বেঙ্গালুরু, 23 জুলাই : সংকট অব্যাহত কর্নাটকে ৷ সোমবার রাতে স্পিকার রমেশ কুমার জানিয়ে দিয়েছেন, আজ (মঙ্গলবার) সন্ধ্যা 6টা মধ্যে আস্থাভোট । তিনি বলেন, '' রাত 11টার দিকে যাওয়ার প্রশ্নই নেই ৷ শরীরের অবস্থা খুব একটা ভালো নয় কারও ৷'' মনে করা হচ্ছে, আজই ঠিক হতে পারে জোট সরকারের ভবিষ্যৎ ৷
গতকাল স্পিকার প্রথমে জানিয়েছিলেন, আস্থাভোটের জন্য রাত বারোটা পর্যন্ত অপেক্ষা করতেও তিনি রাজি । তবে কংগ্রেস ও JDS বিধায়করা দাবি করেন, আজ সুপ্রিম কোর্টে কর্নাটক মামলার শুনানির পরেই ভোটাভুটি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক । পরে আস্থা ভোটের সময় নিয়ে সিদ্ধান্ত বদলান স্পিকার ।
BJP-র দাবি, সুপ্রিম কোর্টের দিকে তাকিয়ে আস্থাভোটে দেরি করছেন মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামী নিজেই ৷ কর্নাটকের বিদ্রোহী বিধায়কদের সমন পাঠিয়েছেন স্পিকার । ক্ষমতাসীন জোট সরকারের অনুরোধ, এঁদের বহিষ্কার করা হোক । এদিকে কুমারস্বামী আবেদন জানিয়েছেন, বিদ্রোহী বিধায়করা ফিরে আসলে BJP-র চক্রান্ত ফাঁস করা সম্ভব হবে৷
কর্নাটকের একমাত্র BSP বিধায়ক জানিয়েছিলেন, হাইকম্যান্ডের নির্দেশে ভোটদানে বিরত থাকবেন তিনি । কিন্তু মায়াবতী তাঁর দলের বিধায়ককে কুমারস্বামীর পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন ৷ তাই খানিকটা হলেও স্বস্তি মিলেছে তাঁর । এদিকে, কংগ্রেস নেতা শিবকুমার তাঁর দলের বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, জোট সরকারকে সমর্থন না করলে তাঁদের সদস্যপদ বাতিল হবে । তাতে বিদ্রোহীদেরই ক্ষতি হবে ৷
224 সদস্যের বিধানসভায় 118 জন জোট সরকারের সদস্য । যদি 15 জন বিধায়ক যাঁরা পদত্যাগ করেছেন, তাঁদের পদত্যাগপত্র যদি সুপ্রিম কোর্ট স্বীকার করে নেয় তাহলে সরকার এসে দাঁড়াবে 101 সদস্যতে । দুই নির্দল বিধায়কের সমর্থন পেলে BJP এসে দাঁড়াবে 107 সদস্যে, যা সরকার গঠনের ন্যূনতম সংখ্যা 105টি আসনের থেকে দুই বেশি । সবমিলিয়ে কন্নড়ভূমির ভাগ্য জানতে আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে ৷