ETV Bharat / bharat

প্রতীক্ষার অবসান, ফাঁসি হল নির্ভয়ার 4 দোষীর

author img

By

Published : Mar 20, 2020, 9:04 AM IST

বহু প্রতীক্ষার পর অবশেষে বিচার পেল নির্ভয়া ৷ 2012 সালে নির্ভয়া গণধর্ষণকান্ডে অভিযুক্ত চারজনের ফাঁসি দেওয়া হল আজ ভোর সাড়ে 5টায় ৷ এর আগে তিনবার সাজা ঘোষণার পরও পিছিয়ে যায় ফাঁসি ৷

execution of 2012 Delhi gangrape case convicts
ফাঁসিকাঠে ঝুলল নির্ভয়াকান্ডে অভিযুক্তরা

দিল্লি, 20 মার্চ: অবশেষে মিলল সুবিচার ৷ 2012 সালের ডিসেম্বরের রাতে গণধর্ষণের শিকার হয়েছিল নির্ভয়া ৷ পরে মারা যায় সে ৷ দোষীদের সাজা দিতে লড়াই চালিয়েছিলেন নির্ভয়ার মা ৷ তিনিও পেলেন বিচার ৷

সাত বছর আগে চলন্ত বাসে দিল্লির এক মেডিকেল পড়ুয়ার গণধর্ষণ ও তার উপর হওয়া পাশবিক অত্যাচারের ঘটনায় কেঁপে উঠেছিল দিল্লিসহ গোটা দেশ ৷ আজ সেই ঘটনায় অভিযুক্ত চার ধর্ষণকারীকে ভোর 5.30-এ ফাঁসিতে ঝোলানো হল ৷

ফাঁসির সাজা থেকে নিজেদের বাঁচাতে বহু চেষ্টা করেছিল অভিযুক্তরা ৷ ফাঁসির মাত্র দুই ঘন্টা আগেই সুপ্রিম কোর্ট তাদের শেষ আবেদনটিও খারিজ করে দেয় ৷ অভিযুক্তদের আইনজীবী ফাঁসি রোখার জন্য কোরোনা ভাইরাসকেও অজুহাত হিসাবে ব্যবহার করার চেষ্টা করেন ৷ তবে কোর্ট এইবার সিদ্ধান্তে অটল ছিল ৷

অক্ষয় (31), পবন (25), বিনয় শর্মা (26) ও মুকেশ সিং (32)-কে ফাঁসিতে ঝোলানোর আগে নিয়ম মেনে তিহার জেলের আলাদা সেলে রাখা হয়েছিল ৷ প্রায় কিছু না খেয়ে কাটায় তারা ৷ ফাঁসির আগে সম্পূর্ণ তিহার জেল লক ডাউন করে দেওয়া হয় ৷ তিহার জেলের এক আধিকারিক জানান, ‘‘অভিযুক্তরা প্রায় সারা রাতই জেগে ছিল, কিছু খায়নি ৷ ভোর সাড়ে তিনটের সময় তাদের ডাকা হয় ৷ তাঁরা বুঝে যায় যে জীবনের অন্তিম মুহুর্তে এসে দাঁড়িয়েছে ৷’’

ফাঁসি রুখতে বিগত কয়েক মাস ধরে বহু পিটিশন জমা দেয় অভিযুক্তদের আইনজীবী এ পি সিং৷ যার জেরে সাজা পিছিয়ে যায় তিনবার ৷ গতকালও অক্ষয় ঠাকুরের আইনজীবী বলেন, ‘‘ওদের ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে পাঠিয়ে দিন, কিংবা ডোকলামে পাঠিয়ে দিন ৷ কিন্তু দয়া করে ফাঁসি দেবেন না ৷’’

2012 সালের 16 ডিসেম্বর রাতে নির্ভয়া এক বন্ধুর সঙ্গে সিনেমা দেখে বাড়ি ফিরছিল ৷ বাড়ি যাওয়ার জন্যই তারা একটি বাসে ওঠে ৷ বাসে উপস্থিত ছয়জন প্রথমে নির্ভয়ার বন্ধুকে মারধর করে বাসের পিছনে ফেলে রাখে ৷ তারপর শুরু হয় নির্ভয়ার উপর অমানবিক অত্যাচার ৷ কয়েক ঘণ্টা ধরে তাকে ধর্ষণ করে ওই ছয়জন ৷ লোহার রড দিয়ে নির্ভয়ার শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে আঘাত করে তারা ৷ চলন্ত বাস থেকেই বিবস্ত্র ও রক্তাত্ত অবস্থায় ছুড়ে ফেলে দেওয়া হয় নির্ভয়া ও তার বন্ধুকে ৷

ফাঁকা রাস্তায় নির্ভয়ার ওই বন্ধু গুরুতর জখম অবস্থাতেও পথচলতি প্রতিটি গাড়ির কাছে সাহায্য প্রার্থনা করে ৷ কিন্তু, হাত বাড়িয়ে দেয়নি কেউ ৷ উদ্ধার হওয়ার পর প্রথমে দিল্লিতেই ও পরে সিঙ্গাপুরের এক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় নির্ভয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ৷ জীবনের শেষ মুহুর্ত অবধি লড়াই চালালেও শেষ পর্যন্ত হার মানে নির্ভয়া ৷

নির্ভয়া ধর্ষণে অভিযুক্ত ছয়জন ধরা পড়লেও তাদের মধ্যে রাম সিংয়ের দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় সংশোধনাগার থেকে উদ্ধার হয় ৷ অপর এক অভিযুক্ত ঘটনার সময় নাবালক হওয়ায় তাকে তিন বছরের জন্য সংশোধনাগারে পাঠানো হয় ৷

দিল্লি, 20 মার্চ: অবশেষে মিলল সুবিচার ৷ 2012 সালের ডিসেম্বরের রাতে গণধর্ষণের শিকার হয়েছিল নির্ভয়া ৷ পরে মারা যায় সে ৷ দোষীদের সাজা দিতে লড়াই চালিয়েছিলেন নির্ভয়ার মা ৷ তিনিও পেলেন বিচার ৷

সাত বছর আগে চলন্ত বাসে দিল্লির এক মেডিকেল পড়ুয়ার গণধর্ষণ ও তার উপর হওয়া পাশবিক অত্যাচারের ঘটনায় কেঁপে উঠেছিল দিল্লিসহ গোটা দেশ ৷ আজ সেই ঘটনায় অভিযুক্ত চার ধর্ষণকারীকে ভোর 5.30-এ ফাঁসিতে ঝোলানো হল ৷

ফাঁসির সাজা থেকে নিজেদের বাঁচাতে বহু চেষ্টা করেছিল অভিযুক্তরা ৷ ফাঁসির মাত্র দুই ঘন্টা আগেই সুপ্রিম কোর্ট তাদের শেষ আবেদনটিও খারিজ করে দেয় ৷ অভিযুক্তদের আইনজীবী ফাঁসি রোখার জন্য কোরোনা ভাইরাসকেও অজুহাত হিসাবে ব্যবহার করার চেষ্টা করেন ৷ তবে কোর্ট এইবার সিদ্ধান্তে অটল ছিল ৷

অক্ষয় (31), পবন (25), বিনয় শর্মা (26) ও মুকেশ সিং (32)-কে ফাঁসিতে ঝোলানোর আগে নিয়ম মেনে তিহার জেলের আলাদা সেলে রাখা হয়েছিল ৷ প্রায় কিছু না খেয়ে কাটায় তারা ৷ ফাঁসির আগে সম্পূর্ণ তিহার জেল লক ডাউন করে দেওয়া হয় ৷ তিহার জেলের এক আধিকারিক জানান, ‘‘অভিযুক্তরা প্রায় সারা রাতই জেগে ছিল, কিছু খায়নি ৷ ভোর সাড়ে তিনটের সময় তাদের ডাকা হয় ৷ তাঁরা বুঝে যায় যে জীবনের অন্তিম মুহুর্তে এসে দাঁড়িয়েছে ৷’’

ফাঁসি রুখতে বিগত কয়েক মাস ধরে বহু পিটিশন জমা দেয় অভিযুক্তদের আইনজীবী এ পি সিং৷ যার জেরে সাজা পিছিয়ে যায় তিনবার ৷ গতকালও অক্ষয় ঠাকুরের আইনজীবী বলেন, ‘‘ওদের ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে পাঠিয়ে দিন, কিংবা ডোকলামে পাঠিয়ে দিন ৷ কিন্তু দয়া করে ফাঁসি দেবেন না ৷’’

2012 সালের 16 ডিসেম্বর রাতে নির্ভয়া এক বন্ধুর সঙ্গে সিনেমা দেখে বাড়ি ফিরছিল ৷ বাড়ি যাওয়ার জন্যই তারা একটি বাসে ওঠে ৷ বাসে উপস্থিত ছয়জন প্রথমে নির্ভয়ার বন্ধুকে মারধর করে বাসের পিছনে ফেলে রাখে ৷ তারপর শুরু হয় নির্ভয়ার উপর অমানবিক অত্যাচার ৷ কয়েক ঘণ্টা ধরে তাকে ধর্ষণ করে ওই ছয়জন ৷ লোহার রড দিয়ে নির্ভয়ার শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে আঘাত করে তারা ৷ চলন্ত বাস থেকেই বিবস্ত্র ও রক্তাত্ত অবস্থায় ছুড়ে ফেলে দেওয়া হয় নির্ভয়া ও তার বন্ধুকে ৷

ফাঁকা রাস্তায় নির্ভয়ার ওই বন্ধু গুরুতর জখম অবস্থাতেও পথচলতি প্রতিটি গাড়ির কাছে সাহায্য প্রার্থনা করে ৷ কিন্তু, হাত বাড়িয়ে দেয়নি কেউ ৷ উদ্ধার হওয়ার পর প্রথমে দিল্লিতেই ও পরে সিঙ্গাপুরের এক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় নির্ভয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ৷ জীবনের শেষ মুহুর্ত অবধি লড়াই চালালেও শেষ পর্যন্ত হার মানে নির্ভয়া ৷

নির্ভয়া ধর্ষণে অভিযুক্ত ছয়জন ধরা পড়লেও তাদের মধ্যে রাম সিংয়ের দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় সংশোধনাগার থেকে উদ্ধার হয় ৷ অপর এক অভিযুক্ত ঘটনার সময় নাবালক হওয়ায় তাকে তিন বছরের জন্য সংশোধনাগারে পাঠানো হয় ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.