হায়দরাবাদ, 10 জুলাই : কোরোনার জেরে দেশজুড়ে লকডাউন সংক্রান্ত বিধিনিষেধের ফলে এ'বছর ভারতে লবণের উৎপাদন 30% হ্রাস পেয়েছে । ফলে কেবল উৎপাদনই ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি, দেখা দিয়েছে সাপ্লাই-চেন সমস্যাও ।
বিশ্বে চতুর্থ বৃহত্তম উৎপাদনকারী দেশ ভারত । মার্চ থেকে মে মাসেই উৎপাদন সবচেয়ে বেশি হয় । আর সেই সময়ই দেশজুড়ে সম্পূর্ণ লকডাউনের কারণে প্রচুর ক্ষতি হয়েছে । সমুদ্রের জল বাষ্পীভবনের মাধ্যমে দ্রুত সঞ্চালিত হওয়ায় গ্রীষ্মের মাসগুলিতেই প্রধানত লবণ উৎপাদিত হয় । ভারী বৃষ্টিপাত এবং বন্যার ফলে নুন ধুয়ে যায়, তাই বর্ষাকালে উৎপাদনে বন্ধ থাকে । গত বছর বর্ষা দেরিতে প্রবেশ করেছিল । কিন্তু, এ'বছর সময়মতো বৃষ্টি শুরু হওয়ায় বেড়েছে ক্ষতির পরিমাণ । কোরোনা ভাইরাস রুখতে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে টানা লকডাউনের পর প্রয়োজনীয় সরকারী নির্দেশিকা মেনে কর্মীদের মাস্ক এবং স্যানিটাইজ়ার দিয়ে কারখানাগুলিতে উৎপাদন ফের শুরু করতে আরও প্রায় 15 দিন সময় লেগেছে ।
তবে বাজারে ‘আউট অফ স্টক’ হয়ে যাওযার সমস্ত আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়েছেন ইন্ডিয়ান সল্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বি সি রাভাল । ETV ভারতকে তিনি জানান, “দেশে পর্যাপ্ত পরিমাণে লবণ মজুত রয়েছে । তাই আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই এবং সরবরাহের ঘাটতি কেবলমাত্র অস্বাভাবিক পরিস্থিতির কারণেই হচ্ছে ।” কোরোনা পরিস্থিতিতে উৎপাদন নিয়ে তাঁর ব্যাখ্যা, “ভারত প্রতি বছর 3 মিলিয়ন টন লবণ উৎপাদন করে, যার মধ্যে কেবল 8 থেকে সাড়ে আট মিলিয়ন টন গার্হস্থ্য ব্যবহারের জন্য ব্যবহৃত হয়, তাই অভাব হওয়ার কোনও আশঙ্কা নেই । যদিও লবণ প্রস্তুতকারকদের উদ্বেগ থেকেই যাচ্ছে ।” রাভাল বলেন, “উৎপাদন হ্রাসের ফলে যা ক্ষতি হয়েছে তার জন্য ত্রাণ চেয়ে কেন্দ্র এবং বিভিন্ন রাজ্য সরকারকে চিঠি দিয়েছে ইন্ডিয়ান সল্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন । এই খাতে বিদ্যুৎ মাশুল, জ্বালানি চার্জ, বন্দর ফি এবং পরিবহন ব্যয়ের ক্ষেত্রে ত্রাণ চাওয়া হয়েছে, যা একসঙ্গে লবণ উৎপাদনের প্রকৃত ব্যয়কে ছাড়িয়ে গিয়েছে ।"