ETV Bharat / bharat

কোভিড-১৯-এর মধ্যেই স্কুলে ফেরা

author img

By

Published : Sep 19, 2020, 5:42 PM IST

ভারতে ক্লাস নাইন থেকে টুয়েলভের জন্য স্কুল চালু হতে পারে ২১ সেপ্টেম্বর থেকে। তাই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, যাতে পড়াশোনায় ব্যাঘাত না ঘটে এবং পড়ুয়া ও স্কুলের কর্মীরা নোভেল করোনাভাইরাস থেকে নিরাপদে থাকেন।

SCHOOL
SCHOOL

2020 সালের অর্ধেকেরও বেশি সময় কোভিড-১৯ মহামারীর সঙ্গে থাকার পর প্রত্যেকেই অদূর ভবিষ্যতে একে সঙ্গে নিয়েই বাঁচতে কমবেশি তৈরি, যতদিন না ভ্যাকসিন এসে পৌঁছয়। এরমধ্যে পড়াশোনাও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ভারতের মতো বহু দেশ স্কুলগুলো ফের খোলার ব্যাপারে ভাবনাচিন্তা করছে। যদিও আগের মতো স্বাভাবিকভাবে লেখাপড়া চালানো স্কুলগুলোর ক্ষেত্রেও রীতিমতো চ্যালেঞ্জের বিষয়। ভারতে ক্লাস নাইন থেকে টুয়েলভের জন্য স্কুল চালু হতে পারে ২১ সেপ্টেম্বর থেকে। তাই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, যাতে পড়াশোনায় ব্যাঘাত না ঘটে এবং পড়ুয়া ও স্কুলের কর্মীরা নোভেল করোনাভাইরাস থেকে নিরাপদে থাকেন।

করোনা পরিস্থিতির মধ্যে বিশ্বজুড়ে স্কুল খোলার জন্য যৌথভাবে বিশেষ গাইডলাইন দিয়েছে ইউনিসেফ, ইউনেস্কো, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, টেকনিক্যাল অ্যাডভাইসরি গ্রুপ (টিএজি) এবং অন্যান্য সংস্থা। তার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক নিচে দেওয়া হল :

স্কুলগুলো কি সেফ জোনের মধ্যে?

সংশ্লিষ্ট এলাকার সংবেদনশীলতা অনুযায়ী স্কুলগুলোকে খুলতে বলা হয়েছে। করোনা ওই এলাকায় কত দ্রুত ছড়াচ্ছে এবং সেই এলাকায় আক্রান্তের সংখ্যা কত, তার ভিত্তিতেই এটা নির্ধারিত হবে। যার জন্য নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

অত্যন্ত সংবেদনশীল এলাকা, রেড জোন বা কনটেনমেন্ট জোনে স্কুল খোলা উচিত নয়।

যে সব এলাকায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম, সেখানে সমস্ত পদক্ষেপ নিয়ে স্কুল খোলা উচিত।

এধরণের এলাকায় সমস্ত পড়ুয়ার নিয়মিত হাজিরার বদলে গ্রুপ তৈরি করা যেতে পারে এবং তাদের ক্লাসের আলাদা আলাদা সময় বেঁধে দেওয়া যেতে পারে। এছাড়াও এক একটি গ্রুপকে নিয়ে আলাদা আলাদা দিনে ক্লাস করানো যেতে পারে।

যেখানে কোনও সংক্রমণের ঘটনা ধরা পড়েনি, সেখানকার স্কুলগুলোতেও উপরোক্ত পদ্ধতি প্রয়োগ করা যেতে পারে।

স্কুলগুলির জন্য নির্দেশাবলী

বাচ্চাদের আলাদা আলাদা গ্রুপে ভাগ করে আলাদা শিফটে বা একদিন অন্তর স্কুলে ডাকুন। অর্থাৎ একটি গ্রুপ যেদিন আসবে, আরেকটি গ্রুপ অন্যদিন আসবে।

বাচ্চারা হোক বা শিক্ষকরা, যথাযথ সামাজিক দূরত্ব প্রত্যেককেই মেনে চলতে হবে। ক্লাসরুমে বসার সময় বা স্কুল করিডরে হাঁটার সময় অন্তত ১ মিটার দূরত্ব বজায় রাখুন।

ক্লাসরুম, শৌচাগার, খেলার মাঠ, ডাইনিং রুম, জল খাবার জায়গা, এবং ল্যাবরেটরির মতো বিশেষ ক্লাসে নিয়মিত এবং যথাযথভাবে স্যানিটেশন প্রক্রিয়া চালাতে হবে। পড়ুয়া ও শিক্ষকরা যাতে বার বার সাবান দিয়ে হাত ধুতে পারেন, তার ব্যবস্থা রাখতে হবে।

মাস্ক না পরে স্কুলে আসা যাবে না।

এছাড়াও স্কুল কর্তৃপক্ষকে পড়ুয়ার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হবে। যা যা করা হচ্ছে তা তাঁদের নিয়মিত জানাতে হবে, যাতে তাঁরা আশ্বস্ত হন যে তাঁদের বাচ্চারা স্কুলে নিরাপদ এবং সমস্ত সতর্কতা পালন করা হচ্ছে।

স্কুলের পড়ুয়া ও কর্মীদের স্বাস্থ্যের বিবরণ গুরুত্বপূর্ণ

স্কুল খোলার আগে পড়ুয়াদের, তাঁদের পরিবারের, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের এবং স্কুলের সমস্ত কর্মীদের স্বাস্থ্যের ব্যাপারে বিশদে জেনে নেওয়া প্রয়োজন, যাতে নির্দিষ্ট কারও সংক্রমণের ঝুঁকি থাকলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া যায়। বয়স বা অসুস্থতার কারণে যে পড়ুয়া বা কর্মীদের গুরুতর সংক্রমণের ঝুঁকি আছে, তাঁদের কথা বিবেচনা করতে হবে কর্তৃপক্ষকে। গাইডলাইন অনুযায়ী, স্কুলে যাতায়াতের নিরাপদ পরিবহণব্যবস্থা আছে কিনা, অথবা পরিচ্ছন্নতা ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার মতো পর্যাপ্ত পরিকাঠামো স্কুলের আছে কিনা, তাও দেখতে হবে।

পড়ুয়া ও তার পরিবারের জন্য গাইডলাইন

স্কুল পড়ুয়া কচিকাঁচা ও তাদের পরিবারের জন্য গাইডলাইন ইস্যু করা হয়েছে। সেখানেও পড়ুয়াদের মাস্ক পরে স্কুল যাওয়াকে প্রয়োজনীয় বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

শিশুদের ওপর করোনাভাইরাসের প্রভাব

বর্তমান ছবি অনুযায়ী, খুব কম সংখ্যক বাচ্চাই কোভিড-১৯-এ ভুগছে। তাদের মধ্যে ১২ বছরের কম বয়সীদের সংখ্যা নামমাত্র। কিন্তু স্কুলগুলো খুলে গেলে পরিস্থিতিটা এমন নাও থাকতে পারে। ক্লাসে বা করিডরে দূরত্ব বজায় রাখার কথা বাদই দিন – স্কুল শুরু এবং শেষের সময়ও বিভিন্ন ক্লাসের পড়ুয়ারা একসঙ্গে জড়ো হয়। তাই প্রতিটি ক্লাসের জন্য আলাদা আলাদা সময় নির্দিষ্ট করতে হবে, যাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা যায়।

যদিও পৃথিবী ক্রমশ স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে, এটা মনে রাখতে হবে যে কোভিড-১৯ এখনও শেষ হয়নি, এবং মানুষকে এখনও যথাযথ সতর্কতামূলক পদক্ষেপ মেনে চলতে হবে। স্কুল কর্তৃপক্ষ সমস্ত সরকারি গাইডলাইন মেনে চলতে পারে, কিন্তু ব্যক্তিগত স্তরেও সতর্কতাকে অবহেলা করা উচিত নয়, বিশেষ করে বাবা-মার ক্ষেত্রে। নিচের লিঙ্কে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের ইস্যু করা বিশদ গাইডলাইন দেওয়া হল:

https://www.mohfw.gov.in/pdf/FinalSOPonpartialresumptionofactivitiesinschools8092020.pdf

2020 সালের অর্ধেকেরও বেশি সময় কোভিড-১৯ মহামারীর সঙ্গে থাকার পর প্রত্যেকেই অদূর ভবিষ্যতে একে সঙ্গে নিয়েই বাঁচতে কমবেশি তৈরি, যতদিন না ভ্যাকসিন এসে পৌঁছয়। এরমধ্যে পড়াশোনাও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ভারতের মতো বহু দেশ স্কুলগুলো ফের খোলার ব্যাপারে ভাবনাচিন্তা করছে। যদিও আগের মতো স্বাভাবিকভাবে লেখাপড়া চালানো স্কুলগুলোর ক্ষেত্রেও রীতিমতো চ্যালেঞ্জের বিষয়। ভারতে ক্লাস নাইন থেকে টুয়েলভের জন্য স্কুল চালু হতে পারে ২১ সেপ্টেম্বর থেকে। তাই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, যাতে পড়াশোনায় ব্যাঘাত না ঘটে এবং পড়ুয়া ও স্কুলের কর্মীরা নোভেল করোনাভাইরাস থেকে নিরাপদে থাকেন।

করোনা পরিস্থিতির মধ্যে বিশ্বজুড়ে স্কুল খোলার জন্য যৌথভাবে বিশেষ গাইডলাইন দিয়েছে ইউনিসেফ, ইউনেস্কো, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, টেকনিক্যাল অ্যাডভাইসরি গ্রুপ (টিএজি) এবং অন্যান্য সংস্থা। তার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক নিচে দেওয়া হল :

স্কুলগুলো কি সেফ জোনের মধ্যে?

সংশ্লিষ্ট এলাকার সংবেদনশীলতা অনুযায়ী স্কুলগুলোকে খুলতে বলা হয়েছে। করোনা ওই এলাকায় কত দ্রুত ছড়াচ্ছে এবং সেই এলাকায় আক্রান্তের সংখ্যা কত, তার ভিত্তিতেই এটা নির্ধারিত হবে। যার জন্য নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

অত্যন্ত সংবেদনশীল এলাকা, রেড জোন বা কনটেনমেন্ট জোনে স্কুল খোলা উচিত নয়।

যে সব এলাকায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম, সেখানে সমস্ত পদক্ষেপ নিয়ে স্কুল খোলা উচিত।

এধরণের এলাকায় সমস্ত পড়ুয়ার নিয়মিত হাজিরার বদলে গ্রুপ তৈরি করা যেতে পারে এবং তাদের ক্লাসের আলাদা আলাদা সময় বেঁধে দেওয়া যেতে পারে। এছাড়াও এক একটি গ্রুপকে নিয়ে আলাদা আলাদা দিনে ক্লাস করানো যেতে পারে।

যেখানে কোনও সংক্রমণের ঘটনা ধরা পড়েনি, সেখানকার স্কুলগুলোতেও উপরোক্ত পদ্ধতি প্রয়োগ করা যেতে পারে।

স্কুলগুলির জন্য নির্দেশাবলী

বাচ্চাদের আলাদা আলাদা গ্রুপে ভাগ করে আলাদা শিফটে বা একদিন অন্তর স্কুলে ডাকুন। অর্থাৎ একটি গ্রুপ যেদিন আসবে, আরেকটি গ্রুপ অন্যদিন আসবে।

বাচ্চারা হোক বা শিক্ষকরা, যথাযথ সামাজিক দূরত্ব প্রত্যেককেই মেনে চলতে হবে। ক্লাসরুমে বসার সময় বা স্কুল করিডরে হাঁটার সময় অন্তত ১ মিটার দূরত্ব বজায় রাখুন।

ক্লাসরুম, শৌচাগার, খেলার মাঠ, ডাইনিং রুম, জল খাবার জায়গা, এবং ল্যাবরেটরির মতো বিশেষ ক্লাসে নিয়মিত এবং যথাযথভাবে স্যানিটেশন প্রক্রিয়া চালাতে হবে। পড়ুয়া ও শিক্ষকরা যাতে বার বার সাবান দিয়ে হাত ধুতে পারেন, তার ব্যবস্থা রাখতে হবে।

মাস্ক না পরে স্কুলে আসা যাবে না।

এছাড়াও স্কুল কর্তৃপক্ষকে পড়ুয়ার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হবে। যা যা করা হচ্ছে তা তাঁদের নিয়মিত জানাতে হবে, যাতে তাঁরা আশ্বস্ত হন যে তাঁদের বাচ্চারা স্কুলে নিরাপদ এবং সমস্ত সতর্কতা পালন করা হচ্ছে।

স্কুলের পড়ুয়া ও কর্মীদের স্বাস্থ্যের বিবরণ গুরুত্বপূর্ণ

স্কুল খোলার আগে পড়ুয়াদের, তাঁদের পরিবারের, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের এবং স্কুলের সমস্ত কর্মীদের স্বাস্থ্যের ব্যাপারে বিশদে জেনে নেওয়া প্রয়োজন, যাতে নির্দিষ্ট কারও সংক্রমণের ঝুঁকি থাকলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া যায়। বয়স বা অসুস্থতার কারণে যে পড়ুয়া বা কর্মীদের গুরুতর সংক্রমণের ঝুঁকি আছে, তাঁদের কথা বিবেচনা করতে হবে কর্তৃপক্ষকে। গাইডলাইন অনুযায়ী, স্কুলে যাতায়াতের নিরাপদ পরিবহণব্যবস্থা আছে কিনা, অথবা পরিচ্ছন্নতা ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার মতো পর্যাপ্ত পরিকাঠামো স্কুলের আছে কিনা, তাও দেখতে হবে।

পড়ুয়া ও তার পরিবারের জন্য গাইডলাইন

স্কুল পড়ুয়া কচিকাঁচা ও তাদের পরিবারের জন্য গাইডলাইন ইস্যু করা হয়েছে। সেখানেও পড়ুয়াদের মাস্ক পরে স্কুল যাওয়াকে প্রয়োজনীয় বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

শিশুদের ওপর করোনাভাইরাসের প্রভাব

বর্তমান ছবি অনুযায়ী, খুব কম সংখ্যক বাচ্চাই কোভিড-১৯-এ ভুগছে। তাদের মধ্যে ১২ বছরের কম বয়সীদের সংখ্যা নামমাত্র। কিন্তু স্কুলগুলো খুলে গেলে পরিস্থিতিটা এমন নাও থাকতে পারে। ক্লাসে বা করিডরে দূরত্ব বজায় রাখার কথা বাদই দিন – স্কুল শুরু এবং শেষের সময়ও বিভিন্ন ক্লাসের পড়ুয়ারা একসঙ্গে জড়ো হয়। তাই প্রতিটি ক্লাসের জন্য আলাদা আলাদা সময় নির্দিষ্ট করতে হবে, যাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা যায়।

যদিও পৃথিবী ক্রমশ স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে, এটা মনে রাখতে হবে যে কোভিড-১৯ এখনও শেষ হয়নি, এবং মানুষকে এখনও যথাযথ সতর্কতামূলক পদক্ষেপ মেনে চলতে হবে। স্কুল কর্তৃপক্ষ সমস্ত সরকারি গাইডলাইন মেনে চলতে পারে, কিন্তু ব্যক্তিগত স্তরেও সতর্কতাকে অবহেলা করা উচিত নয়, বিশেষ করে বাবা-মার ক্ষেত্রে। নিচের লিঙ্কে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের ইস্যু করা বিশদ গাইডলাইন দেওয়া হল:

https://www.mohfw.gov.in/pdf/FinalSOPonpartialresumptionofactivitiesinschools8092020.pdf

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.