ETV Bharat / bharat

নেপালের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক সেনাপ্রধান এম এম নারাভানের

বৃহস্পতিবার কাঠমান্ডুর শিবাপুরিতে সেনা কলেজের ট্রেনি ছাত্রদের সঙ্গে দেখা করেন সেনাপ্রধান ৷ সেখানে আর্মি কমান্ডো ও ছাত্রদের সঙ্গে নিজের অভিজ্ঞতার কথা ভাগ করে নেন নারাভানে ৷ ওই দিনই এম এম নারাভানেকে নেপাল আর্মির সম্মানীয় জেনেরাল পদের সম্মান দেন রাষ্ট্রপতি বিদ্য়া দেবী ভান্ডারি ৷

author img

By

Published : Nov 6, 2020, 8:05 PM IST

indian-army-chief-gen-naravane-calls-on-nepal-pm-oli
নেপালের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন সেনাপ্রধান নারাভানে

কাঠমান্ডু, 6 নভেম্বর : নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলির সঙ্গে বৈঠক করলেন ভারতের সেনাপ্রধান এম এম নারাভানে ৷ শুক্রবারের এই বৈঠকে ভারত ও নেপালের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা হয় দু’জনের মধ্যে ৷ এমনই নেপালের তরফে সরকারিভাবে জানানো হয়েছে ৷ নেপাল আর্মির সূত্রে সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া খবর অনুযায়ী, নেপালের প্রধানমন্ত্রী তথা প্রতিরক্ষা মন্ত্রী কে পি শর্মা অলির সঙ্গে বালুওয়াটারে তাঁর সরকারি আবাসনে সাক্ষাৎ করেন ৷ জেনেরাল নারাভানে 3 দিনের নেপাল সফরে গিয়েছেন ৷ সাক্ষাতের আগে এদিন সেয়াংবোচেতে পাহাড়ি এলাকায় ভ্রমণ করেন ভারতীয় সেনার প্রধান ৷

এর আগে বৃহস্পতিবার কাঠমান্ডুর শিবাপুরিতে সেনা কলেজের ট্রেনি ছাত্রদের সঙ্গে দেখা করেন সেনাপ্রধান ৷ সেখানে আর্মি কমান্ডো ও ছাত্রদের সঙ্গে নিজের অভিজ্ঞতার কথা ভাগ করে নেন নারাভানে ৷ ওই দিনই এম এম নারাভানেকে নেপাল আর্মির সম্মানীয় জেনেরাল পদের সম্মান দেন রাষ্ট্রপতি বিদ্য়া দেবী ভান্ডারি ৷ এর জন্য় একটি বিশেষ অনুষ্ঠানে আয়োজনও করা হয়েছিল নেপাল সরকারের তরফে ৷ বহু যুগ পুরনো এই প্রথার মাধ্য়মে দুই দেশের সেনার মধ্য়ে পোক্ত সম্পর্কের বার্তা তুলে ধরা হয় ৷ সেনাপ্রধানের এই সফরের মূল লক্ষ্য় হল, সম্প্রতি দুই দেশের মধ্য়ে সীমান্ত নিয়ে তৈরি হওয়া টানাপোড়েনকে মেটানো এবং সুসম্পর্ক স্থাপন করা ৷ এটা ভারতের তরফে প্রথম কোনো উচ্চ পর্যায়ের সফর ছিল নেপালে ৷

মূলত হিমালয়ের কোলে অবস্থিত নেপাল তাঁদের নতুন মানচিত্রে উত্তরাখণ্ডের বেশকিছু অংশকে নিজেদের অংশ হিসেবে দাবি করেছিল ৷ তার কয়েকদিন আগেই ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং উত্তরাখণ্ডের ধারচুলায় লিপুলেখে 80 কিলোমিটার লম্বা একটি রাস্তার উদ্বোধন করেছিলেন ৷ যা কৌশলগতভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ৷ নেপাল এর প্রতিবাদ জানিয়েছিল এবং এর কয়েকদিন পরেই লিপুলেখ, কালাপানি ও লিমপিয়াধুরাকে নিজেদের সীমান্তের অংশ বলে দাবি করে মানচিত্র প্রকাশ করে ৷ যার পাল্টা 2019 সালে নভেম্বরে ভারত নতুন মানচিত্রে সেই অঞ্চলগুলিকে নিজেদের বলে দাবি করেছিল ৷ নেপাল তাদের ম্য়াপ প্রকাশের পর ভারত কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছিল ৷ যা নিয়ে ভারতের তরফে বার্তা দেওয়া হয়, সীমান্তের এমন কৃত্রিম বৃদ্ধি কোনো মতে বরদাস্ত করা হবে না ৷ তবে, ভারতের তরফে দুই দেশের মধ্য়ে তৈরি হওয়া এই সমস্যার সমাধানের জন্য় আলোচনাই একমাত্র পথ বলে জানানো হয় ৷ আর সেই উদ্দেশ্য়েই নেপালে ভারতে সেনাপ্রধানকে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় নয়াদিল্লি ৷

কাঠমান্ডু, 6 নভেম্বর : নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলির সঙ্গে বৈঠক করলেন ভারতের সেনাপ্রধান এম এম নারাভানে ৷ শুক্রবারের এই বৈঠকে ভারত ও নেপালের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা হয় দু’জনের মধ্যে ৷ এমনই নেপালের তরফে সরকারিভাবে জানানো হয়েছে ৷ নেপাল আর্মির সূত্রে সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া খবর অনুযায়ী, নেপালের প্রধানমন্ত্রী তথা প্রতিরক্ষা মন্ত্রী কে পি শর্মা অলির সঙ্গে বালুওয়াটারে তাঁর সরকারি আবাসনে সাক্ষাৎ করেন ৷ জেনেরাল নারাভানে 3 দিনের নেপাল সফরে গিয়েছেন ৷ সাক্ষাতের আগে এদিন সেয়াংবোচেতে পাহাড়ি এলাকায় ভ্রমণ করেন ভারতীয় সেনার প্রধান ৷

এর আগে বৃহস্পতিবার কাঠমান্ডুর শিবাপুরিতে সেনা কলেজের ট্রেনি ছাত্রদের সঙ্গে দেখা করেন সেনাপ্রধান ৷ সেখানে আর্মি কমান্ডো ও ছাত্রদের সঙ্গে নিজের অভিজ্ঞতার কথা ভাগ করে নেন নারাভানে ৷ ওই দিনই এম এম নারাভানেকে নেপাল আর্মির সম্মানীয় জেনেরাল পদের সম্মান দেন রাষ্ট্রপতি বিদ্য়া দেবী ভান্ডারি ৷ এর জন্য় একটি বিশেষ অনুষ্ঠানে আয়োজনও করা হয়েছিল নেপাল সরকারের তরফে ৷ বহু যুগ পুরনো এই প্রথার মাধ্য়মে দুই দেশের সেনার মধ্য়ে পোক্ত সম্পর্কের বার্তা তুলে ধরা হয় ৷ সেনাপ্রধানের এই সফরের মূল লক্ষ্য় হল, সম্প্রতি দুই দেশের মধ্য়ে সীমান্ত নিয়ে তৈরি হওয়া টানাপোড়েনকে মেটানো এবং সুসম্পর্ক স্থাপন করা ৷ এটা ভারতের তরফে প্রথম কোনো উচ্চ পর্যায়ের সফর ছিল নেপালে ৷

মূলত হিমালয়ের কোলে অবস্থিত নেপাল তাঁদের নতুন মানচিত্রে উত্তরাখণ্ডের বেশকিছু অংশকে নিজেদের অংশ হিসেবে দাবি করেছিল ৷ তার কয়েকদিন আগেই ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং উত্তরাখণ্ডের ধারচুলায় লিপুলেখে 80 কিলোমিটার লম্বা একটি রাস্তার উদ্বোধন করেছিলেন ৷ যা কৌশলগতভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ৷ নেপাল এর প্রতিবাদ জানিয়েছিল এবং এর কয়েকদিন পরেই লিপুলেখ, কালাপানি ও লিমপিয়াধুরাকে নিজেদের সীমান্তের অংশ বলে দাবি করে মানচিত্র প্রকাশ করে ৷ যার পাল্টা 2019 সালে নভেম্বরে ভারত নতুন মানচিত্রে সেই অঞ্চলগুলিকে নিজেদের বলে দাবি করেছিল ৷ নেপাল তাদের ম্য়াপ প্রকাশের পর ভারত কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছিল ৷ যা নিয়ে ভারতের তরফে বার্তা দেওয়া হয়, সীমান্তের এমন কৃত্রিম বৃদ্ধি কোনো মতে বরদাস্ত করা হবে না ৷ তবে, ভারতের তরফে দুই দেশের মধ্য়ে তৈরি হওয়া এই সমস্যার সমাধানের জন্য় আলোচনাই একমাত্র পথ বলে জানানো হয় ৷ আর সেই উদ্দেশ্য়েই নেপালে ভারতে সেনাপ্রধানকে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় নয়াদিল্লি ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.