তাহলে হাতে থাকে মাত্র দু’টি নাম সোনিয়া গান্ধি এবং রাহুল গান্ধি । আর এখানেই সবচেয়ে বড় সমস্যা ।

অনেক রাজনীতিবিদ মনে করেন , 2014 সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ভারতীয় জনতা পার্টির ক্ষমতায় আসা এবং সেই আবহে কংগ্রেসের বিশাল হার থেকে এই এই সমস্যার শুরু । দলে নেতৃত্ব সংকট নিয়ে 24 অগাস্ট গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসতে চলেছে কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটি । কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে সেই বৈঠকের ঠিক আগের দিন নেতৃত্ব সংকট নিয়ে দলের অন্তর্বর্তী সভাপতি সোনিয়া গান্ধিকে গত মাসে লেখা দলের 23 জন প্রবীণ নেতার একটি চিঠি প্রকাশ্যে এসে পড়ায় একটা বিষয় এখন দিনের আলোর মতোই স্পষ্ট । শতাব্দী প্রাচীন দলের মধ্যে বহু সমস্যা রয়েছে ।

একাধিক খারাপ দিক, দেশের বেহাল অর্থনীতি, নিরাপত্তা বিষয়ক একাধিক সমস্যা থাকা সত্ত্বেও যখন BJP ক্রমে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠছে , তখন কংগ্রেসের অবস্থা যেন আরও খারাপ হচ্ছে । কেন দলের অবস্থা খারাপ হচ্ছে , তার উত্তর পেতে কংগ্রেসকে সম্ভবত দলের অভ্যন্তরেই তাকাতে হবে ।

কংগ্রেসে এই নেতৃত্ব সংকট কিন্তু নতুন কোনও ঘটনা নয় । 2014 সালে লোকসভার 543 টি আসনের মধ্যে কংগ্রেস যখন মাত্র 44 টি আসন পেয়ে খারাপ ফল করার নতুন নজির তৈরি করেছিল , তখনই দলের সভাপতি পদ থেকে সরে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন সোনিয়া গান্ধি ।

একই সমস্যা তৈরি হয়েছিল পাঁচ বছর পরে যখন 2019 সালের লোকসভা নির্বাচনে 543 টি আসনের মধ্যে কংগ্রেস মাত্র 52 টি আসন জেতে । তখনও দলের পরাজয়ের দায়ভার নিয়ে রাহুল গান্ধি কংগ্রেসের সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেন ।

অনেকে বলেছিলেন যে , রাহুলের এই সিদ্ধান্ত সমালোচনার হাত থেকে বাঁচার জন্য নেওয়া । কিন্তু তখন থেকেই দেওয়াল লিখনটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল ।

দলের হাওয়া বুঝে রাহুল গান্ধি অ-গান্ধি কাউকে কংগ্রেসকে নেতৃত্ব দেওয়ার প্রস্তাব দেন । এই প্রস্তাব বহু বিতর্ক এবং আলোচনার পর দলের অন্তর্বর্তী সভাপতি হিসাবে সোনিয়া গান্ধিকে বেছে নেয় ।

অগাস্ট মাসের 10 তারিখ অন্তর্বর্তী সভাপতি হিসাবে এক বছরের মেয়াদ পূর্ণ করেন সোনিয়া । ইতিমধ্যেই অবশ্য ফের একবার রাহুল গান্ধিকে দলের সভাপতি করার বিষয়টি খুব জোরালো ভাবেই সামনে এসেছে । দলের প্রবীণ নেতাদের কাছে এই সিদ্ধান্ত যেন পুনর্মুষিক ভব ।

কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের ঠিক আগে দলের প্রবীণ নেতাদের নতুন নেতা খুঁজে নেওয়ার সোনিয়া গান্ধির নির্দেশের বিষয়টি সামনে আসার সঙ্গে সঙ্গে ফের একবার দলে রাহুল গান্ধির সমর্থক এবং বিরোধীদের সঙ্গে ছায়াযুদ্ধ শুরু হয়েছে ।

2017 সালে রাহুল গান্ধি দলের দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনটি রাজ্যে গুরুত্বপূর্ণ জয় পায় কংগ্রেস । 2018 সালে মধ্যপ্রদেশ , রাজস্থান এবং ছত্তিশগড় বিধানসভায় কংগ্রেসের জয়ের ফলে লোকসভা নির্বাচনে ভালো করার বিষয় আশাবাদী হয় দলীয় নেতৃত্ব । কিন্তু সবাইকে অবাক করে 2019 সালের সাধারণ নির্বাচনে ভরাডুবি হয় কংগ্রেসের । শুধুমাত্র সিদ্ধান্তহীনতা এবং অন্তর্কলহের জন্য চলতি বছর কংগ্রেস জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া এবং কমল নাথ সরকারকে BJP-এর কাছে হারায় । ক্ষমতালোভী BJP-এর থেকে কোনও মতে বাঁচে রাজস্থানের অশোক গেহলতের সরকার ।

আজকের দিনে কংগ্রেস একক ভাবে ক্ষমতায় রয়েছে পঞ্জাব , রাজস্থান , ছত্তিসগড় এবং পুদুচেরিতে । শরিকদের সঙ্গে ক্ষমতা ভাগ করে তারা ক্ষমতায় রয়েছে মহারাষ্ট্র এবং ঝাড়খণ্ডে । তিনটি বড় রাজ্য উত্তরপ্রদেশ , বিহার এবং পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেসের কার্যত কোনও অস্তিত্ব নেই । এই রাজ্যগুলিতে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে নির্বাচন রয়েছে ।

1998 থেকে 2017 সাল পর্যন্ত যখন সোনিয়া গান্ধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন , তখন তাঁর নেতৃত্ব গুণ , সবাইকে নিয়ে চলার ক্ষমতা , সবার মতামত নেওয়ার মতো বিষয়গুলি প্রশংসিত হয়েছিল । এই সব গুণের ফলেই তাঁকে অন্তর্বর্তী সভাপতি করা হয় । দলের প্রবীণ এবং নবীনদের কাছে তিনি একইরকমভাবে গৃহীত । কিন্তু তাঁর শারীরিক সমস্যা রয়েছে । আর কংগ্রেসের এমন কাউকে দরকার যিনি আগামী কয়েক দশক দলকে নেতৃত্ব দিতে পারবেন ।

2017 সালে রাহুল গান্ধির নেতৃত্বে আসা একটা প্রজন্মের পরিবর্তন বলে মনে করা হয় । যদিও তাঁর পদত্যাগের সিদ্ধান্ত বেশিরভাগকেই চমকে দিয়েছিল ।

দলের সাংগঠনিক স্তরে তৈরি হওয়া বড়সড় ফাঁকগুলি মেরামত করতে হবে কংগ্রেসকে । দলকে দেখতে হবে যেন নতুন প্রাদেশিক নেতা উঠে আসেন । তাঁদের হাতে যথেষ্ট ক্ষমতা দিতে হবে এবং কর্মসংস্থানের অভাব , বেহাল অর্থনীতি , জাতপাতের নামে বিভাজনের রাজনীতি , কৃষির সমস্যা ইত্যাদি বিষয়গুলি নিয়ে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে ।

যদিও এইসব কাজ করতে হলে কংগ্রেসকে সবার আগে নিজের ঘর গুছোতে হবে । কোনও অ-গান্ধির হাতে দলের নেতৃত্ব ছাড়লে দেখতে হবে তাঁর প্রতি যেন গান্ধি পরিবারের সমর্থন থাকে । তাঁকে স্বাধীন ভাবে কাজ করার সুযোগ দিতে হবে ।

দলে রাহুল গান্ধির সমর্থকরা বলেন , গত এক বছর ধরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং তাঁর বিভিন্ন নীতি নিয়ে একাই লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন রাহুল । জনমানসে তাঁর ছবি বদলানোর জন্য এক নাগাড়ে পরিশ্রম করে চলেছেন রাহুলের ম্যানেজাররা ।

সম্প্রতি দল থেকে বহিষ্কৃত কংগ্রেস নেতা সঞ্জয় ঝা এই ধরনের একটি চিঠির বিষয় সামনে আনেন । কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে দলের নেতৃত্ব বিষয়টি অস্বীকার করে সঞ্জয়ের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তোলেন । তার ঠিক কয়েক দিনের মধ্যেই সেই চিঠি ফাঁস হওয়ায় এখন প্রবল বিড়ম্বনায় পড়েছেন তাঁরা ।

ভোটারদের সঙ্গে সংযোগ বাড়াতে সমস্যা থেকে মুখ না ফিরিয়ে কংগ্রেসের উচিত সব সমস্যার বিরুদ্ধে লড়াই করা ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.