ETV Bharat / bharat

গরিবদের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেও লকডাউন মানতে অনুরোধ প্রধানমন্ত্রীর

author img

By

Published : Mar 29, 2020, 12:34 PM IST

Updated : Mar 29, 2020, 5:16 PM IST

লকডাউনের পর প্রথমবার মন কি বাতের 63তম পর্বে লকডাউন ও দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

PRIME MINISTER
ছবি

দিল্লি, 29 মার্চ : দেশের সাধারণ-গরিব মানুুষরা কষ্টের মধ্যে আছেন, তা তিনি জানেন-উপলব্ধি করেন ৷ কিন্তু, বর্তমান পরিস্থিতিতে লকডাউন করা ছাড়া তাঁর কাছে কোনও উপায় ছিল না ৷ দেশের স্বার্থে-সাধারণের স্বার্থে এই কঠোর সিদ্ধান্ত ৷ গরিব মানুষদের কষ্ট দেওয়ার জন্য হাতজোড় করে ক্ষমাও চেয়েনিলেন তিনি ৷ আজ লকডাউনের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর 'মন কি বাত' অনুষ্ঠানের এটাই ছিল সারবত্তা ৷ তাঁর আহ্বান, 21 দিনের এই লড়াইয়ে জিততে হবে 130 কোটির ভারতকে। লকডাউন নিয়ে হয়তো মনে অনেক ক্ষোভ জমে থাকবে, তবে এই পরিস্থিতিকেও উপভোগ করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি । বললেন , অবসরে বাড়িতে বসে নিজেকে আবিষ্কার করুন । পরিবার, সম্পর্কগুলোকে আরও দৃঢ় করুন ।

আজ মন কি বাতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "বর্তমান পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণে আনতে কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে । দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণা হয়েছে । এই কঠোর পদক্ষেপের জন্য আমি দেশবাসীর কাছে ক্ষমাপ্রার্থী । জানি এই সিদ্ধান্ত সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে অনেক সমস্যা তৈরি করেছে । মূলত গরিবদের ক্ষেত্রে । তবে, আমার বিবেক বলছে, আপানারা আমাকে অবশ্যই ক্ষমা করবেন । আমি জানি আমাকে এমন কিছু সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে যার জন্য আমার গরিব ভাই-বোনেরা এখন সমস্যায় রয়েছে । তাঁরা হয়তো ভাবছেন, আমি কী ধরনের প্রধানমন্ত্রী যে তাঁদের কষ্ট, সমস্যা বাড়িয়েছি । বিশেষ করে তাঁদের কাছেই ক্ষমা চাইছি আমি ।"

নরেন্দ্র মোদি আরও বলেন, "আমি আপনাদের কষ্ট বুঝতে পারছি । কিন্তু এই 130 কোটির দেশে কোরোনা যুদ্ধে জেতার জন্য আর কোনও পথ ছিল না । এই লড়াই জীবন-মৃত্যুর লড়াই এবং আমাদের তা জিততে হবে । তাই আমাদের এই কঠোর পদক্ষেপগুলি করতে হয়েছে । জানি কেউ এই ধরনের পদক্ষেপ করতে চান না । কিন্তু বর্তমান যা পরিস্থিতি তাতে আপনার এবং আপনার পরিবারকে সুরক্ষিত করতে অত্যন্ত জরুরি ছিল দেশজুড়ে লকডাউনের ঘোষণা । যাঁরা লকডাউন মানছেন না, তাঁরা তাঁদের জীবন নিয়ে খেলছে । এটা খুব দুঃখের যে বিশ্বজুড়ে অনেকেই এধরনের ভুল করছেন ।"

লকডাউনের সময় কীভাবে কাটাবেন ? প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ , "এই সময় সামাজিক দূরত্ব বাড়ান আর পরস্পরের মধ্যে আত্মিক সম্পর্ককে দৃঢ় করুন । লকডাউনে আপনার বাড়ির সঙ্গে, পরিবারের সঙ্গে বন্ধন আরও দৃঢ় করুন । অনেকে আমার সঙ্গে তাঁদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। কেউ ভালো ভালো রান্না করছেন। কেউ বাড়ির লোককে সময় দিচ্ছেন । কাজের চাপে, ব্যস্ত জীবনে যাঁরা স্কুল কলেজের পুরোনো বন্ধুদের সময় দিতে পারেননি, যোগাযোগ করতে পারেননি, আজ তারা সোশাল মিডিয়ায় আবার রিইউনিয়ন করছেন । অনেকেই বলছেন, নিজেদের পুরোনো শখ যা প্রায় ভুলতে বসেছিলেন এই লকডাউনে তা আবার অভ্যাস করতে শুরু করেছেন । যেমন তবলা বাজানো, নাচ-গান করা । এই সময়ে বাড়ি থেকে বেরোবেন না, পথে বেরিয়ে অন্যকে খুঁজবেন না কিন্তু নিজের মধ্যে নিজেকে নতুন করে খুঁজুন ।"

দিল্লি, 29 মার্চ : দেশের সাধারণ-গরিব মানুুষরা কষ্টের মধ্যে আছেন, তা তিনি জানেন-উপলব্ধি করেন ৷ কিন্তু, বর্তমান পরিস্থিতিতে লকডাউন করা ছাড়া তাঁর কাছে কোনও উপায় ছিল না ৷ দেশের স্বার্থে-সাধারণের স্বার্থে এই কঠোর সিদ্ধান্ত ৷ গরিব মানুষদের কষ্ট দেওয়ার জন্য হাতজোড় করে ক্ষমাও চেয়েনিলেন তিনি ৷ আজ লকডাউনের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর 'মন কি বাত' অনুষ্ঠানের এটাই ছিল সারবত্তা ৷ তাঁর আহ্বান, 21 দিনের এই লড়াইয়ে জিততে হবে 130 কোটির ভারতকে। লকডাউন নিয়ে হয়তো মনে অনেক ক্ষোভ জমে থাকবে, তবে এই পরিস্থিতিকেও উপভোগ করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি । বললেন , অবসরে বাড়িতে বসে নিজেকে আবিষ্কার করুন । পরিবার, সম্পর্কগুলোকে আরও দৃঢ় করুন ।

আজ মন কি বাতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "বর্তমান পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণে আনতে কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে । দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণা হয়েছে । এই কঠোর পদক্ষেপের জন্য আমি দেশবাসীর কাছে ক্ষমাপ্রার্থী । জানি এই সিদ্ধান্ত সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে অনেক সমস্যা তৈরি করেছে । মূলত গরিবদের ক্ষেত্রে । তবে, আমার বিবেক বলছে, আপানারা আমাকে অবশ্যই ক্ষমা করবেন । আমি জানি আমাকে এমন কিছু সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে যার জন্য আমার গরিব ভাই-বোনেরা এখন সমস্যায় রয়েছে । তাঁরা হয়তো ভাবছেন, আমি কী ধরনের প্রধানমন্ত্রী যে তাঁদের কষ্ট, সমস্যা বাড়িয়েছি । বিশেষ করে তাঁদের কাছেই ক্ষমা চাইছি আমি ।"

নরেন্দ্র মোদি আরও বলেন, "আমি আপনাদের কষ্ট বুঝতে পারছি । কিন্তু এই 130 কোটির দেশে কোরোনা যুদ্ধে জেতার জন্য আর কোনও পথ ছিল না । এই লড়াই জীবন-মৃত্যুর লড়াই এবং আমাদের তা জিততে হবে । তাই আমাদের এই কঠোর পদক্ষেপগুলি করতে হয়েছে । জানি কেউ এই ধরনের পদক্ষেপ করতে চান না । কিন্তু বর্তমান যা পরিস্থিতি তাতে আপনার এবং আপনার পরিবারকে সুরক্ষিত করতে অত্যন্ত জরুরি ছিল দেশজুড়ে লকডাউনের ঘোষণা । যাঁরা লকডাউন মানছেন না, তাঁরা তাঁদের জীবন নিয়ে খেলছে । এটা খুব দুঃখের যে বিশ্বজুড়ে অনেকেই এধরনের ভুল করছেন ।"

লকডাউনের সময় কীভাবে কাটাবেন ? প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ , "এই সময় সামাজিক দূরত্ব বাড়ান আর পরস্পরের মধ্যে আত্মিক সম্পর্ককে দৃঢ় করুন । লকডাউনে আপনার বাড়ির সঙ্গে, পরিবারের সঙ্গে বন্ধন আরও দৃঢ় করুন । অনেকে আমার সঙ্গে তাঁদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। কেউ ভালো ভালো রান্না করছেন। কেউ বাড়ির লোককে সময় দিচ্ছেন । কাজের চাপে, ব্যস্ত জীবনে যাঁরা স্কুল কলেজের পুরোনো বন্ধুদের সময় দিতে পারেননি, যোগাযোগ করতে পারেননি, আজ তারা সোশাল মিডিয়ায় আবার রিইউনিয়ন করছেন । অনেকেই বলছেন, নিজেদের পুরোনো শখ যা প্রায় ভুলতে বসেছিলেন এই লকডাউনে তা আবার অভ্যাস করতে শুরু করেছেন । যেমন তবলা বাজানো, নাচ-গান করা । এই সময়ে বাড়ি থেকে বেরোবেন না, পথে বেরিয়ে অন্যকে খুঁজবেন না কিন্তু নিজের মধ্যে নিজেকে নতুন করে খুঁজুন ।"

Last Updated : Mar 29, 2020, 5:16 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.