হায়দরাবাদ, 6 ডিসেম্বর : অভিযুক্তরা পুলিশের বন্দুক কেড়ে পালানোর চেষ্টা করছিল ৷ সেই কারণেই এনকাউন্টার ৷ জানালেন সাইবারাবাদ পুলিশের প্রধান ভি সি সজ্জনর ৷ হায়দরাবাদ পশু চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের মামলায় চার অভিযুক্তকে আজ সকালে এনকাউন্টার করে পুলিশ ৷ এরই মাঝে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মানবাধিকার কর্মীরা ৷ তবে তাদের প্রশ্নকে গুরুত্ব দিতে নারাজ এনকাউন্টার স্পেশালিস্ট তথা হায়দরাবাদ পুলিশের প্রধান ভি সি সজ্জনর ৷
আজ সকালে পুলিশের এনকাউন্টারে মৃত্যু হয় চার অভিযুক্তের । হায়দরাবাদ পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আজ ভোরের দিকে 44 নম্বর জাতীয় সড়কের উপর সে দিনের ঘটনার পুনর্নির্মাণ করতে চার অভিযুক্তকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ৷ সেখান থেকে তারা পালানোর চেষ্টা করে । তখনই এনকাউন্টার করা হয় । এই এনকাউন্টারের ঘটনায় খুশি বলিউডের একাধিক তারকা । এই উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ করার জন্য টুইট করে তেলাঙ্গানা পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন অনেকেই ।
-
#WATCH Telangana Police briefs the media on today's encounter https://t.co/wMljp3hapb
— ANI (@ANI) December 6, 2019 " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data="
">#WATCH Telangana Police briefs the media on today's encounter https://t.co/wMljp3hapb
— ANI (@ANI) December 6, 2019#WATCH Telangana Police briefs the media on today's encounter https://t.co/wMljp3hapb
— ANI (@ANI) December 6, 2019
সাইবারাবাদের পুলিশ প্রধান প্রধান ভি সি সজ্জনর বলেন, "আমি শুধু বলতে পারি আইন তার কাজ করেছে ৷ বিচার বিভাগ, রাজ্য সরকার থেকে শুরু করে মানবাধিকার কমিশন, সকলকে জবাব দিতে আমরা প্রস্তুত ৷" পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, " আমরা অভিযুক্তদের ঘটনাস্থানে নিয়ে গিয়ে অপরাধের পুনর্নিমাণ করার চেষ্টা করছিলাম ৷ অভিযুক্তরা অপরাধের সঙ্গে জড়িত কোনও বস্তু ঘটনাস্থানে ফেলে গেছে কি না তারও সন্ধান ওই এলাকায় করা হচ্ছিল ৷ আমরা ঘটনাস্থান থেকে নির্যাতিতার পাওয়ার ব্যাঙ্ক, ঘড়ি ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করি ৷" তিনি বলেন , "তখনই অভিযুক্তরা পুলিশের উপর হামলা করে এবং আমাদের বন্দুক কেড়ে নেয় ৷ পুলিশের দিকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতেও শুরু করে ৷ পুলিশ বারবার তাদের আত্মসমর্পণ করার কথা বললেও তারা শোনেনি ৷ এরপরই পুলিশ আত্মরক্ষার জন্য গুলি করে অভিযুক্তদের ৷"
পুলিশ প্রধান আরও জানান, গোটা ঘটনাটি প্রায় দশ থেকে পনেরো মিনিট ধরে চলেছিল ৷ প্রায় 10 জন পুলিশকর্মী ঘটনাস্থানে ছিলেন ৷ তাদের মধ্যে দু'জন অভিযুক্তদের গুলিতে জখম হয়েছেন ৷
আরও পড়ুন : কীভাবে দোষীদের শাস্তি দেওয়া উচিত শিখুক উত্তরপ্রদেশ পুলিশ : মায়াবতী
ভি সি সজ্জনর আরও বলেন, "অভিযুক্তদের এর আগেও একাধিক অপরাধের রেকর্ড রয়েছে ৷ এর আগেও কর্নাটক ও মহারাষ্ট্রে বেশ কয়েকটি ধর্ষণ করে খুনের ঘটনা ঘটেছিল ৷ আমরা অনুমান করছি ওই ঘটনাগুলিতেও অভিযুক্তদের হাত ছিল ৷"
আরও পড়ুন : 'পুলিশ জিন্দাবাদ', স্লোগান সাধারণ মানুষের
এদিকে আজকের এনকাউন্টারের ঘটনায় প্রশংসা কুড়িয়েছে হায়দরাবাদ পুলিশ ৷ কুর্নিশ জানিয়েছেন বিশিষ্ট ব্যক্তিদের একাংশ ৷ নির্যাতিতার বাবা জানিয়েছেন দোষীরা মরে যাওয়ায় তাঁর মেয়ের আত্মা শান্তি পেয়েছে ৷ সংবাদ মাধ্যমে প্রচারিত খবরের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মানবাধিকার কমিশন হায়দরাবাদ পুলিশের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে ৷ মানবাধিকার কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, "অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আদালত এখনও কোনও রায় দেয়নি ৷ অভিযুক্তরা যদি দোষী প্রমাণিত হত, তবে সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট আদালতই সিদ্ধান্ত নিত ৷" তদন্তের জন্য বিশেষ একটি দলও দ্রুত ঘটনাস্থানে পাঠানোর জন্য নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে মানবাধিকার কমিশনের তরফে ৷