কলকাতা, 10 ডিসেম্বর : বৃহস্পতিবার নতুন সংসদ ভবনের আনুষ্ঠানিক শিলান্যাস করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি । কিন্তু সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্যে দলের মধ্যেই সমালোচিত হলেন কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজ়াদ । কংগ্রেস নেতৃত্বের মতে আজ়াদের এই পদক্ষেপ আসলে দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের সমতুল্য ।
পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ও লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরি ইটিভি ভারতকে বলেন যে সমগ্র বিষয়টি নিয়ে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে । লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা বলেন, "কংগ্রেস হাইকমান্ড বিষয়টি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন । দলের শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির কাছে বিষয়টি জানানো হবে।" কী কারণে বিজেপির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গেলেন তা নিয়ে মতামত জানতে চাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অধীর চৌধুরি ।
রাজ্য কংগ্রেসের পরিষদীয় দলনেতা অসিত মিত্রের একই মতামত । তাঁর মতে, এখানে দলীয় শৃঙ্খলার ব্যাপারটা জড়িত । তিনি বলেন, "দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এবং অল ইন্ডিয়া কংগ্রেস কমিটি ব্যাপারটা খতিয়ে দেখবে এবং তারপরই যথারীতি ব্যবস্থা নেওয়া হবে । তবে আমার ব্যক্তিগত মতামত ব্যাপারটা নিয়ে যাতে বেশি জলঘোলা না হয় । অল্পের উপর দিয়ে ব্যাপারটা মিতে গেলেই ভালো ।’’
চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসেই দলের সাধারণ সম্পাদকের স্তর থেকে সরানো হয় গুলাম নবি আজ়াদকে । মনে করা হয় সম্প্রতি বিদ্রোহী চিঠির জন্যই সরানো হল তাঁকে । দলের অভ্যন্তরের সংস্কার এবং স্থায়ী সভাপতি নির্বাচনের দাবিতে সরব হয়েছিলেন কয়েকজন কংগ্রেস নেতা । গুলম নবি আজ়াদও তাঁদের মধ্যে একজন ।
এরপরেও অবশ্য থেমে থাকেননি আজ়াদ । গত মাসের শেষ দিকে তিনি আবার একটা বিবৃতি দেন । যেখানে তিনি দাবি করেন যে দলের কাঠামোটাই ভেঙে গিয়েছে । একইসঙ্গে তিনি দাবি জানান, দলের সমস্ত সাংগঠনিক পদে নির্বাচনের । তবে বিষয়টি হালকাভাবে নেয়নি কংগ্রেস নেতৃত্ব ৷ অধীর রঞ্জন চৌধুরি ইটিভি ভারতকে বলেন, "যাঁরা দলে থেকে কংগ্রেস সম্পর্কে সমালোচনা করছেন তাঁরা স্বেচ্ছায় দল থেকে বেরিয়ে যেতে পারেন বা নিজের দল গঠন করতে পারেন । দুষ্টু গোরুর চেয়ে, শূন্য গোয়াল ভালো । কংগ্রেসে থেকে অন্য রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে সুযোগ সুবিধা নেওয়ার থেকে দল ত্যাগ করা ভালো । কংগ্রেসের একনিষ্ঠ কর্মীদের নিয়েই আগামী দিনে দেশ এবং রাজ্যের কংগ্রেস এগিয়ে চলবে ৷ "