হায়দরাবাদ, 11 জুলাই : ক্রমবর্ধমান কোরোনা সংক্রমণ । দিন দিন পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে । যদি পরিবারের একজন সংক্রমিত হয়, তাহলে পরিবারের বাকিদের সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কাও বেড়ে যাচ্ছে । বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, এইসময় প্রত্যেকের আগাম সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত এবং নিজের যত্ন নেওয়া উচিত ।
অনেকেই তাঁদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে ভিটামিন C, ভিটামিন D-3 এবং জিঙ্ক সমৃদ্ধ খাবার ও ওষুধ সেন করছেন । যদি এই ওষুধগুলো নিয়মিত খেতে হয়, তাহলে জন প্রতি মাসে 600-650 টাকা খরচ পড়ে । ক্রমবর্ধমান চাহিদার জন্য ওষুধগুলি এইমূহূর্তে দোকানেও সহজলভ্য নয় । এই পরিস্থিতিতে পুষ্টি বিশেষজ্ঞ সুজাতা স্টিফেন কিছু পরামর্শ দিয়েছেন । তাঁর কথায়, রান্নাঘরে থাকা কয়েকটি সাধারণ উপাদান ও অন্যান্য পুষ্টিকর জিনিস দিয়েই রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো যেতে পারে । যদি তা যথাযথভাবে তা গ্রহণ করা যায় ।
এর জন্য নিম্নলিখিত পদ্ধতিগুলি অনুসরণ করা যেতে পারে :
- সকালে ফুটন্ত জলে তুলসি, গোলমরিচ, দারুচিনি, আদা, গুড় এবং হলুদ দিন । যদি এই মিশ্রনটি ছেঁকে নিয়ে, চায়ের বদলে পান করা যায়, তবে তা কাশি, সর্দি এবং গলা খুসখুস থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে ।
- এই ভেষজ মিশ্রণ পান করার পর প্রায় আধঘণ্টা ব্যায়াম করা জরুরি । দেখা উচিত যাতে শরীর পর্যাপ্ত সূর্যালোক গ্রহণ করে । যোগব্যায়াম বা দ্রুত হাঁটা খুবই উপকারী ।
- প্রতিদিন সকাল 8 টার মধ্যে ব্রেকফাস্ট সেরে ফেলতে হবে । এইসময় বিউলির ডাল বাটা বা রাগি ময়দা দিয়ে তৈরি খাবার আদর্শ । গাজরকুচি আর সব্জি মিশিয়ে একে আরও সুস্বাদু করা যেতে পারে ।
- সকাল সাড়ে দশটার সময় মরশুমের তাজা ফল খান । এইসময় পেয়ারা, পেঁপে, বেদানা, এপ্রিকট এবং ব্লু-বেরি সহজলভ্য এবং স্বাস্থ্যের পক্ষেও ভালো ।
- মধ্যাহ্নভোজে রোজকার খাবার ছাড়াও, ডাল, চিচিঙ্গে, চালকুমড়ো, মূলো, ফুলকপি, বাঁধাকপি এবং অন্যান্য পাতাওয়ালা সবজি খাওয়া যেতে পারে । এগুলি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে । এগুলির মধ্যে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টও থাকে, যা ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের বিরুদ্ধে কাজ করে ।
- একজন ব্যক্তি সপ্তাহে অন্তত দুবার বা তিনবার 150-200 গ্রাম চিকেন, 75 গ্রাম মাটন, 100 গ্রাম মাছ ও 50 গ্রাম পনির খেলেই তা শরীরের পর্যাপ্ত প্রোটিনের জন্য যথেষ্ট । যাঁরা নিরামিশ খান, তাঁরা প্রোটিনের জন্য বাদাম, মিলেট, সয়াবিন ইত্যাদিকে তাঁদের খাবারে তালিকায় জুড়তে পারেন ।
- সন্ধ্যায় খাবারে ড্রাইফ্রুটস রাখা ভালো । মিলেট, মটরশুঁটি, কাবলি ছোলা, তরমুজ বা কুমড়োর বীজ ইত্যাদি খাওয়া যেতে পারে । কারণ তা জিঙ্ক, সেলেনিয়াম এবং আয়রনে পূর্ণ । এছাড়াও সব্জি সেদ্ধ করে তৈরি সুপও একটু নুন-গোলমরিচ দিয়ে খাওয়া যেতে পারে ।
- সাড়ে সাতটা থেকে আটটার মধ্যে রাতের খাবার সেরে ফেলা উচিত । যাতে ঘুমের আগে খাবার হজম হওয়ার মধ্যে পর্যাপ্ত সময় থাকে । রাতের খাবারে নির্দিষ্ট সংখ্যায় ভুট্টা বা আটার রুটি খাওয়া উচিত । ঘুমোতে যাওয়ার আগে এককাপ দুধে এক চিমটি হলুদ দিয়ে খেলে ফুসফুস ভালো থাকে।