দিল্লি, 20 মার্চ: এক যন্ত্রণাদায়ক অপেক্ষার অবসান হল ৷ শেষ পর্যন্ত সুবিচার পেলাম আমরা ৷ নির্ভয়াকাণ্ডে চার দোষীর ফাঁসির পর বললেন নির্ভয়ার মা ৷ দিল্লিতে বছর 23-এর মেডিকেলের ছাত্রীকে ধর্ষণ ও নির্যাতন করে চলন্ত বাস থেকে ফেলে দেওয়া হয় ৷ পরে তাঁর মৃত্যু হয় ৷ টানা সাত বছর বিচার প্রক্রিয়া চলার পর শুক্রবার সকালে তিহার জেলে ঘটনায় জড়িত চার ধর্ষকের চূড়ান্ত সাজা হল ৷
আজ সাংবাদিকদের নির্ভয়ার মা বলেন, "দেশের কন্যা সন্তানরা যাতে সুবিচার পায় তার জন্য লড়াই চালিয়ে যেতে হবে আমাদের ৷ তবে, শেষ পর্যন্ত একটি যন্ত্রণাদায়ক অপেক্ষার অবসান হল ৷ সুবিচার পেলাম৷" আবেগ বিহ্বল নির্ভয়ার মা জানান, "ফাঁসির পর মেয়ের ছবি জড়িয়ে ধরি৷"
দেশের বিচার ব্যবস্থা ও সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে নির্ভয়ার মা বলেন, "দোষীদের যাবতীয় আবেদন নিবেদন শেষ পর্যন্ত খারিজ হয়েছে ৷ 2012 সালে লজ্জাজনক ঘটনা ঘটেছিল দেশে ৷"
শুক্রবার মধ্যরাতে ফাঁসির 2 ঘন্টা আগে অপরাধীদের শেষ আবেদনটি খারিজ করে সুপ্রিম কোর্ট ৷ এইসঙ্গে সাম্প্রতিক অতীতের সবচেয়ে বড় অপরাধের মামলাটিরও অবসান হয়৷ রাত সাড় তিনটে নাগাদ নির্দিষ্ট জেল থেকে চারজনকে ফাঁসির জন্য নিয়ে যাওয়া হয়৷ শেষ মুহূর্তে অন্যতম অপরাধী অক্ষয় ঠাকুরের আইনজীবী বিচারকদের অনুরোধ করেন, "দোষীদের ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত পাঠিয়ে দিন, ডোকলামে পাঠিয়ে দিন ৷ দয়া করে ফাঁসি দেবেন না ৷" যদিও সে কথা শুনতে রাজি হয়নি শীর্ষ আদালত৷
অন্যদিকে সাত বছর পর হলেও নির্ভয়ার ধর্ষকদের ফাঁসি হওয়ায় খুশি নির্ভয়ার মা বলেন, "অপেক্ষা করছিলাম এই দিনটার জন্য৷ আজকের ভোরটা আলাদা৷ কারণ আজ এক জঘন্য অন্যায়ের বিচার পেল আমার মেয়ে৷ এই দিনটা ভারতের সব মেয়েদের জন্যই এক নতুন ভোর৷ নির্ভয়ার আত্মা এতদিনে শান্তি পেল৷"