ETV Bharat / bharat

কোরোনায় মৃতের সুনির্দিষ্ট তালিকা তৈরিতে নয়া নির্দেশিকা ICMR-র

COVID-19 একটি নতুন রোগ । তাই মৃত্যু নিয়ে নানা বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে । এই পরিস্থিতিতে কোরোনায় মৃত্যুর যথাযথ রিপোর্ট তৈরির ক্ষেত্রে একটি সুস্পষ্ট নির্দেশিকা দিল ICMR ।

ছবি
ছবি
author img

By

Published : May 12, 2020, 3:45 PM IST

দিল্লি, 12 মে : কোরোনায় আক্রান্ত হয়ে ঠিক কতজনের মৃ্ত্যু হচ্ছে, তার একটি সুষ্পষ্ট তালিকা তৈরির প্রয়োজনীয়তা আছে । এই তালিকা তৈরির ক্ষেত্রে একটি নির্দেশিকা দিল ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ । ICMR তার নতুন নির্দেশিকায় জানিয়েছে, যখন নিউমোনিয়া, কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট বা রক্তজমাট বাঁধা বা অন্য কোনও কারণে কোনও রোগীর মৃত্যু হবে, তখন COVID-19- কে মৃত্যুর অন্তর্নিহিত কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হবে ।

ICMR-র তরফে নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, COVID-19 একটি নতুন রোগ । যার প্রকোপে পুরো দেশ জর্জরিত । অনেক ক্ষেত্রে মৃত্যু হচ্ছে । কিন্তু মৃত্যুর আগে রিপোর্ট না আসায় বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে । অনেক ক্ষেত্রে উপসর্গ থাকায় কোরোনায় মৃত্যু হিসেবে ধরে নেওয়া হচ্ছে । অনেক সময় পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ আসছে । কিন্তু উপসর্গ দেখা যাছে এবং পরে রোগীর মৃত্যু হচ্ছে । তাই কোরোনায় মৃত্যু নিয়ে নানা বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে । এই পরিস্থিতিতে একটি সুস্পষ্ট নির্দেশিকা দিল ICMR । নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, রোগের প্রকার বা মৃত্যুর কারণ জানা যেতে পারে একমাত্র রোগের ইতিহাস থেকে। এক্ষেত্রে রোগ কতটা গুরুতর, আগে থেকে রোগীর শরীরে আরও কী কী রোগ রয়েছে, রোগীর বয়সসহ নানা বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে । মূলত যে বিষয়টি তালিকাভুক্ত করতে হবে, তা হল মৃত্যুর সময়ের ঘটনাক্রম । অর্থাৎ মৃত্যুর তাৎক্ষণিক কারণ, মৃত্যুর পূর্ববর্তী কারণ, মৃত্যুর অন্তর্নিহিত কারণ এবং কীভাবে একজন মারা যাচ্ছেন ।

নির্দেশিকায় আরও জানানো হয়েছে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই COVID-19-ই মৃত্যুর অন্তর্নিহিত কারণ । যা নিউমোনিয়াসহ দেহের নানা রোগের প্রভাবকে আরও বাড়িয়ে দেয় এবং মৃত্যুর দিকে নিয়ে যায় । আগে থেকেই যদি রোগীদের শরীরে হাঁপানি, দীর্ঘস্থায়ী ব্রঙ্কাইটিস, হৃদরোগ, ক্যানসার এবং মধুমেহর মতো নানা রোগ থাকে, তাহলে সেগুলি ফুসফুসের সংক্রমণের ক্ষেত্রে ঝুঁকি বাড়ায়, যা একজন কোরোনা রোগীর শারীরিক জটিলতার কারণ হতে পারে । তাই বিশেষ করে যে সমস্য়ার জেরে তাঁর মৃত্যু হল, আগে সেই সমস্যাকেই চিহ্নিত করতে হবে ।

এই মৃত্যুর কারণকে চিহ্নিত করার জন্য ICMR-NCDIR e-মর্টালিটি (e-MOR) নামে একটি সফ্টওয়্যার ব্যবহারের রূপরেখাও দিয়েছে ICMR । রেজিস্ট্রার জেনেরাল অফ ইন্ডিয়ার দ্বারা নির্ধারিত মৃত্যুর রিপোর্টের যে মান, সেই মান বজায় রেখেই মৃত্যুর সংখ্যা ও কারণ চিহ্নিত করতে সহায়তা করে এই সফ্টওয়্যারটি। এই সফ্টওয়্যারকে হাসপাতালে কিংবা জেলার রেজিস্ট্রার অফিসগুলিতে ইনস্টল করা যেতে পারে । এক্ষেত্রে কোনও প্রতিষ্ঠানে যদি এই সফ্টওয়্যার রাখা হয়, তাহলে প্রতিষ্ঠানটিকে ICMR-NCDIR-এ বা রাজ্যের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে নাম নথিভুক্ত করতে হবে ।

স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গতকাল পর্যন্ত দেশে কোরোনার জেরে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে 2,206 । আক্রান্তের সংখ্যা 67,152 । গত 24 ঘণ্টায় 97 জন মারা গেছেন । পাশাপাশি রেকর্ড সংংখ্যকভাবে 4,213 জন আক্রান্ত হয়েছেন ।

দিল্লি, 12 মে : কোরোনায় আক্রান্ত হয়ে ঠিক কতজনের মৃ্ত্যু হচ্ছে, তার একটি সুষ্পষ্ট তালিকা তৈরির প্রয়োজনীয়তা আছে । এই তালিকা তৈরির ক্ষেত্রে একটি নির্দেশিকা দিল ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ । ICMR তার নতুন নির্দেশিকায় জানিয়েছে, যখন নিউমোনিয়া, কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট বা রক্তজমাট বাঁধা বা অন্য কোনও কারণে কোনও রোগীর মৃত্যু হবে, তখন COVID-19- কে মৃত্যুর অন্তর্নিহিত কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হবে ।

ICMR-র তরফে নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, COVID-19 একটি নতুন রোগ । যার প্রকোপে পুরো দেশ জর্জরিত । অনেক ক্ষেত্রে মৃত্যু হচ্ছে । কিন্তু মৃত্যুর আগে রিপোর্ট না আসায় বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে । অনেক ক্ষেত্রে উপসর্গ থাকায় কোরোনায় মৃত্যু হিসেবে ধরে নেওয়া হচ্ছে । অনেক সময় পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ আসছে । কিন্তু উপসর্গ দেখা যাছে এবং পরে রোগীর মৃত্যু হচ্ছে । তাই কোরোনায় মৃত্যু নিয়ে নানা বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে । এই পরিস্থিতিতে একটি সুস্পষ্ট নির্দেশিকা দিল ICMR । নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, রোগের প্রকার বা মৃত্যুর কারণ জানা যেতে পারে একমাত্র রোগের ইতিহাস থেকে। এক্ষেত্রে রোগ কতটা গুরুতর, আগে থেকে রোগীর শরীরে আরও কী কী রোগ রয়েছে, রোগীর বয়সসহ নানা বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে । মূলত যে বিষয়টি তালিকাভুক্ত করতে হবে, তা হল মৃত্যুর সময়ের ঘটনাক্রম । অর্থাৎ মৃত্যুর তাৎক্ষণিক কারণ, মৃত্যুর পূর্ববর্তী কারণ, মৃত্যুর অন্তর্নিহিত কারণ এবং কীভাবে একজন মারা যাচ্ছেন ।

নির্দেশিকায় আরও জানানো হয়েছে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই COVID-19-ই মৃত্যুর অন্তর্নিহিত কারণ । যা নিউমোনিয়াসহ দেহের নানা রোগের প্রভাবকে আরও বাড়িয়ে দেয় এবং মৃত্যুর দিকে নিয়ে যায় । আগে থেকেই যদি রোগীদের শরীরে হাঁপানি, দীর্ঘস্থায়ী ব্রঙ্কাইটিস, হৃদরোগ, ক্যানসার এবং মধুমেহর মতো নানা রোগ থাকে, তাহলে সেগুলি ফুসফুসের সংক্রমণের ক্ষেত্রে ঝুঁকি বাড়ায়, যা একজন কোরোনা রোগীর শারীরিক জটিলতার কারণ হতে পারে । তাই বিশেষ করে যে সমস্য়ার জেরে তাঁর মৃত্যু হল, আগে সেই সমস্যাকেই চিহ্নিত করতে হবে ।

এই মৃত্যুর কারণকে চিহ্নিত করার জন্য ICMR-NCDIR e-মর্টালিটি (e-MOR) নামে একটি সফ্টওয়্যার ব্যবহারের রূপরেখাও দিয়েছে ICMR । রেজিস্ট্রার জেনেরাল অফ ইন্ডিয়ার দ্বারা নির্ধারিত মৃত্যুর রিপোর্টের যে মান, সেই মান বজায় রেখেই মৃত্যুর সংখ্যা ও কারণ চিহ্নিত করতে সহায়তা করে এই সফ্টওয়্যারটি। এই সফ্টওয়্যারকে হাসপাতালে কিংবা জেলার রেজিস্ট্রার অফিসগুলিতে ইনস্টল করা যেতে পারে । এক্ষেত্রে কোনও প্রতিষ্ঠানে যদি এই সফ্টওয়্যার রাখা হয়, তাহলে প্রতিষ্ঠানটিকে ICMR-NCDIR-এ বা রাজ্যের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে নাম নথিভুক্ত করতে হবে ।

স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গতকাল পর্যন্ত দেশে কোরোনার জেরে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে 2,206 । আক্রান্তের সংখ্যা 67,152 । গত 24 ঘণ্টায় 97 জন মারা গেছেন । পাশাপাশি রেকর্ড সংংখ্যকভাবে 4,213 জন আক্রান্ত হয়েছেন ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.