রাঁচি, 13 জুলাই : আত্মস্থ করতে হবে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত ৷ পড়ুয়াদের এই নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগ উঠল ঝাড়খণ্ডের এক বেসরকারি কিন্ডারগার্টেন স্কুলের শিক্ষিকার বিরুদ্ধে ৷ ওই শিক্ষিকার দেশবিরোধী মনোভাব রয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে ৷ অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে প্রশাসন ৷ পূর্ব সিংভূম জেলার ঘাটশিলার ঘটনা ৷
কোরোনার জেরে বন্ধ রয়েছে স্কুল ৷ অনলাইনে নিয়মিতভাবে ক্লাস চলছে ওই বেসরকারি স্কুলের ৷ অভিযোগ, গত সপ্তাহে অনলাইন ক্লাস চলাকালীন ওই শিক্ষিকা স্কুলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে কিন্ডারগার্টেনের পড়ুয়াদের পাকিস্তান ও বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতের ইউটিউব লিঙ্ক পাঠান ৷ সেগুলি আত্মস্থ করার জন্যও বলেন ৷ যা নিয়ে আপত্তি জানান অভিভাবকদের একাংশ ৷
BJP মুখপাত্র কুনাল সারঙ্গি এই ঘটনা টুইটারেও তুলে ধরেন ৷ এরপরই জেলা প্রশাসন দুই সদস্যের এক প্রতিনিধি দল বানিয়ে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দেয় ৷ ওই প্রতিনিধি দলকে 24 ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পূর্ব সিংভূম জেলা শিক্ষা আধিকারিক শিবেন্দ্র কুমার ৷
এদিকে প্রতিবাদের জেরে ওই জাতীয় সংগীত দু'টি আত্মস্থ করতে হবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ঘাটশিলার ওই বেসরকারি স্কুলের তরফে ৷
এই নিয়ে BJP-র তরফে আদিত্য সাহু জানিয়েছেন, "যেসব বেসরকারি স্কুল হোমটাস্কের নামে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত আত্মস্থ করতে বলে, সেইসব স্কুলগুলিতে আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যত অন্ধকার ৷"
এই বিষয়ে ওই শিক্ষিকার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে, তাঁর কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি ৷