ETV Bharat / bharat

ভারতে বৈজ্ঞানিক দক্ষতার বড় মাইলফলক কোভ্যাকসিন : কৃষ্ণ এল্লা

কোভ্যাকসিন শরীরের ভাইরাল প্রোটিনগুলিকে প্রতিহত করতে বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে বলে জানান ভারত বায়োটেকের চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর কৃষ্ণ ইল্লা ।

author img

By

Published : Jan 4, 2021, 9:28 AM IST

কৃষ্ণ ইল্লা
কৃষ্ণ ইল্লা

হায়দরাবাদ, 4 জানুয়ারি : অবশেষে যাবতীয় প্রতীক্ষার অবসান । গতকালই ভারত বায়োটেকের তৈরি কোরোনা প্রতিষেধক কোভ্যাকসিনকে আপদকালীন নিয়ন্ত্রিত ব্যবহারের জন্য সবুজ সংকেত দিয়েছে ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনেরাল অফ ইন্ডিয়া । বলা হয়েছে, ভারত বায়োটেকের কোভ্যাকসিন মানুষের শরীরে প্রয়োগ করার জন্য নিরাপদ এবং এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আরও বাড়াতে কার্যকর । এরপরই শুভেচ্ছা-অভিনন্দন-প্রতিক্রিয়া আসতে শুরু করে দেশের বিভিন্ন মহল থেকে । টুইট করে নিজের প্রতিক্রিয়া জানান প্রধানমন্ত্রীও । সংস্থার এই অভূতপূর্ব সাফল্যে স্বাভাবিকভাবেই আবেগাপ্লুত ভারত বায়োটেকের চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর কৃষ্ণ এল্লা । তাঁর কথায়, ডিসিজিআইয়ের অনুমোদন আরও নতুন পণ্যের তৈরিতে উৎসাহ দেবে । কোভ্যাকসিন শরীরের ভাইরাল প্রোটিনগুলির সঙ্গে যুঝতে বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে বলেও জানান তিনি ।

ভারত বায়োটেকের তরফে জানানো হয়েছে, তারা একাধিক ভাইরাল প্রোটিনের শক্ত প্রতিরোধের প্রতিক্রিয়া সহ দুর্দান্ত সুরক্ষা ডেটা তৈরি করেছে । গোটা বিশ্বের মানুষের কাছে এটি পৌঁছে দেওয়াই সংস্থার মূল লক্ষ্য ।

ইটিভি ভারতকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কৃষ্ণ এল্লা বলেছেন, "কোভ্যাকসিন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে আরও মজবুত করে । আমরা এখন পর্যন্ত যা কিছু করেছি তার মধ্যে কোভ্যাকসিন সংক্রান্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা হল সবচেয়ে বড় । আমাদের দেশে টিকাকরণ সংক্রান্ত যা যা পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়েছে, তার মধ্যে আমাদের পরীক্ষাই সবথেকে বড় । পরীক্ষামূলক এই প্রয়োগের তৃতীয় পর্যায় শুরু হয়েছিল গত বছরের নভেম্বরে । আমরা তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষার জন্য 23 হাজার স্বেচ্ছাসেবক নিয়েছি । স্বেচ্ছাসেবীদের এই অদম্য ইচ্ছা ভারত তথা গোটা বিশ্বকে নৈতিকভাবে আরও শক্তি জোগায় । আমাদের লক্ষ্য সব দেশকে কোভ্যাকসিন সরবরাহ করা। "

আরও পড়ুন : ভারত বায়োটেকের টিকায় অনুমোদন ডিসিজিআই-এর

তিনি আরও বলেন, "আপদকালীন ব্যবহারের জন্য কোভ্যাকসিনের অনুমোদন ভারতে উদ্ভাবন এবং নতুন পণ্য তৈরির জন্য এক লাফে অনেকটা এগিয়ে গেল । এটি গোটা দেশের জন্য একটি গর্বের মূহূর্ত । শুধু তাই নয়, বৈজ্ঞানিক দক্ষতার দিক থেকে ভারতের জন্য এটি একটি বড় মাইলফলক । এটি ভারতে উদ্ভাবনী ইকোসিস্টেম তৈরিতে অনেকটা সাহায্য করবে । "

তাঁর কথায়, "এই ভ্যাকসিনটি বর্তমান প্যানডেমিক পরিস্থিতি চলাকালীন এক অজানা চিকিৎসা-প্রয়োজনকে সম্বোধন করে । আমাদের লক্ষ্য হল গোটা বিশ্বে যাঁদের এই ভ্যাকসিনের সবথেকে বেশি প্রয়োজন, তাঁদের কাছে এটি পৌঁছে দেওয়া ।"

ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ (আইসিএমআর) ও ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি (এনআইভি)-র সহযোগিতায় ভারত বায়োটেকের তৈরি কোভ্যাকসিন সম্পূর্ণ দেশীয়ভাবে তৈরি করা হয়েছে ।

আরও পড়ুন : কোরোনার নতুন স্ট্রেনের সফল কালচার ভারতে

কোভ্যাকসিন একটি উচ্চ পরিশোধিত প্রতিষেধক । একটি ভেরো সেল উৎপাদন প্ল্যাটফর্মে অত্যন্ত সুরক্ষিত উপায়ে 300 মিলিয়নেরও বেশি ডোজ় তৈরি করা হয়েছে ।

কোভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্যায়ের মানবদেহে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু হয় নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে । গোটা দেশ মিলিয়ে 26 হাজার স্বেচ্ছাসেবীদের মধ্যে এই পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করার লক্ষ্য ছিল । এটি কোরোনার ভ্যাকসিনের জন্য ভারতের প্রথম তৃতীয় পর্যায়ের গবেষণা ছিল । এছাড়া ভারতে যে কোনও রকম ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগের ক্ষেত্রে এই পরীক্ষা ছিল সবথেকে বড় ।

  • Many Congratulations to Dr. Krishna Ella, Suchitra Ella & the entire team of scientists @BharatBiotech on getting DCGI approval for Covaxin👍

    Hyderabad continues to shines on as the vaccine capital because of the pursuit of excellence of scientists & innovative entrepreneurs

    — KTR (@KTRTRS) January 3, 2021 " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data=" ">

কোভ্য়াকসিন প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে প্রায় 1000 জনের শরীরে পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করে দেখা হয়েছিল । ট্রায়ালে বেশ ভালো সাড়া মিলেছিল । ভ্যাকসিন মানবদেহে প্রয়োগের সুরক্ষা এবং রোগ প্রতিরোধক্ষমতার জন্য আন্তর্জাতিক স্তরে বৈজ্ঞানিক জার্নালগুলিতে স্বীকৃতি পেয়েছে বলেও জানান কৃষ্ণ এল্লা ।

আপদকালীন নিয়ন্ত্রিত প্রয়োগের অনুমতি মেলার পর তেলাঙ্গানার তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রী কে টি রামা রাও টুইট করে অভিনন্দন জানিয়েছেন কৃষ্ণ এল্লা, সুচিত্রা এল্লা ও ভারত বায়োটেকের সঙ্গে যুক্ত অন্য গবেষকদের ।

হায়দরাবাদ, 4 জানুয়ারি : অবশেষে যাবতীয় প্রতীক্ষার অবসান । গতকালই ভারত বায়োটেকের তৈরি কোরোনা প্রতিষেধক কোভ্যাকসিনকে আপদকালীন নিয়ন্ত্রিত ব্যবহারের জন্য সবুজ সংকেত দিয়েছে ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনেরাল অফ ইন্ডিয়া । বলা হয়েছে, ভারত বায়োটেকের কোভ্যাকসিন মানুষের শরীরে প্রয়োগ করার জন্য নিরাপদ এবং এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আরও বাড়াতে কার্যকর । এরপরই শুভেচ্ছা-অভিনন্দন-প্রতিক্রিয়া আসতে শুরু করে দেশের বিভিন্ন মহল থেকে । টুইট করে নিজের প্রতিক্রিয়া জানান প্রধানমন্ত্রীও । সংস্থার এই অভূতপূর্ব সাফল্যে স্বাভাবিকভাবেই আবেগাপ্লুত ভারত বায়োটেকের চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর কৃষ্ণ এল্লা । তাঁর কথায়, ডিসিজিআইয়ের অনুমোদন আরও নতুন পণ্যের তৈরিতে উৎসাহ দেবে । কোভ্যাকসিন শরীরের ভাইরাল প্রোটিনগুলির সঙ্গে যুঝতে বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে বলেও জানান তিনি ।

ভারত বায়োটেকের তরফে জানানো হয়েছে, তারা একাধিক ভাইরাল প্রোটিনের শক্ত প্রতিরোধের প্রতিক্রিয়া সহ দুর্দান্ত সুরক্ষা ডেটা তৈরি করেছে । গোটা বিশ্বের মানুষের কাছে এটি পৌঁছে দেওয়াই সংস্থার মূল লক্ষ্য ।

ইটিভি ভারতকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কৃষ্ণ এল্লা বলেছেন, "কোভ্যাকসিন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে আরও মজবুত করে । আমরা এখন পর্যন্ত যা কিছু করেছি তার মধ্যে কোভ্যাকসিন সংক্রান্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা হল সবচেয়ে বড় । আমাদের দেশে টিকাকরণ সংক্রান্ত যা যা পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়েছে, তার মধ্যে আমাদের পরীক্ষাই সবথেকে বড় । পরীক্ষামূলক এই প্রয়োগের তৃতীয় পর্যায় শুরু হয়েছিল গত বছরের নভেম্বরে । আমরা তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষার জন্য 23 হাজার স্বেচ্ছাসেবক নিয়েছি । স্বেচ্ছাসেবীদের এই অদম্য ইচ্ছা ভারত তথা গোটা বিশ্বকে নৈতিকভাবে আরও শক্তি জোগায় । আমাদের লক্ষ্য সব দেশকে কোভ্যাকসিন সরবরাহ করা। "

আরও পড়ুন : ভারত বায়োটেকের টিকায় অনুমোদন ডিসিজিআই-এর

তিনি আরও বলেন, "আপদকালীন ব্যবহারের জন্য কোভ্যাকসিনের অনুমোদন ভারতে উদ্ভাবন এবং নতুন পণ্য তৈরির জন্য এক লাফে অনেকটা এগিয়ে গেল । এটি গোটা দেশের জন্য একটি গর্বের মূহূর্ত । শুধু তাই নয়, বৈজ্ঞানিক দক্ষতার দিক থেকে ভারতের জন্য এটি একটি বড় মাইলফলক । এটি ভারতে উদ্ভাবনী ইকোসিস্টেম তৈরিতে অনেকটা সাহায্য করবে । "

তাঁর কথায়, "এই ভ্যাকসিনটি বর্তমান প্যানডেমিক পরিস্থিতি চলাকালীন এক অজানা চিকিৎসা-প্রয়োজনকে সম্বোধন করে । আমাদের লক্ষ্য হল গোটা বিশ্বে যাঁদের এই ভ্যাকসিনের সবথেকে বেশি প্রয়োজন, তাঁদের কাছে এটি পৌঁছে দেওয়া ।"

ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ (আইসিএমআর) ও ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি (এনআইভি)-র সহযোগিতায় ভারত বায়োটেকের তৈরি কোভ্যাকসিন সম্পূর্ণ দেশীয়ভাবে তৈরি করা হয়েছে ।

আরও পড়ুন : কোরোনার নতুন স্ট্রেনের সফল কালচার ভারতে

কোভ্যাকসিন একটি উচ্চ পরিশোধিত প্রতিষেধক । একটি ভেরো সেল উৎপাদন প্ল্যাটফর্মে অত্যন্ত সুরক্ষিত উপায়ে 300 মিলিয়নেরও বেশি ডোজ় তৈরি করা হয়েছে ।

কোভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্যায়ের মানবদেহে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু হয় নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে । গোটা দেশ মিলিয়ে 26 হাজার স্বেচ্ছাসেবীদের মধ্যে এই পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করার লক্ষ্য ছিল । এটি কোরোনার ভ্যাকসিনের জন্য ভারতের প্রথম তৃতীয় পর্যায়ের গবেষণা ছিল । এছাড়া ভারতে যে কোনও রকম ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগের ক্ষেত্রে এই পরীক্ষা ছিল সবথেকে বড় ।

  • Many Congratulations to Dr. Krishna Ella, Suchitra Ella & the entire team of scientists @BharatBiotech on getting DCGI approval for Covaxin👍

    Hyderabad continues to shines on as the vaccine capital because of the pursuit of excellence of scientists & innovative entrepreneurs

    — KTR (@KTRTRS) January 3, 2021 " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data=" ">

কোভ্য়াকসিন প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে প্রায় 1000 জনের শরীরে পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করে দেখা হয়েছিল । ট্রায়ালে বেশ ভালো সাড়া মিলেছিল । ভ্যাকসিন মানবদেহে প্রয়োগের সুরক্ষা এবং রোগ প্রতিরোধক্ষমতার জন্য আন্তর্জাতিক স্তরে বৈজ্ঞানিক জার্নালগুলিতে স্বীকৃতি পেয়েছে বলেও জানান কৃষ্ণ এল্লা ।

আপদকালীন নিয়ন্ত্রিত প্রয়োগের অনুমতি মেলার পর তেলাঙ্গানার তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রী কে টি রামা রাও টুইট করে অভিনন্দন জানিয়েছেন কৃষ্ণ এল্লা, সুচিত্রা এল্লা ও ভারত বায়োটেকের সঙ্গে যুক্ত অন্য গবেষকদের ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.