সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত অনলাইন ক্লাস স্থগিত কর্নাটকে - বেসরকারি স্কুল
প্রাথমিক থেকে সপ্তম শ্রেণি অবধি পড়ুয়াদের অনলাইন ক্লাস না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল কর্নাটক সরকার। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা মন্ত্রী এস সুরেশ কুমার জানান, যে সকল স্কুল অনলাইন ক্লাসের জন্য অতিরিক্ত টাকা নেবে, তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে ।
বেঙ্গালুরু, 11জুন : নার্সারি থেকে সপ্তম শ্রেণি অবধি পড়ুয়াদের অনলাইন ক্লাসে নিষেধাজ্ঞা জারি করল কর্নাটক সরকার।
এর আগে গতকাল কর্নাটকের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষামন্ত্রী এস সুরেশ কুমার জানিয়েছিলেন, পঞ্চম শ্রেণি অবধি অনলাইন ক্লাস নেওয়া যাবে না। আজ মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পার নেতৃত্বে মন্ত্রিসভার একটি বৈঠক বসে। বৈঠকে অভিভাবকদের অভিযোগের পর্যালোচনার ভিত্তিতে আপাতত সপ্তম শ্রেণি অবধি অনলাইন ক্লাস স্থগিত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এস সুরেশ কুমার বুধবার জানান, "অনলাইন ক্লাস নিয়ে আমাদের কাছে বহু অভিযোগ এসেছে। বিশেষত L kG, U KG ও প্রাথমিক শ্রেণিগুলির পড়ুয়াদের অনলাইন ক্লাস নেওয়া নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। আমরা বিভিন্ন শিক্ষা বিশেষজ্ঞ ও ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ মেন্টাল হেলথ অ্যান্ড নিউরো সায়েন্সেস-এর অধিকর্তা দের সঙ্গে বৈঠক করেছি এবং তারা জানিয়েছেন স্ক্রিন টাইম (কতক্ষণ অনলাইনে ক্লাস চলছে), সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এর জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং কমিটির গাইডলাইন অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এছাড়া যে সকল বিদ্যালয় অনলাইন ক্লাসের নামে অতিরিক্ত টাকা নেবে, তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। "
তিনি আরও বলেন, " ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে, যা অনলাইন ক্লাসের সুবিধা ও অসুবিধাগুলি পর্যালোচনা করবে। দশ দিন পরে ওই কমিটি একটি রিপোর্ট জমা দেবে। তার পরিপ্রেক্ষিতেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। "
আজ মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর আইন ও সংসদ মন্ত্রী জে সি মাধুস্বামী সাংবাদিকদের জানান, " গ্রামীণ ও প্রত্যন্ত এলাকায় বসবাসকারী ছাত্র-ছাত্রীদের অনলাইন ক্লাসে যোগদান করতে অসুবিধা হচ্ছে । এছাড়াও অন্য সমস্যা আছে । সেই বিষয়টিকে মাথায় রেখেই আপাতত নার্সারি থেকে সপ্তম শ্রেণি অবধি অনলাইন ক্লাস স্থগিত রাখা হল। "
অন্যদিকে সুরেশ কুমার জানান, অনলাইন ক্লাস নিয়ে বহু অভিযোগ এসেছে। সেই বিষয়ে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলির প্রতিনিধি ও অন্যান্য বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠকে সকলেই সহমত হয়েছেন যে, স্কুলে নেওয়া ক্লাসের বিকল্প হতে পারে না অনলাইন ক্লাস। এছাড়া লকডাউনের মাঝে পড়ুয়াদের কিভাবে ব্যস্ত রাখা যায়, সেই বিষয়েও আলোচনা করা হয়েছে এবং কমিটিকে এই বিষয়ে নির্দেশিকা তৈরি করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ।
দশম শ্রেণির পরীক্ষা, যা 25 জুন থেকে 4 জুলাই অবধি হওয়ার কথা, সেই বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রী জানান, পড়ুয়াদের সুরক্ষার জন্য যাবতীয় স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করা হচ্ছে।
অন্যদিকে মাদ্রাজ হাইকোর্ট তামিলনাড়ুর স্কুলপড়ুয়াদের অনলাইন ক্লাস স্থগিত রাখার আবেদনে সম্মতি দিলেন না। বিচারপতি বিনীত কোঠারি ও আর সুরেশ কুমারের বেঞ্চ সঠিক নির্দেশিকা ছাড়াই অনলাইন ক্লাস চালানোয়, তার উপর স্থগিতাদেশ জারি করার একটি পিটিশনের শুনানিতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে 25 জুনের মধ্যে অনলাইন ক্লাসের নির্দেশিকা সম্পর্কিত একটি রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন।