দিল্লি, 26 মে : রাজ্যের জন্য ‘বিশেষ মর্যাদা’ আদায় করবেন বলে কথা দিয়েছিলেন ভোটের আগেই । সেই প্রতিশ্রুতিই তাঁকে অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসার সুযোগ এনে দিয়েছে । এবার সেই প্রতিশ্রুতি পূরণের কাজ শুরু করে দিলেন জগনমোহন রেড্ডি । অন্ধ্র বিধানসভা ভোটে বিপুল মার্জিনে জয় পাওয়ার পর আজ প্রথমবার নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করতে গেছিলেন জগন । প্রথম সাক্ষাতেই উঠে এল অন্ধ্রের জন্য 'স্পেশাল স্টেটাস' বা 'বিশেষ মর্যাদা'-র প্রসঙ্গ । একই সঙ্গে, মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নিজের শপথ অনুষ্ঠানেও মোদিকে আমন্ত্রণ জানালেন জগন ।
এ বার অন্ধ্রপ্রদেশে লোকসভার সঙ্গেই বিধানসভা ভোটও হয়েছে । বিধানসভায় 175 আসনের মধ্যে YSRCP-র প্রার্থীরা জিতেছেন 151টি আসনে । মূল প্রতিপক্ষ চন্দ্রবাবু নাইডুর তেলুগু দেশম পার্টির ঝুলিতে আসন সংখ্যা মাত্র 23 । লোকসভাতেও শোচনীয় হারের মুখ দেখতে হয়েছে TDP প্রার্থীদের । 25 লোকসভা আসনের মধ্যে মাত্র তিনটি গেছে তাদের দখলে ।
লোকসভা এবং বিধানসভা ভোটে বিপুল সাফল্যের পরও দুশ্চিন্তার ভাঁজ জগনের কপালে । যার প্রধান কারণ সেই বিশেষ মর্যাদা । কিন্তু, কেন ? 2014 সালে তেলাঙ্গানা আলাদা রাজ্য হওয়ার পর থেকেই এই দাবি ঘিরেই আবর্তিত দক্ষিণের এই রাজ্যের রাজনীতি। কেন্দ্র প্রতিশ্রুতি দিয়েও তা পালন করছে না, এই অভিযোগ তুলে NDA জোট ছেড়ে চলে যান চন্দ্রবাবু । কিন্তু কখনও মমতার সঙ্গে, কখনও আবার রাহুল গান্ধির সঙ্গে হাত মেলাতে দেখা যায় চন্দ্রবাবুকে । এভাবে বার বার মঞ্চ বদল অন্ধ্রের মানুষ যে ভালো চোখে নেননি, তা ভোটের ফলেই স্পষ্ট । আর ভোটের বাজারে সেই সুযোগকে কাজে লাগান জগন । এমন কী, এ বছরের গোড়াতেই 3648 কিলোমিটার পদযাত্রা করে অন্ধ্রবাসীকে বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন, চন্দ্রবাবুর পক্ষে অন্ধ্রের বিশেষ মর্যাদা আদায় সম্ভব নয়।
এখন সেই প্রতিশ্রুতি পালনই জগনের সামনে সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ । বিপুল জনসমর্থন নিয়ে দ্বিতীয় বারের জন্য ক্ষমতায় এসেছেন মোদি । ফলে জগনের কাছে দর কষাকষির আর তেমন সুযোগই থাকল না । সেটা বুঝেছেন জগনও । তাই তড়িঘড়ি দিল্লি পৌঁছেই মোদির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে শুভেচ্ছা জানিয়ে এসেছেন । তবে উদ্বেগ গোপন রাখেননি অন্ধ্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওয়াই এস রাজশেখর রেড্ডির ছেলে জগন। তাই আকারে-ইঙ্গিতে নিজেকে বাঁচার কথাও বলেছেন । জগনের কথায়, ‘‘যত বাধাই আসুক, এই স্পেশাল স্টেটাসের দাবি থেকে আমরা সরব না।’’