ETV Bharat / bharat

ভারতে শৈশব কি সুরক্ষিত হাতে আছে?

বর্তমান পরিস্থিতির তখনই উন্নতি হবে যখন আগামী দশ বছরে বার্ষিক কার্বন নির্গমণের পরিমাণ ৩৯.৭ গিগাটন থেকে কমিয়ে ২২.৮ গিগাটনে গিয়ে দাঁড়াবে ৷ সবশেষে বিশ্বের সমস্ত দেশকে একটা বহুমুখী পরিকল্পনা কার্যকর করতে হবে ৷ যার লক্ষ্য হবে বনাঞ্চলের ঘাটতি কমানো, জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমানো, খাবারের অপচয় রোধ এবং জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ ৷

author img

By

Published : Feb 27, 2020, 9:03 AM IST

CHILDHOOD
শৈশব

নিউইয়র্ক, 27 ফেব্রুয়ারি: সুরক্ষিত নয় ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ৷ শিশুমৃত্যুর কারণ হিসেবে পরিবেশের অবনতির কথা বলছে UNICEF ৷ বিশ্ব ব্যাঙ্ক বলছে বিশ্বে ২৩ শতাংশ শিশু মারা যাচ্ছে পরিবেশের অবনতির কারণে ৷ সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের মধ্যে এই তথ্য বিস্ময় জাগিয়েছে ৷ সর্বশেষ তথ্য যা সামনে এসেছে তা হল যে কোনও দেশই যথাযথভাবে শিশুদের স্বাস্থ্য সুরক্ষিত করতে পারছে না ৷

শিশুদের বিকাশ নিয়ে একটি বিস্তারিত গবেষণা করা হয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, UNICEF এবং দ্য ল্যান্সেটের তরফে ৷ তাতে দেখা গিয়েছে যে অন্যান্য দেশের তুলনায় নরওয়ে, দক্ষিণ কোরিয়া, নেদারল্যান্ডস এবং ফ্রান্সে শিশুদের বিকাশ অনেক ভালো ৷ ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, মধ্য আফ্রিকা, সোমালিয়া এবং চাদে শিশু বিকাশের পরিস্থিতি বেশ শোচনীয় ৷ শিশু বিকাশের নিরিখে ১৮০টি দেশের মধ্যে সমীক্ষা করা হয় ৷ তার উপর ভিত্তি করে UN-এর তালিকায় ভারতের স্থান ১৩১-এ ৷ আজকের শিশুদের সুরক্ষিত ভবিষ্যৎ দেওয়ার লক্ষ্যে ২০৩০ সালের মধ্যে কোন কোন দেশ মাথা পিছু কত কার্বন নির্গমণ কমাতে সক্ষম হবে, তার উপরও সমীক্ষা হয়েছে ৷ তাতে দেখা গিয়েছে আলবেনিয়া, আরমেনিয়া, গ্রেনেডা, জর্ডন, মলডোভা, শ্রীলঙ্কা, তিউনিশিয়া, উরুগুয়ে এই তালিকায় জায়গা করে নিতে পারে ৷ ওই সমীক্ষা অনুযায়ী, উল্লেখিত দেশগুলির সঙ্গে পাল্লা দিতে ভারতের মতো দেশকে অনেক পরিকল্পনা করতে হবে ৷ বর্তমান পরিস্থিতির তখনই উন্নতি হবে যখন আগামী দশ বছরে বার্ষিক কার্বন নির্গমণের পরিমাণ ৩৯.৭ গিগাটন থেকে কমিয়ে ২২.৮ গিগাটনে গিয়ে দাঁড়াবে ৷ সবশেষে বিশ্বের সমস্ত দেশকে একটা বহুমুখী পরিকল্পনা কার্যকর করতে হবে ৷ যার লক্ষ্য হবে বনাঞ্চলের ঘাটতি কমানো, জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমানো, খাবারের অপচয় রোধ এবং জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ ৷

ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুরক্ষিত জীবন দেওয়ার লক্ষ্যে তিন দশক আগে শপথ করেছিল রাষ্ট্রসংঘ ৷ এর প্রভাব মূল্যায়ন করতে গেলে বিভিন্ন দেশের পরিস্থিতির সবিস্তার বিশ্লেষণ করা উচিত ৷ অতীতের দিকে তাকালে দেখা যাবে এক প্রজন্ম আগে বছরে ৪৪ লাখ শিশুর মৃত্যু হত ৷ ৯.৫ কোটি শিশু দিনমজুরে পরিণত হত এবং ১১.৫ কোটি শিশু শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত হত ৷ অতীতের সঙ্গে তুলনা করলে বর্তমান পরিস্থিতি অনেকটাই ভালো ৷ তার পরও যদি জলবায়ুর পরিবর্তন এবং শিশুদের সঙ্গে বেপরোয়া বাণিজ্যিকিকরণ, এই দুই নির্ধারকের উপর আলোকপাত করা হয় তাহলে দেখা যাবে বর্তমান প্রজন্মের শিশুদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে চলে যাচ্ছে ৷ বিশ্ব উষ্ণায়নের জেরে ফসল উৎপাদন ক্রমশ কমছে ৷ যার থেকে বাড়ছে শিশুদের পুষ্টির অভাব ৷ ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, কলেরার মতো রোগের প্রভাব ক্রমশ বাড়ছে ৷ ফাস্ট ফুড, সফট ড্রিঙ্কস, তামাক জাতীয় দ্রব্য এবং অ্যালকোহল তৈরির ব্যবসা নজিরবিহীন ভাবে বাড়ছে ৷ এগুলির মারাত্মক প্রভাব পড়ছে বর্তমান প্রজন্মের শিশুদের ওপর৷ শিশু ও বয়ঃসন্ধিকালের কিশোর-কিশোরীদের মোটা হওয়ার সংখ্যা ১৯৭৫ সালে ছিল ১.১০ কোটি ৷ ২০১৬ সালে এই সংখ্যাটাই বেড়ে হয়েছে ১২.৪০ কোটি ৷ বর্তমানে মোটা হওয়ার সমস্যা ধনী ও গরিব সব দেশেই প্রভাব ফেলেছে ৷ ৭ শতাংশের বেশি শিশু কিডনির রোগে ভুগছে ৷ ১৯ বছরের কমবয়সীদের মধ্যে ১০ শতাংশের শরীরে ডায়াবেটিসের সমস্যা ধরা পড়েছে ৷ জীবনযাত্রার কুপ্রভাব এবং জলবায়ুর পরিবর্তনের ফলাফল এই পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট ৷ ভারত একমাত্র দেশ যেখানে মোটা হওয়ার প্রবণতা এবং অপুষ্টির সমস্যা সমানভাবে প্রভাব ফেলেছে ৷ অপুষ্টি ঠেকাতে অবিলম্বে জাতীয় স্বাস্থ্য নীতিতে পরিবর্তন আনা জরুরি ৷

CHILDHOOD
২০১৫ থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে ৭ কোটি শিশুর মৃত্যু হবে

গত ২০ বছরে অপুষ্টিতে মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে ৷ তা সত্ত্বেও দুর্ভাগ্যজনকভাবে এখনও ৭ লক্ষ শিশু অনাহার এবং অপুষ্টিতে ভুগছে ৷ UN-এর একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৫ থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে ৭ কোটি শিশুর মৃত্যু হবে ৷ মোট মৃত্যুর ১৮ শতাংশই হবে ভারতে ৷ বছরে 60 হাজারের মতো পাঁচ বছরের কমবয়সী শিশু নানা রোগে মারা যাচ্ছে ৷ সময়মতো টিকাকরণ হলে এই মৃত্যু আটকানো সম্ভব হত ৷ ২০২২ সালের মধ্যে অপুষ্টিজনিত ঘাটতি রুখতে পোষণ অভিযান নেওয়া হয়েছিল ৷ সেই কাজ এখনও ঠিকমতো শুরুই হয়নি ৷ জাতীয় পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের (NIN) দাবি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের তুলনায় ভারতের শিশুরা ৪০ গুণ বেশি ভেজাল খাবার খায় ৷ এদেশে ভিটামিন ও খনিজ সরবরাহের সরকারি প্রকল্প এখনও দিনের আলো দেখেনি ৷ স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে ভালো পুষ্টি, সময়মতো টিকাকরণ এবং কম দামে অ্যান্টিবায়োটিকের সরবরাহ মৃত্যুর পরিমাণকে অনেকটাই কমাতে পারে ৷ সরকারকে এই পথে চলার পরামর্শ দেওয়ার পরও ডায়রিয়া এবং নিউমোনিয়াতে প্রতিবছর প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে ৷ নীতি আয়োগের পরামর্শ অনুযায়ী পুষ্টির লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছানোর দায়িত্ব অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলির হাতেই তুলে দেওয়া উচিত৷ কিন্তু তারা মা ও শিশুর কল্যাণ সংক্রান্ত প্রকল্পে প্রশাসনিক দুর্নীতির বিষয়টিতে একেবারেই নজর দিতে চাইছে না ৷ মা ও শিশুর সুরক্ষা নিয়ে যখনই দেশের রাজনৈতিক দলগুলি এবং সরকার বুঝতে পারবে তখনই ভারতের মাথা উঁচু হবে ৷

নিউইয়র্ক, 27 ফেব্রুয়ারি: সুরক্ষিত নয় ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ৷ শিশুমৃত্যুর কারণ হিসেবে পরিবেশের অবনতির কথা বলছে UNICEF ৷ বিশ্ব ব্যাঙ্ক বলছে বিশ্বে ২৩ শতাংশ শিশু মারা যাচ্ছে পরিবেশের অবনতির কারণে ৷ সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের মধ্যে এই তথ্য বিস্ময় জাগিয়েছে ৷ সর্বশেষ তথ্য যা সামনে এসেছে তা হল যে কোনও দেশই যথাযথভাবে শিশুদের স্বাস্থ্য সুরক্ষিত করতে পারছে না ৷

শিশুদের বিকাশ নিয়ে একটি বিস্তারিত গবেষণা করা হয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, UNICEF এবং দ্য ল্যান্সেটের তরফে ৷ তাতে দেখা গিয়েছে যে অন্যান্য দেশের তুলনায় নরওয়ে, দক্ষিণ কোরিয়া, নেদারল্যান্ডস এবং ফ্রান্সে শিশুদের বিকাশ অনেক ভালো ৷ ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, মধ্য আফ্রিকা, সোমালিয়া এবং চাদে শিশু বিকাশের পরিস্থিতি বেশ শোচনীয় ৷ শিশু বিকাশের নিরিখে ১৮০টি দেশের মধ্যে সমীক্ষা করা হয় ৷ তার উপর ভিত্তি করে UN-এর তালিকায় ভারতের স্থান ১৩১-এ ৷ আজকের শিশুদের সুরক্ষিত ভবিষ্যৎ দেওয়ার লক্ষ্যে ২০৩০ সালের মধ্যে কোন কোন দেশ মাথা পিছু কত কার্বন নির্গমণ কমাতে সক্ষম হবে, তার উপরও সমীক্ষা হয়েছে ৷ তাতে দেখা গিয়েছে আলবেনিয়া, আরমেনিয়া, গ্রেনেডা, জর্ডন, মলডোভা, শ্রীলঙ্কা, তিউনিশিয়া, উরুগুয়ে এই তালিকায় জায়গা করে নিতে পারে ৷ ওই সমীক্ষা অনুযায়ী, উল্লেখিত দেশগুলির সঙ্গে পাল্লা দিতে ভারতের মতো দেশকে অনেক পরিকল্পনা করতে হবে ৷ বর্তমান পরিস্থিতির তখনই উন্নতি হবে যখন আগামী দশ বছরে বার্ষিক কার্বন নির্গমণের পরিমাণ ৩৯.৭ গিগাটন থেকে কমিয়ে ২২.৮ গিগাটনে গিয়ে দাঁড়াবে ৷ সবশেষে বিশ্বের সমস্ত দেশকে একটা বহুমুখী পরিকল্পনা কার্যকর করতে হবে ৷ যার লক্ষ্য হবে বনাঞ্চলের ঘাটতি কমানো, জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমানো, খাবারের অপচয় রোধ এবং জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ ৷

ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুরক্ষিত জীবন দেওয়ার লক্ষ্যে তিন দশক আগে শপথ করেছিল রাষ্ট্রসংঘ ৷ এর প্রভাব মূল্যায়ন করতে গেলে বিভিন্ন দেশের পরিস্থিতির সবিস্তার বিশ্লেষণ করা উচিত ৷ অতীতের দিকে তাকালে দেখা যাবে এক প্রজন্ম আগে বছরে ৪৪ লাখ শিশুর মৃত্যু হত ৷ ৯.৫ কোটি শিশু দিনমজুরে পরিণত হত এবং ১১.৫ কোটি শিশু শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত হত ৷ অতীতের সঙ্গে তুলনা করলে বর্তমান পরিস্থিতি অনেকটাই ভালো ৷ তার পরও যদি জলবায়ুর পরিবর্তন এবং শিশুদের সঙ্গে বেপরোয়া বাণিজ্যিকিকরণ, এই দুই নির্ধারকের উপর আলোকপাত করা হয় তাহলে দেখা যাবে বর্তমান প্রজন্মের শিশুদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে চলে যাচ্ছে ৷ বিশ্ব উষ্ণায়নের জেরে ফসল উৎপাদন ক্রমশ কমছে ৷ যার থেকে বাড়ছে শিশুদের পুষ্টির অভাব ৷ ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, কলেরার মতো রোগের প্রভাব ক্রমশ বাড়ছে ৷ ফাস্ট ফুড, সফট ড্রিঙ্কস, তামাক জাতীয় দ্রব্য এবং অ্যালকোহল তৈরির ব্যবসা নজিরবিহীন ভাবে বাড়ছে ৷ এগুলির মারাত্মক প্রভাব পড়ছে বর্তমান প্রজন্মের শিশুদের ওপর৷ শিশু ও বয়ঃসন্ধিকালের কিশোর-কিশোরীদের মোটা হওয়ার সংখ্যা ১৯৭৫ সালে ছিল ১.১০ কোটি ৷ ২০১৬ সালে এই সংখ্যাটাই বেড়ে হয়েছে ১২.৪০ কোটি ৷ বর্তমানে মোটা হওয়ার সমস্যা ধনী ও গরিব সব দেশেই প্রভাব ফেলেছে ৷ ৭ শতাংশের বেশি শিশু কিডনির রোগে ভুগছে ৷ ১৯ বছরের কমবয়সীদের মধ্যে ১০ শতাংশের শরীরে ডায়াবেটিসের সমস্যা ধরা পড়েছে ৷ জীবনযাত্রার কুপ্রভাব এবং জলবায়ুর পরিবর্তনের ফলাফল এই পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট ৷ ভারত একমাত্র দেশ যেখানে মোটা হওয়ার প্রবণতা এবং অপুষ্টির সমস্যা সমানভাবে প্রভাব ফেলেছে ৷ অপুষ্টি ঠেকাতে অবিলম্বে জাতীয় স্বাস্থ্য নীতিতে পরিবর্তন আনা জরুরি ৷

CHILDHOOD
২০১৫ থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে ৭ কোটি শিশুর মৃত্যু হবে

গত ২০ বছরে অপুষ্টিতে মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে ৷ তা সত্ত্বেও দুর্ভাগ্যজনকভাবে এখনও ৭ লক্ষ শিশু অনাহার এবং অপুষ্টিতে ভুগছে ৷ UN-এর একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৫ থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে ৭ কোটি শিশুর মৃত্যু হবে ৷ মোট মৃত্যুর ১৮ শতাংশই হবে ভারতে ৷ বছরে 60 হাজারের মতো পাঁচ বছরের কমবয়সী শিশু নানা রোগে মারা যাচ্ছে ৷ সময়মতো টিকাকরণ হলে এই মৃত্যু আটকানো সম্ভব হত ৷ ২০২২ সালের মধ্যে অপুষ্টিজনিত ঘাটতি রুখতে পোষণ অভিযান নেওয়া হয়েছিল ৷ সেই কাজ এখনও ঠিকমতো শুরুই হয়নি ৷ জাতীয় পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের (NIN) দাবি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের তুলনায় ভারতের শিশুরা ৪০ গুণ বেশি ভেজাল খাবার খায় ৷ এদেশে ভিটামিন ও খনিজ সরবরাহের সরকারি প্রকল্প এখনও দিনের আলো দেখেনি ৷ স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে ভালো পুষ্টি, সময়মতো টিকাকরণ এবং কম দামে অ্যান্টিবায়োটিকের সরবরাহ মৃত্যুর পরিমাণকে অনেকটাই কমাতে পারে ৷ সরকারকে এই পথে চলার পরামর্শ দেওয়ার পরও ডায়রিয়া এবং নিউমোনিয়াতে প্রতিবছর প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে ৷ নীতি আয়োগের পরামর্শ অনুযায়ী পুষ্টির লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছানোর দায়িত্ব অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলির হাতেই তুলে দেওয়া উচিত৷ কিন্তু তারা মা ও শিশুর কল্যাণ সংক্রান্ত প্রকল্পে প্রশাসনিক দুর্নীতির বিষয়টিতে একেবারেই নজর দিতে চাইছে না ৷ মা ও শিশুর সুরক্ষা নিয়ে যখনই দেশের রাজনৈতিক দলগুলি এবং সরকার বুঝতে পারবে তখনই ভারতের মাথা উঁচু হবে ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.