দিল্লি, 22 জুন : রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে যোগাসনকে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির অনলাইন শিক্ষা ব্যবস্থার অংশ করতে অনুরোধ করলেন উপরাষ্ট্রপতি এম বেঙ্কাইয়া নাইডু। গতকাল আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে এই আবেদন জানান তিনি । বলেন, শিশুদের কম বয়সেই ভারতের প্রাচীন পদ্ধতিগুলির সঙ্গে পরিচয় হওয়া উচিত।
আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে SPIC MACAY আয়োজিত অনলাইনে ' যোগ ও ধ্যান শিবির'-এ যোগ দিয়ে উপরাষ্ট্রপতি বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, "যোগাসন বিশ্বের কাছে ভারতের একটি অমূল্য উপহার, যা লক্ষাধিক মানুষের জীবন পরিবর্তন করতে সক্ষম হয়েছে। আমি অত্যন্ত খুশি 'UNICEF শিশু শক্তি' 13টি যোগাসন শিশুদের জন্য অন্তর্ভুক্ত করেছে। 5000 বছরের পুরানো এই রীতি কেবল সাধারণ শরীর চর্চা নয়। এটি একটি বিজ্ঞান যা ভারসাম্য, সাম্য, শান্তি এবং সম্প্রীতির উপর জোর দেয়। যোগের বিভিন্ন উপাদান যেমন ভঙ্গি, শ্বাস প্রশ্বাসের অনুশীলন এবং ধ্যান মানুষের দেহ এবং মনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনে। "
শরীর সুস্থ রাখতে যোগাসনের উপর গবেষণার দাবি করে উপরাষ্ট্রপতি বলেন, যোগাসন যোগ চিকিৎসা হিসেবে অত্যন্ত জনপ্রিয়। যোগাসনের মাধ্যমে একাধিক রোগের চিকিৎসা সম্ভব, সেই বিষয়ে বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক প্রমাণ রয়েছে।
কোরোনা ভাইরাস মহামারীর ফলে মানুষের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যে যে প্রভাব পড়েছে, এই বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, " সমগ্র বিশ্ব বর্তমানে কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। আমরা কোনওভাবেই এই মহামারীকে আমাদের সেরা অংশ ছিনিয়ে নিতে দেব না। আমাদের একজোট হয়ে এর বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে এবং সকলকে মানসিক ও শারীরিক দিক থেকে সুস্থ থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। এই প্যানডেমিকে আমাদের জীবনে যে প্রভাব পড়েছে, তা যোগাসনের মাধ্যমে হ্রাস করা যেতে পারে। প্যানডেমিকের কেবল মানুষের স্বাস্থ্যের উপর নয়, সামগ্রিক সুস্থ থাকার উপরও প্রভাব পড়েছে।"
জীবনশৈলীতে যে রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়েছে, সেই বিষয়েও তিনি শঙ্কা প্রকাশ করেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যকে উল্লেখ করে তিনি বলেন, "2016 সালে ভারতে মৃত্যুর 63 শতাংশই অসংক্রামক রোগে হয়েছিল। জীবনশৈলীর বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে যোগাসন অত্যন্ত সহজ কিন্তু শক্তিশালী হাতিয়ার। "