রায়পুর, 20 এপ্রিল : দেশে প্রতিনিয়ত বেড়ে চলেছে কোরোনা আক্রান্তের সংখ্যা । সংক্রমণ প্রতিরোধে বাড়ানো হয়েছে লকডাউনের সময়সীমা । ঘরে থাকতে বলা হচ্ছে সকলকে । কিন্তু ছুটি নেই তাঁদের । অন্যরা যখন গৃহবন্দী তাঁরা তখন পরিবার ছেড়ে, সংক্রমণের ভয় উপেক্ষা করে কাজ করে চলেছেন । এমনই এক যোদ্ধা অমৃতা সোরি । রায়পুরের এই পুলিশ আধিকারিক সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা । কিন্তু অবহেলা করেননি কর্তব্য । দেখেননি আত্মস্বার্থ । সহকর্মীদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়ে চলেছেন নিরন্তর ।
কোরোনায় কাঁপছে দেশ । এপর্যন্ত দেশে কোরোনায় আক্রান্ত 14 হাজার 175 জন । মৃত্যু হয়েছে 543 জনের । এই পরিস্থিতিতে বয়স্ক, শিশু ও গর্ভবতী মহিলাদের বিশেষভাবে সচেতন থাকতে বলছেন চিকিৎসকরা । অন্তঃসত্ত্বাদের ক্ষেত্রে সংক্রমণের আশঙ্কা বেশি । কিন্তু কর্তব্যের কাছে ম্লান হয়ে গেছে সমস্ত ভয় । মানুষের স্বার্থে সহকর্মীদের সঙ্গে কাজ করে চলেছেন ছত্তিশগড়ের সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (IUCAW) অমৃতা সোরি ।
সংবাদসংস্থাকে এবিষয়ে অমৃতা বলেন, "এই কোরোনা যুদ্ধে আক্রান্তদের বাঁচাতে সামনে থেকে লড়ছেন চিকিৎসা পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত মানুষজন ও প্রশাসনের লোকজন । লকডাউন সফল করতে প্রশাসনের অন্যান্য বিভাগের সঙ্গে পুলিশও কাজ করছে । পুলিশ এক্ষেত্রে সদা তৎপর । আমার সহকর্মীরা এমন সময়ে আরও উৎসাহ পান যখন আমি তাঁদের সঙ্গে চেক পয়েন্টে দাঁড়িয়ে কাজ করি । আমার সহকর্মীরা প্রতি মুহূর্তে আমার পাশে রয়েছেন ।"
এক্ষেত্রে তাঁকে কাজে যোগ দিতে কেউ বাধ্য করেননি । অমৃতার বক্তব্য, "আমি নিজের ইচ্ছেতেই কাজে আসছি । কোনও শীর্ষ আধিকারিক আমাকে জোর করেননি ।"
কোরোনা মোকাবিলায় মানুষজনকে সচেতন করতে গিয়ে যখন একাধিক জায়গায় পুলিশকে মারধরের ঘটনা প্রকাশ্যে আসছে, সেই সময় পুলিশের মনোবল আরও দৃঢ় করছে 2007 ব্যাচের অমৃতার এই কাজ ।