27 মে, হায়দরাবাদ : কোরোনা-চিকিৎসায় বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত পাঁচটি ওষুধের অ্যাক্টিভ ফার্মাসিউটিক্যাল ড্রাগস তৈরিতে সফল হয়েছে IICT-এর বিজ্ঞানীরা ৷ দেশের মধ্যে ব্যবহারের জন্য স্থানীয় স্তরে যে রাসায়নিকগুলি পাওয়া যায়, এই ওষুধ তৈরিতে সেগুলিই ব্যবহার করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে ৷ এর জন্য বিজ্ঞানী, গবেষক এবং গবেষণারত ছাত্ররা প্রায় দুই মাস ধরে বিশেষ প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে দিনরাত পরিশ্রম করছেন ৷ এই গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন IICT-এর সিনিয়র প্রিন্সিপ্যাল সায়েনটিস্ট ড. রাজি রেড্ডি ও ড. প্রধাম এস মায়াঙ্কর ৷ তাঁরা দু’জনে এই বিষয়ের অগ্রগতি নিয়ে কথা বলেছেন ETV Bharat-এর সঙ্গে ৷
- ইবোলা, ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং অন্যান্য ভাইরাল সংক্রমণ সারানোর ওষুধ যা কোরোনা ভাইরাসের ক্ষেত্রেও কাজ করেছে, এই সমস্ত ওষুধগুলি নিয়েই আমরা গবেষণা শুরু করি ৷ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দ্বারা চিহ্নিত পাঁচটি ওষুধ- ফ্যাবিপিরাভির, রেমেডিক্যাভির, উমিফেনোভির, বোলাক্সাভির, ক্লোরোকুইন / হাইড্রক্সি ক্লোরোকুইন-এর মডিউল উন্নত করার কাজ শুরু হয় ৷
- গবেষণাগারে কোভিড-এর উপর কাজ করার জন্য API আমরা ইতিমধ্যেই তৈরি করে ফেলেছি ৷ স্থানীয় স্তরে পাওয়া যায়, এমন রাসায়নিক ব্যবহার করেই আমরা এটা তৈরি করেছি ৷ যার ফলে কাঁচামাল বাইরে থেকে আমদানি করার জন্য অপেক্ষা করতে হবে না ৷ আমরা আরও কম খরচে প্রস্তুতি পদ্ধতি তৈরি করতে পেরেছি ৷ যার ফলে ওষুধের দামও খুব কম হবে ৷
- ফ্যাবিপিরাভির হল একটি জেনেরিক ড্রাগ ৷ API তৈরির ছয় সপ্তাহের মধ্যে আমাদের কাজে অগ্রগতি হয়েছে ৷ আমরা অন্য পদ্ধতিতে API তৈরি করেছি এবং ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলিকেও সেই প্রযুক্তি দেওয়া হচ্ছে ৷ সংস্থার তরফে ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া (DCGI)-র সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে এবং বাজারে ওষুধ আনার আগে পরীক্ষা করে দেখার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে ৷ রেমেডিক্যাভির এবং উমিফেনোভিরের মতো ওষুধ তৈরি করতে আমরা ইন্টারমিডিয়েটস (কাঁচামালের পরবর্তী পর্যায়) তৈরির পদ্ধতিও বানিয়ে ফেলেছি ৷ আরও কয়েকটি ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থাকে প্রযুক্তি দেওয়ার কাজও শুরু হয়েছে ৷
খুব তাড়াতাড়ি এবং সব সময়ের জন্য পাওয়া যাবে...
আমরা আত্মবিশ্বাসী যে IICT যে বিভিন্ন ধরনের ওষুধের API-গুলি তৈরি করেছে সেগুলি কোরোনা ভাইরাসের চিকিৎসায় কাজে লাগবে ৷ এর জন্য আমরা সমস্তরকম পদ্ধতিগত স্তর পার করব এবং স্থানীয় বাজারে খুব তাড়াতাড়ি ওষুধ পাওয়া যাবে ৷ এর মধ্যে অন্যতম ওষুধ ফ্যাবিপিরাভির, যা বাজারে খুব শীঘ্রই আসবে ৷ পরীক্ষা এবং DGCI-এর ছাড়পত্রের উপর তার বাজারে আসা নির্ভর করছে ৷ যদি পরীক্ষা সফল হয়, তাহলে এক বা দুই মাসের মধ্যে এই ওষুধ বাজারে চলে আসবে বলে আমরা আত্মবিশ্বাসী ৷