দিল্লি, 2 ডিসেম্বর : ঘটনার ভয়াবহতায় চমকে উঠেছে সারা দেশ ৷ পশু চিকিৎসককে ধর্ষণ করে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় আজ সরব ছিল রাজ্যসভা ৷ '' ধর্ষকদের ক্ষমার কোনও প্রশ্নই ওঠে না ৷'' রাজ্যসভার চেয়ারম্যান তথা উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নায়ডু হায়দরাবাদে পশু চিকিৎসককে ধর্ষণ প্রসঙ্গে মন্তব্য করলেন এমনটাই ৷ নায়ডু বলেন, কোনওরকম বিল এ জন্য আসছে না ঠিকই, তবে রাজনৈতিক সদিচ্ছা, প্রশাসনিক ক্ষমতা, ও মানসিকতার পরিবর্তন প্রয়োজন ৷ তবেই সামাজিক এই ক্ষতকে মুছে ফেলা যাবে ৷'' সমূলে উৎপাটনের চেষ্টা করা হচ্ছে, তবে ইতিমধ্যেই দেরি হয়ে গেছে, একথাও বলেন নায়ডু ৷
হায়দরাবাদে ধর্ষণ ইশুতে আজ সংসদের দুই কক্ষই সরব ছিল ৷ বিরোধী সাংসদরা চিকিৎসক ধর্ষণের ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন ৷ ধর্ষণের মতো ঘৃণ্য অপরাধের ক্ষেত্রে ক্ষমাপ্রার্থনা বা প্রাণভিক্ষার যে চল রয়েছে, তা নিয়েও দ্বিতীয়বার ভাবার সময় এসেছে বলে মন্তব্য করেন বেঙ্কাইয়া ৷ তিনি বলেন, ''বহু বছর ধরে দেখে আসছি ৷ শাস্তি দিলেই বা কী৷ আবেদন, প্রাণভিক্ষা ইত্যাদি ৷ আচ্ছা, কেউ কি এজাতীয় অপরাধের ক্ষেত্রে ক্ষমা করায় বিশ্বাসী?''
আইনি প্রক্রিয়ায়, বিচারব্যবস্থায় বদলের সময় এসেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি ৷ সংসদে বিরোধীরা ধর্ষণের ঘটনায় সরব হওয়ার পরেই আজ বক্তব্য পেশ করেন বেঙ্কাইয়া ৷ তিনি বলেন, আইন তৈরি করাটাই সব নয়, একসঙ্গে এই ইশুটা নিয়ে কাজ করার সময় এসেছে ৷
বিরোধীরা যৌন হেনস্থা ও নিগ্রহ সংক্রান্ত ঘটনার ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি ফাস্ট ট্র্যাক আদালত গঠনের দাবিতে মুখর হন আজ৷ সেই প্রসঙ্গে বেঙ্কাইয়া বলেন, এ ধরনের আদালত একটা সমাধান হতে পারে ৷ কিন্তু তারপর তো আবেদন, পুনরাবেদন চলতেই থাকবে ৷'' মহিলাদের সঙ্গে ঘটে যাওয়া এজাতীয় ঘৃণ্য অপরাধকে সামাজিক ব্যাধি হিসেবেও উল্লেখ করেন তিনি ৷ আইনি ও পুলিশি প্রক্রিয়ায় কিছুটা হলেও খামতি রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান ৷
মহিলাদের সম্মানহানি ও এজাতীয় নৃশংস ঘটনাকে অঙ্কুরে বিনাশ করতে হবে বলেও উল্লেখ করেন বেঙ্কাইয়া ৷ ধর্ষক ও অপরাধীদের ছবি ছড়িয়ে দিতে হবে, কারণ সেক্ষেত্রে সামাজিক লজ্জার একটা বিষয়ও জড়িয়ে, এমনও বলেন তিনি ৷