গোপন মিশনের প্রয়োজন পড়লেই দেশ নির্ভর করে প্যারা স্পেশাল ফোর্সের উপর ৷ একটি বিশেষ প্রশিক্ষিত ইউনিট যা শত্রু দেশের ভিতরে ঢুকে অভিযান চালানোর জন্য পরিচিত ৷
সাহসী যোদ্ধা, দেশ রক্ষায় সর্বদা প্রস্তুত ভারতীয় সেনার প্যারাট্রুপাররা ৷ 1966 সালে তৈরি হয় "প্যারা কম্যান্ডো" বাহিনী । এটি ভারতীয় সেনার স্পেশাল ফোর্সের সর্ববৃহৎ অংশ । এটি সাধারণত প্যারাট্রুপার বাহিনী । যুদ্ধবিমান থেকে শত্রুপক্ষের উপর ঝাঁপিয়ে পড়তে ওস্তাদ তারা ৷
প্যারাট্রুপার বাহিনীর লক্ষ্য হল শত্রুর বিরুদ্ধে জয় ছিনিয়ে আনা ৷ PARA ও PARA (SF) ব্যাটেলিয়ন নিয়ে তৈরি প্যারাসুট রেজিমেন্ট ৷ ভারতীয় সেনার সেরা ভলান্টিয়ার ফোর্স ।
"ব্রেভেস্ট অফ দা ব্রেভ" সম্মান পেয়েছে এই রেজিমেন্ট ৷ এই রেজিমেন্ট এখনও পর্যন্ত 8টি অশোক চক্র, 11টি মহাবীর চক্র, 21টি কীর্তি চক্র, 106টি শৌর্য চক্র, 63টি বীর চক্র ও 491টি সেনা মেডেলে সম্মানিত হয়েছে ৷
কঠোর নির্বাচন, কঠোর ট্রেনিংয়ের মধ্য দিয়ে যেতে হয় প্যারা ট্রুপারদের ৷ প্যারা এবং প্যারা (SF) রেজিমেন্টকে প্রতিকূল পরিবেশে টাস্ক দেওয়া হয় ৷ যার জন্য সর্বোচ্চ শারীরিক ফিটনেস এবং বলিষ্ঠ মানসিকতার প্রয়োজন হয় ৷ 90 দিনের স্পেশাল ট্রেনিংয়ে দিতে হয় শারীরিক ও মানসিক পরীক্ষা ৷ যে কারণে প্যারা ট্রুপাররা সর্বদা সজাগ থাকেন ৷ 1943 সালে ভারত প্রথম প্যারাসুটের ব্যবহার চালু করে। ওই বছর দুজন ভারতীয় প্যারাট্রুপার ডাকোটা বিমান থেকে লাফিয়ে পড়েন । এঁরা হলেন ক্যাপ্টেন রঙ্গরাজ ও হাবিলদার মাথুর সিং । ভারতীয় প্যারাট্রুপাররা পৃথিবীর সেরা প্যারাট্রুপারদের অন্যতম । ঝাঁপ দেওয়ার আগের মুহুর্তে অনেকে ভয়ে পিছিয়ে আসে । একাজে মনের জোর ও সময়জ্ঞান থাকা চাই। যখন তারা ঝাঁপ দিতে ভয় পায় তখন তাদের মনের জোর আনার জন্য একদল কর্মী তাদের বিমান থেকে ঠেলে দেয় । এই কর্মীদের বলা হয় ডেসপ্যাচার। এইভাবে বারবার করার ফলে প্যারাট্রুপারদের সাহস ফিরে আসে এবং তারা দক্ষ হয়ে ওঠে ।
এর জন্যই সেনাবাহিনীর প্যারা কম্যান্ডারদের এলিট স্ট্যাটাস দেওয়া হয়েছে ৷ মেরুন বেরেট এদেরকে সেনাবাহিনীর অন্যদের থেকে আলাদা করে ৷ বিশ্বজুড়ে যত সেনাবাহিনী রয়েছে তাদের মধ্যে সেরার স্বীকৃতি হল প্যারা কমান্ডারদের এই মেরুন বেরেট ৷ যা অর্জন করা খুবই কঠিন ৷ ৷