ETV Bharat / bharat

লাদাখে ভারত-চিন সেনার মধ্যে তুমুল গুলির লড়াই, উদ্বেগজনক পরিস্থিতির দিকে নজর বিদেশমন্ত্রীর

চিনের তরফে এক বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, বিনা প্ররোচনায় গুলি চালিয়েছে ভারতীয় সেনা । যদিও ভারতের তরফে একথা অস্বীকার করা হয়েছে । বলা হয়েছে, প্রথমে চিনের দিক থেকেই হামলা চালানো হয় । ভারতীয় সেনা সঠিক সময় সঠিক জবাব দিয়েছে ।

india fired warning shot claims china
লাদাখে 'গুলি' চালিয়েছে ভারত, দাবি চিনের
author img

By

Published : Sep 8, 2020, 9:39 AM IST

Updated : Sep 8, 2020, 12:53 PM IST

দিল্লি, 8 সেপ্টেম্বর : ফের তপ্ত লাদাখ সীমান্ত । মাস কয়েক আগেই লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর ভারতীয় সেনাকে লক্ষ করে হামলা চালিয়েছিল চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি (PLA) । সেই ঘটনার কয়েক দিনের মধ্যেই জবাব দিয়েছিল সেনা । ভারতীয় সেনার পালটা হামলায় প্রাণ হারিয়েছিলেন চল্লিশের বেশি চিনা সেনা । তার পর মাঝে কয়েক দিন পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত ছিল । এবার ফের তপ্ত হয়ে উঠল সীমান্ত । পরিস্থিতি উদ্বেগজনক বলে উল্লেখ করেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর ।

সেনা সূত্রে খবর, রাত থেকেই দুই পক্ষের মধ্যে তুমুল গুলির লড়াই চলে । চিনা আর্মির হামলার সঠিক জবাব দিয়েছে ভারত । যদিও চিনের দাবি, ভারতের তরফ থেকেই প্রথম হামলা চালানো হয় । কিন্তু, দিল্লির বিদেশমন্ত্রক সেই দাবি পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়েছে ।

চিনের তরফে অভিযোগ করা হয়, "টহলদারির সময় চিনা সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে লক্ষ্য করে ভারতীয় সেনা বিনা প্ররোচনায় গুলি চালায় । পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বাধ্য হয়ে চিনা সেনা জবাব দিয়েছে ।" পুরো ঘটনাকে 'উসকানিমূলক' ও 'খারাপ অভ্যাস' বলে উল্লেখ করেছে তারা । গত দু'সপ্তাহে প্যানগং লেকের দক্ষিণে দু'বার উসকানিমূলক পদক্ষেপ করে । কিন্তু তাদের রুখে দেয় ভারত । তবে হাতাহাতিতে জড়ায়নি কোনও পক্ষ । 31 অগাস্ট দিনের বেলা প্যাংগং লেকে ভারতীয় এলাকায় অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে চিন । ভারতীয় সেনা জওয়ানদের ঘিরে ফেলে PLA-র সেনা । কিন্তু সে যাত্রা চিনের মনোবাসনা পূর্ণ হয়নি । তাদের আটকে দেন ভারতীয় জওয়ানরা । তার আগে 29 অগাস্ট রাতে টহলদারির সময় একভাবে চিনা সেনা অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে । প্যানগংয়ের দক্ষিণ দিকে সেনা মোতায়েনের চেষ্টা করে চিন ।

5 সেপ্টেম্বর চিনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জেনেরাল ওয়েই ফেংহের সঙ্গে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং । বৈঠকে তিনি জানান, চিন আগ্রাসী নীতি ছাড়লে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় শান্তি বজায় থাকতে পারে । প্রতিরক্ষামন্ত্রক আরও জানিয়েছে, LAC-তে চিনের প্রচুর সংখ্যক সেনা মোতায়েন, আক্রমণাত্মক আচরণ এবং একতরফাভাবে স্থিতাবস্থা পরিবর্তনের চেষ্টার ফলে ইন্দো-চিন দ্বিপাক্ষিক চুক্তি লঙ্ঘন হচ্ছে ।

যদিও চিনের এই অভিযোগ উড়িয়ে ভারতীয় সেনার দাবি, বিনা প্ররোচনায় চিনা আর্মি গুলি চালাতে শুরু করে । যেভাবে মাস কয়েক আগে ভারতীয় সেনার উপর হামলা চালিয়ে ছিল চিন, গতকাল সেভাবেই তারা হামলার পরিকল্পনা করেছিল । কিন্তু, ভারতীয় সেনা দক্ষতার সঙ্গে তাদের মোকাবিলা করে ।

ভারতীয় সেনার তরফে জানানো হয়, "প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর ভারত সেনা সরিয়ে নিয়েছে । কিন্তু চিন সবসময় উসকানিমূলক কার্যকলাপ করে চলেছে । পাশাপাশি সেখানে সেনা বৃদ্ধি করে চলেছে চিন । কোনও ভারতীয় সেনা জওয়ান প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা পার করেনি । ভারতের তরফে গুলি চালনা হয়নি । বরং ৭ সেপ্টেম্বর চিনা সেনা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় টহলরত এক ভারতীয় সেনার সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ানোর চেষ্টা করে । বাধা দিলে তারা শূন্যে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে । ভয় দেখানোর চেষ্টা করে ভারতীয় সেনাকে ।"

আজ মস্কোয় চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ওয়াইয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর । বিদেশমন্ত্রী জয়শংকর বলেন, "গালওয়ানে যে দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটেছে, তা নিয়ে আমি লিখেছি । সীমান্তে যদি শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান না হয়, তাহলে দুই দেশের সম্পর্ক ঠিক থাকবে না ।" আগামী 10 সেপ্টেম্বর ওয়াং ওযাইয়ের সঙ্গে আলাদা করে বৈঠক করবেন বিদেশমন্ত্রী জয়শংকর । তিনি মনে করেন, দু'দেশের তরফে উচ্চ পর্যায়ের কূটনৈতিক আলোচনা হওয়া অত্যন্ত জরুরি ।

দিল্লি, 8 সেপ্টেম্বর : ফের তপ্ত লাদাখ সীমান্ত । মাস কয়েক আগেই লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর ভারতীয় সেনাকে লক্ষ করে হামলা চালিয়েছিল চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি (PLA) । সেই ঘটনার কয়েক দিনের মধ্যেই জবাব দিয়েছিল সেনা । ভারতীয় সেনার পালটা হামলায় প্রাণ হারিয়েছিলেন চল্লিশের বেশি চিনা সেনা । তার পর মাঝে কয়েক দিন পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত ছিল । এবার ফের তপ্ত হয়ে উঠল সীমান্ত । পরিস্থিতি উদ্বেগজনক বলে উল্লেখ করেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর ।

সেনা সূত্রে খবর, রাত থেকেই দুই পক্ষের মধ্যে তুমুল গুলির লড়াই চলে । চিনা আর্মির হামলার সঠিক জবাব দিয়েছে ভারত । যদিও চিনের দাবি, ভারতের তরফ থেকেই প্রথম হামলা চালানো হয় । কিন্তু, দিল্লির বিদেশমন্ত্রক সেই দাবি পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়েছে ।

চিনের তরফে অভিযোগ করা হয়, "টহলদারির সময় চিনা সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে লক্ষ্য করে ভারতীয় সেনা বিনা প্ররোচনায় গুলি চালায় । পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বাধ্য হয়ে চিনা সেনা জবাব দিয়েছে ।" পুরো ঘটনাকে 'উসকানিমূলক' ও 'খারাপ অভ্যাস' বলে উল্লেখ করেছে তারা । গত দু'সপ্তাহে প্যানগং লেকের দক্ষিণে দু'বার উসকানিমূলক পদক্ষেপ করে । কিন্তু তাদের রুখে দেয় ভারত । তবে হাতাহাতিতে জড়ায়নি কোনও পক্ষ । 31 অগাস্ট দিনের বেলা প্যাংগং লেকে ভারতীয় এলাকায় অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে চিন । ভারতীয় সেনা জওয়ানদের ঘিরে ফেলে PLA-র সেনা । কিন্তু সে যাত্রা চিনের মনোবাসনা পূর্ণ হয়নি । তাদের আটকে দেন ভারতীয় জওয়ানরা । তার আগে 29 অগাস্ট রাতে টহলদারির সময় একভাবে চিনা সেনা অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে । প্যানগংয়ের দক্ষিণ দিকে সেনা মোতায়েনের চেষ্টা করে চিন ।

5 সেপ্টেম্বর চিনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জেনেরাল ওয়েই ফেংহের সঙ্গে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং । বৈঠকে তিনি জানান, চিন আগ্রাসী নীতি ছাড়লে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় শান্তি বজায় থাকতে পারে । প্রতিরক্ষামন্ত্রক আরও জানিয়েছে, LAC-তে চিনের প্রচুর সংখ্যক সেনা মোতায়েন, আক্রমণাত্মক আচরণ এবং একতরফাভাবে স্থিতাবস্থা পরিবর্তনের চেষ্টার ফলে ইন্দো-চিন দ্বিপাক্ষিক চুক্তি লঙ্ঘন হচ্ছে ।

যদিও চিনের এই অভিযোগ উড়িয়ে ভারতীয় সেনার দাবি, বিনা প্ররোচনায় চিনা আর্মি গুলি চালাতে শুরু করে । যেভাবে মাস কয়েক আগে ভারতীয় সেনার উপর হামলা চালিয়ে ছিল চিন, গতকাল সেভাবেই তারা হামলার পরিকল্পনা করেছিল । কিন্তু, ভারতীয় সেনা দক্ষতার সঙ্গে তাদের মোকাবিলা করে ।

ভারতীয় সেনার তরফে জানানো হয়, "প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর ভারত সেনা সরিয়ে নিয়েছে । কিন্তু চিন সবসময় উসকানিমূলক কার্যকলাপ করে চলেছে । পাশাপাশি সেখানে সেনা বৃদ্ধি করে চলেছে চিন । কোনও ভারতীয় সেনা জওয়ান প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা পার করেনি । ভারতের তরফে গুলি চালনা হয়নি । বরং ৭ সেপ্টেম্বর চিনা সেনা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় টহলরত এক ভারতীয় সেনার সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ানোর চেষ্টা করে । বাধা দিলে তারা শূন্যে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে । ভয় দেখানোর চেষ্টা করে ভারতীয় সেনাকে ।"

আজ মস্কোয় চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ওয়াইয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর । বিদেশমন্ত্রী জয়শংকর বলেন, "গালওয়ানে যে দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটেছে, তা নিয়ে আমি লিখেছি । সীমান্তে যদি শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান না হয়, তাহলে দুই দেশের সম্পর্ক ঠিক থাকবে না ।" আগামী 10 সেপ্টেম্বর ওয়াং ওযাইয়ের সঙ্গে আলাদা করে বৈঠক করবেন বিদেশমন্ত্রী জয়শংকর । তিনি মনে করেন, দু'দেশের তরফে উচ্চ পর্যায়ের কূটনৈতিক আলোচনা হওয়া অত্যন্ত জরুরি ।

Last Updated : Sep 8, 2020, 12:53 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.