ETV Bharat / bharat

বেশি পরিমাণে পরীক্ষাই কোরোনার বিরুদ্ধে সাফল্যের চাবিকাঠি - Large scale testing

যেখানে দেশে কোরোনা আক্রান্তের সংখ্যা 3.5 লাখে পৌঁছে গিয়েছে ৷ আর্থিক সংকটে ভুগতে থাকা রাজ্য সরকারগুলি ইতিমধ্যেই পরীক্ষার বিষয়ে হাল ছেড়ে দিয়েছে ৷ এর ফলে এই প্যানডেমিক গোষ্ঠী সংক্রমণের পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে ৷ এর ফলে কারও আর ক্ষতি হতে বাকি নেই ৷

ছবিটি প্রতীকী
ছবিটি প্রতীকী
author img

By

Published : Jun 20, 2020, 12:50 PM IST

কোরোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে সাফল্য পাওয়ার একমাত্র অস্ত্র হল পরীক্ষা ৷ তিন মাস হতে চলল WHO-এর তরফে একথা জানানো হয়েছে ৷ যদিও ভারত টেস্টিং কিট তৈরি ও উৎপাদনের দিকেই বিশেষ নজর দিয়েছে ৷ তারপরও এখন ভারতে প্রতিদিন কোরোনা পরীক্ষার হার এক লাখ 50 হাজার ৷ তবে সেরে ওঠার হার 52.47 শতাংশ, যা যথেষ্ট স্বস্তিদায়ক ৷ কিন্তু পরীক্ষা কম হওয়াটা বেশি ঝুঁকিপূর্ণ রোগীদের জন্য মারাত্মক হয়ে দাঁড়াচ্ছে (যাঁদের কার্ডিয়াক, রেনাল এবং পালমোনারি সংক্রান্ত সমস্যা, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে ) ৷ ল্যানসেটের একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে বিশ্বজুড়ে 170 কোটি (সারা বিশ্বের জনসংখ্যার 20 শতাংশ) মানুষের কোরোনায় ঝুঁকি রয়েছে ৷ CCMB-র ডিরেক্টরের এই পরামর্শ বিবেচনার মধ্যে আনা উচিত ৷

CISR-সেন্টার ফর সেলুলার অ্যান্ড মলিকিউলার বায়োলজি (CCMB)-র ডিরেক্টর রাকেশ মিশ্র বলেন, এশিয়ার বৃহত্তম বস্তি ধারাভিতে সংক্রমণ রুখতে প্রচুর পরিমাণে পরীক্ষা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে ৷ তাঁর মতে, ভারতে রোজ 10 লাখ পরীক্ষা করার লক্ষ্যে পৌঁছাতে হবে ৷ বর্তমানে RT-PCR টেস্টিং কিটের ঘাটতি রয়েছে ৷ RT-PCR-এর সঙ্গে সঙ্গে পরীক্ষার ফল দেওয়ার পদ্ধতিও বেশ খরচ সাপেক্ষ ৷ এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে CCMB একটি কম খরচের PCR তৈরি করেছে ৷ যা এখন ICMR-এর ছাড়পত্রের অপেক্ষায় রয়েছে ৷ এদিকে NIMS, ESI এবং TIFR-এর বিজ্ঞানীরা RT-LAMP পদ্ধতি তৈরি করে ফেলেছেন ৷ এই পদ্ধতিতে COVID-19 আধঘণ্টার মধ্যে সনাক্ত করা সম্ভব ৷ দক্ষিণ কোরিয়ার একটি সংস্থার নতুন অ্যান্টিজেন বা অ্যান্টিবডি পরীক্ষার বিষয়টি ICMR অনুমোদন করেছে ৷ কোরোনার বিরুদ্ধে লড়াই জেতার জন্য প্রচুর পরিমাণে পরীক্ষা করাই বাধ্যতামূলক ৷

প্যানডেমিকের বিরুদ্ধে নিউজ়িল্যান্ডের লড়াই অনেকটা এমনই ছিল ৷ অন্যদিকে, ভারতের আটটি রাজ্যে কোরোনা সংক্রমণের বৃদ্ধি চিন্তাজনকভাবে বাড়ছে ৷ যেখানে ভারতের কোরোনা আক্রান্তের সংখ্যা 3.5 লাখে পৌঁছে গিয়েছে ৷ আর্থিক সংকটে ভুগতে থাকা রাজ্য সরকারগুলি ইতিমধ্যেই পরীক্ষার বিষয়ে হাল ছেড়ে দিয়েছে ৷ এর ফলে এই প্যানডেমিক গোষ্ঠী সংক্রমণের পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে ৷ এর ফলে কারও আর ক্ষতি হতে বাকি নেই ৷ জার্মানি তাদের জনস্বাস্থ্যের উপর বাড়তি চাপ এড়াতে স্থানীয় স্তরে চিকিৎসা শুরু করে ৷ ভারতও একই ধরনের সনাক্তকরণ ও পরীক্ষার প্রক্রিয়ার পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারে ৷ কোরোনা চিকিৎসার খরচ যেহেতু অনেকের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়াচ্ছে, গরিবদের জন্য প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনার মাধ্যমে স্বাস্থ্যবিমার ব্যবস্থা করতে হবে ৷ ভারতে বর্ষাকাল শুরু হয়ে গিয়েছে ৷ তাই বিশেষজ্ঞরা ভয় পাচ্ছেন যে, কোরোনার সঙ্গেই বেশ কিছু মশাবাহিত রোগ জনস্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে ভয়ের কারণ হতে পারে ৷ আসন্ন এই সংকট মোকাবিলা করার জন্য কোরোনা পরীক্ষার জন্য গবেষণাগার বৃদ্ধি করতে হবে ৷ যে সমস্ত মানুষ ক্রনিক রোগে ভুগছেন, তাঁদের পরীক্ষা ও আইসোলেশনের মাধ্যমে সুরক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে ৷ সংক্রমণ কমাতে না পারলে এই যুদ্ধে ভারতের জেতার কোনও সম্ভাবনাই নেই ৷

কোরোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে সাফল্য পাওয়ার একমাত্র অস্ত্র হল পরীক্ষা ৷ তিন মাস হতে চলল WHO-এর তরফে একথা জানানো হয়েছে ৷ যদিও ভারত টেস্টিং কিট তৈরি ও উৎপাদনের দিকেই বিশেষ নজর দিয়েছে ৷ তারপরও এখন ভারতে প্রতিদিন কোরোনা পরীক্ষার হার এক লাখ 50 হাজার ৷ তবে সেরে ওঠার হার 52.47 শতাংশ, যা যথেষ্ট স্বস্তিদায়ক ৷ কিন্তু পরীক্ষা কম হওয়াটা বেশি ঝুঁকিপূর্ণ রোগীদের জন্য মারাত্মক হয়ে দাঁড়াচ্ছে (যাঁদের কার্ডিয়াক, রেনাল এবং পালমোনারি সংক্রান্ত সমস্যা, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে ) ৷ ল্যানসেটের একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে বিশ্বজুড়ে 170 কোটি (সারা বিশ্বের জনসংখ্যার 20 শতাংশ) মানুষের কোরোনায় ঝুঁকি রয়েছে ৷ CCMB-র ডিরেক্টরের এই পরামর্শ বিবেচনার মধ্যে আনা উচিত ৷

CISR-সেন্টার ফর সেলুলার অ্যান্ড মলিকিউলার বায়োলজি (CCMB)-র ডিরেক্টর রাকেশ মিশ্র বলেন, এশিয়ার বৃহত্তম বস্তি ধারাভিতে সংক্রমণ রুখতে প্রচুর পরিমাণে পরীক্ষা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে ৷ তাঁর মতে, ভারতে রোজ 10 লাখ পরীক্ষা করার লক্ষ্যে পৌঁছাতে হবে ৷ বর্তমানে RT-PCR টেস্টিং কিটের ঘাটতি রয়েছে ৷ RT-PCR-এর সঙ্গে সঙ্গে পরীক্ষার ফল দেওয়ার পদ্ধতিও বেশ খরচ সাপেক্ষ ৷ এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে CCMB একটি কম খরচের PCR তৈরি করেছে ৷ যা এখন ICMR-এর ছাড়পত্রের অপেক্ষায় রয়েছে ৷ এদিকে NIMS, ESI এবং TIFR-এর বিজ্ঞানীরা RT-LAMP পদ্ধতি তৈরি করে ফেলেছেন ৷ এই পদ্ধতিতে COVID-19 আধঘণ্টার মধ্যে সনাক্ত করা সম্ভব ৷ দক্ষিণ কোরিয়ার একটি সংস্থার নতুন অ্যান্টিজেন বা অ্যান্টিবডি পরীক্ষার বিষয়টি ICMR অনুমোদন করেছে ৷ কোরোনার বিরুদ্ধে লড়াই জেতার জন্য প্রচুর পরিমাণে পরীক্ষা করাই বাধ্যতামূলক ৷

প্যানডেমিকের বিরুদ্ধে নিউজ়িল্যান্ডের লড়াই অনেকটা এমনই ছিল ৷ অন্যদিকে, ভারতের আটটি রাজ্যে কোরোনা সংক্রমণের বৃদ্ধি চিন্তাজনকভাবে বাড়ছে ৷ যেখানে ভারতের কোরোনা আক্রান্তের সংখ্যা 3.5 লাখে পৌঁছে গিয়েছে ৷ আর্থিক সংকটে ভুগতে থাকা রাজ্য সরকারগুলি ইতিমধ্যেই পরীক্ষার বিষয়ে হাল ছেড়ে দিয়েছে ৷ এর ফলে এই প্যানডেমিক গোষ্ঠী সংক্রমণের পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে ৷ এর ফলে কারও আর ক্ষতি হতে বাকি নেই ৷ জার্মানি তাদের জনস্বাস্থ্যের উপর বাড়তি চাপ এড়াতে স্থানীয় স্তরে চিকিৎসা শুরু করে ৷ ভারতও একই ধরনের সনাক্তকরণ ও পরীক্ষার প্রক্রিয়ার পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারে ৷ কোরোনা চিকিৎসার খরচ যেহেতু অনেকের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়াচ্ছে, গরিবদের জন্য প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনার মাধ্যমে স্বাস্থ্যবিমার ব্যবস্থা করতে হবে ৷ ভারতে বর্ষাকাল শুরু হয়ে গিয়েছে ৷ তাই বিশেষজ্ঞরা ভয় পাচ্ছেন যে, কোরোনার সঙ্গেই বেশ কিছু মশাবাহিত রোগ জনস্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে ভয়ের কারণ হতে পারে ৷ আসন্ন এই সংকট মোকাবিলা করার জন্য কোরোনা পরীক্ষার জন্য গবেষণাগার বৃদ্ধি করতে হবে ৷ যে সমস্ত মানুষ ক্রনিক রোগে ভুগছেন, তাঁদের পরীক্ষা ও আইসোলেশনের মাধ্যমে সুরক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে ৷ সংক্রমণ কমাতে না পারলে এই যুদ্ধে ভারতের জেতার কোনও সম্ভাবনাই নেই ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.