তিরুবন্তপুরম, 14 জুলাই : কেরালার সোনা চোরাচালানের বিষয়ে IAS আধিকারিক এম শিবশঙ্করকে জাতীয় তদন্ত সংস্থা (NIA) জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় ।
NIA তরফে জানা গিয়েছে, এম শিবশঙ্করকে গ্রেপ্তারের পূর্বে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে । অবশ্য তিনি বহুদিন আগেই এই সোনার চোরাকারবার থেকে সরে এসেছিলেন । এম শিবশঙ্কর IT বিভাগের শীর্ষ আধিকারিক স্বপ্না সুরেশের (মূল অভিযুক্ত) খুব কাছের লোক বলে জানা গিয়েছে । এম শিবশঙ্কর IT বিভাগের সেক্রেটারি ছিলেন ।
চলতি মাসের শুরুতে খবরটি প্রকাশিত হওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের সেক্রেটারি পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল এম শিবশঙ্করকে । এ বিষয়ে পিনারাই বিজয়ান বলেন, তদন্তের স্বার্থে যদি কেন্দ্রীয় সংস্থা আমার দপ্তরের আসেন তাতে আমার বিন্দুমাত্র সমস্যা নেই ।
ইতিমধ্যে এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কেরালা বিধানসভায় পিনারাই সরকারের বিরুদ্ধে গিয়েছে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট । IT বিভাগে একাধিক কেলেঙ্কারির আশঙ্কা করছেন তাঁরা । যেহেতু পিনারাই এই IT বিভাগের প্রধান ।
এদিন বিরোধী কংগ্রেস নেতৃত্বের পক্ষ থেকে একটি প্রস্তাব আসে যে বিধানসভার স্পিকার পি শ্রীরামাকৃষ্ণাণকে পদত্যাগ করতে হবে । কারণ, বেশ কয়েকদিন আগে স্বপ্নার উদ্যোগে আয়োজিত একটি ব্যবসায়িক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পি শ্রীরামাকৃষ্ণাণ ।
শনিবার বেঙ্গালুরু থেকে NIA সপ্না ও সন্দীপ নায়েরকে গ্রেপ্তার করে । দুজনেই কেরালার সোনা চোরাচালানের সঙ্গে যুক্ত । রবিবার ট্রানজিট রিমান্ডে তাদেরকে সড়ক পথে নিয়ে আসা হয় কোচিতে । সেখানে আদালতে তোলা হয়েছে এবং NIA-র হেপাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক ।
শুক্রবার NIA মামলাটি গ্রহণ করে । বেআইনি কর্মকাণ্ড (প্রতিরোধ) আইনে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে FIR দায়ের করে ।
সপ্না হলে UAE-র প্রাক্তন কনস্যুলেটের । অভিযোগ 5 জুলাই দুবাই থেকে তিরুবন্তপুরমে স্বপ্না ব্যাগে করে 30 কেজি সোনা আনে । এই ঘটনায় আরও দুই অভিযুক্ত হল পি এস সরিৎ ও ফাজিল ফরিদ ।