দিল্লি, 18 জুন : ভারত-চিন সীমান্তে সংঘর্ষ নিয়ে চলছে একাধিক গুজব । আজ সকালে সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত একটি ভিডিয়ো তুলে ধরে টুইট করেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি । টুইটে তিনি লেখেন, "নিরস্ত্র ভারতীয় জওয়ানদের হত্যা করার সাহস কীভাবে পায় চিনের সেনা ? কেন জওয়ানদের নিরস্ত্র অবস্থায় শহিদ হতে হল?" এবার রাহুল গান্ধির টুইটের জবাব দিয়ে টুইট করলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর ।
টুইটে বিদেশমন্ত্রী লেখেন, "সত্যিটা আগে জেনে নেওয়া যাক । সীমান্তে প্রহরায় থাকা জওয়ানরা সবসময় সঙ্গে অস্ত্র রাখেন । যখনই কোনও জওয়ান সেনা ছাউনি থেকে বাইরে যান, সবসময় সঙ্গে অস্ত্র রাখেন । 15 জুন ভারতীয় সেনার যে জওয়ানরা সীমান্তে টহল দিচ্ছিলেন, তাঁদের হাতেও অস্ত্র ছিল । 1996 সাল ও 2005 সালের সীমান্ত চুক্তি অনুসারে সীমান্তে সংঘর্ষের সময়ে অস্ত্রের ব্যবহার করা যায় না । এটা দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা একটা চুক্তি ।"
কয়েকদিন ধরে সংবাদমাধ্যমের একাংশে প্রকাশিত হয়েছিল যে সেনা জওয়ানরা কেন সীমান্তে টহল দেওয়ার সময় নিরস্ত্র থাকেন? একই প্রশ্ন তোলেন রাহুল গান্ধি । এবার সেই প্রশ্নেরই জবাব দিলেন বিদেশমন্ত্রী । জানিয়ে দিলেন, সীমান্তে টহল দেওয়ার সময়ে নিরস্ত্র ছিলেন না জওয়ানরা । তবে সীমান্ত চুক্তি অনুযায়ী, সংঘর্ষে অস্ত্র ব্যবহার করাটা নিয়মবিরুদ্ধ ।
উল্লেখ্য , লাদাখে ভারত-চিন সীমান্ত বরাবর প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় গালওয়ান ভ্যালিতে দু'পক্ষের সংঘর্ষকে ঘিরে শহিদ হন ভারতীয় সেনার 20 জন জওয়ান ৷
পূর্ব লাদাখের প্যাংগং লেক, গালওয়ান ভ্যালি, ডেমচক ও দাউলাত বেগ ওলডিতে বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরেই ভারত-চিনা সেনার মধ্যে উত্তেজনার খবর পাওয়া যাচ্ছিল ৷ চিনের লিবারেশন আর্মির কয়েকজন কর্মী প্যাংগং লেকের মতো বেশ কিছু জায়গায় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছিল বলে শোনা যাচ্ছিল ৷ পরে শোনা গেছিল, পূর্ব লাদাখের ওই এলাকাগুলি থেকে চিনা সেনারা সরে গেছিল ৷ ভারতের তরফেও সেনাবাহিনী ও যুদ্ধযান সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল ৷ তার মধ্যেই দীর্ঘ 45 বছর পর ভারত-চিন নিয়ন্ত্রণরেখায় রক্তপাত হয় ৷