ETV Bharat / bharat

গান্ধির সবরমতীর আশ্রম ছিল স্বাধীনতা সংগ্রাম ও সমাজ সংস্কারের আঁতুড়ঘর - Gandhi Ji

গান্ধি ছিলেন এক মহান সমাজসেবী ও সংস্কারক । নিজের জীবনকালে গান্ধি সবরমতী ছাড়াও তিনটি আশ্রম গড়েছিলেন ।

গান্ধি
author img

By

Published : Aug 24, 2019, 10:00 AM IST

ইতিহাসে এমন নেতা খুব কম রয়েছেন যাঁরা জনগণের কাছে যে নীতি ও আদর্শের কথা প্রচার করতেন, তা ব্যক্তিগত জীবনযাপনেও অনুসরণ করতেন । গান্ধি তাঁদের মধ্যে অন্যতম । অনেকেই গান্ধিকে শুধুমাত্র স্বাধীনতা সংগ্রামী হিসাবে চেনেন । তবে গান্ধি ছিলেন এক মহান সমাজসেবী ও সংস্কারক । নিজের জীবনকালে গান্ধি সবরমতী ছাড়াও তিনটি আশ্রম গড়েছিলেন ।

1925 সালের নভেম্বর । মহাত্মা গান্ধি সপ্তাহব্যাপী অনশনে বসেন । তাঁর আশ্রমের কয়েকজন যুবকের শৃঙ্খলাভঙ্গের প্রতিবাদেই এই অনশনে বসেছিলেন তিনি । পরবর্তীতে গান্ধির প্রত্যয়ের সামনে হার মেনে নিজেদের ভুল স্বীকার করে এগিয়ে এসেছিলেন সেই যুবকরা । ন্যায়পরায়ণতার সেই উদাহরণ আজকের সমাজেও সমান প্রয়োজনীয় ।

দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ভারতে ফিরে এসে গান্ধি লক্ষ্য করেছিলেন, কংগ্রেস ভারতে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন গড়ে তুলতে সমর্থ হলেও প্রকৃত গণসংগঠন গড়ে তুলতে পারেনি । দেশের কৃষক ও শ্রমিক সম্প্রদায়ের কাছে কংগ্রেসের নীতি ও কর্মসূচি সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা ছিল না । তিনি বুঝেছিলেন দেশের কৃষক ও শ্রমিক সম্প্রদায়ের সমর্থন ছাড়া ভারতে প্রকৃত গণআন্দোলন গড়ে তোলা সম্ভব নয় । গান্ধিজির একটি মাত্র লক্ষ্য ছিল এই সত্যাগ্রহ নীতি প্রয়োগের দ্বারা ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনকে প্রকৃত জাতীয়তাবাদী আন্দোলনে পরিণত করা । এর কারণেই সবরমতী নদীর তীরে সত্যাগ্রহ আশ্রম প্রতিষ্ঠিত করে তিনি তাঁর অনুগামীদের সত্যাগ্রহের আদর্শ ও পদ্ধতি শিক্ষা দিতে উদ্যোগী হন ।

আশ্রমে গান্ধি কিন্তু পুরাণকালের ঋষি ছিলেন না । তিনি ছিলেন রাজনৈতিক ঋষি । অহিংসা ও সত্যাগ্রহের মন্ত্র গান্ধি তাঁর এই আশ্রমেই দিতেন । তা তিনি তিনি প্রচার করতেন জাতি, ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ নির্বিশেষে । অনেকের প্রশ্ন, যদি ধরনা ও হরতালের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন করা সম্ভব হত তা হলে গান্ধি আশ্রমে থাকতেন কেন ? গান্ধির আশ্রম ধর্ম ও জাতির নিরিখে বিভেদ ভুলে ভারতবাসী হিসাবে সবাইকে বাঁচতে শিখিয়েছিল । জাতি, ধর্ম, ভাষাভিত্তিক বিভাজন ঘটিয়ে ভারতে জাতীয়তাবাদী শক্তিকে দুর্বল করে সাম্রাজ্যবাদী ইংরেজরা । এই বিভেদ তৈরি করেই তাদের শাসনকে দীর্ঘস্থায়ী করার কৌশল গ্রহণ করেছিল তারা । তবে নিজের আশ্রমের মাধ্যমে ভারতীয়দের মধ্যে ভ্রাতৃপ্রেম গড়ে তুলে সেই কৌশলকে ভাঙেন গান্ধি । গড়ে তোলেন নতুন ভারতের রূপরেখা ।

ইতিহাসে এমন নেতা খুব কম রয়েছেন যাঁরা জনগণের কাছে যে নীতি ও আদর্শের কথা প্রচার করতেন, তা ব্যক্তিগত জীবনযাপনেও অনুসরণ করতেন । গান্ধি তাঁদের মধ্যে অন্যতম । অনেকেই গান্ধিকে শুধুমাত্র স্বাধীনতা সংগ্রামী হিসাবে চেনেন । তবে গান্ধি ছিলেন এক মহান সমাজসেবী ও সংস্কারক । নিজের জীবনকালে গান্ধি সবরমতী ছাড়াও তিনটি আশ্রম গড়েছিলেন ।

1925 সালের নভেম্বর । মহাত্মা গান্ধি সপ্তাহব্যাপী অনশনে বসেন । তাঁর আশ্রমের কয়েকজন যুবকের শৃঙ্খলাভঙ্গের প্রতিবাদেই এই অনশনে বসেছিলেন তিনি । পরবর্তীতে গান্ধির প্রত্যয়ের সামনে হার মেনে নিজেদের ভুল স্বীকার করে এগিয়ে এসেছিলেন সেই যুবকরা । ন্যায়পরায়ণতার সেই উদাহরণ আজকের সমাজেও সমান প্রয়োজনীয় ।

দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ভারতে ফিরে এসে গান্ধি লক্ষ্য করেছিলেন, কংগ্রেস ভারতে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন গড়ে তুলতে সমর্থ হলেও প্রকৃত গণসংগঠন গড়ে তুলতে পারেনি । দেশের কৃষক ও শ্রমিক সম্প্রদায়ের কাছে কংগ্রেসের নীতি ও কর্মসূচি সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা ছিল না । তিনি বুঝেছিলেন দেশের কৃষক ও শ্রমিক সম্প্রদায়ের সমর্থন ছাড়া ভারতে প্রকৃত গণআন্দোলন গড়ে তোলা সম্ভব নয় । গান্ধিজির একটি মাত্র লক্ষ্য ছিল এই সত্যাগ্রহ নীতি প্রয়োগের দ্বারা ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনকে প্রকৃত জাতীয়তাবাদী আন্দোলনে পরিণত করা । এর কারণেই সবরমতী নদীর তীরে সত্যাগ্রহ আশ্রম প্রতিষ্ঠিত করে তিনি তাঁর অনুগামীদের সত্যাগ্রহের আদর্শ ও পদ্ধতি শিক্ষা দিতে উদ্যোগী হন ।

আশ্রমে গান্ধি কিন্তু পুরাণকালের ঋষি ছিলেন না । তিনি ছিলেন রাজনৈতিক ঋষি । অহিংসা ও সত্যাগ্রহের মন্ত্র গান্ধি তাঁর এই আশ্রমেই দিতেন । তা তিনি তিনি প্রচার করতেন জাতি, ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ নির্বিশেষে । অনেকের প্রশ্ন, যদি ধরনা ও হরতালের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন করা সম্ভব হত তা হলে গান্ধি আশ্রমে থাকতেন কেন ? গান্ধির আশ্রম ধর্ম ও জাতির নিরিখে বিভেদ ভুলে ভারতবাসী হিসাবে সবাইকে বাঁচতে শিখিয়েছিল । জাতি, ধর্ম, ভাষাভিত্তিক বিভাজন ঘটিয়ে ভারতে জাতীয়তাবাদী শক্তিকে দুর্বল করে সাম্রাজ্যবাদী ইংরেজরা । এই বিভেদ তৈরি করেই তাদের শাসনকে দীর্ঘস্থায়ী করার কৌশল গ্রহণ করেছিল তারা । তবে নিজের আশ্রমের মাধ্যমে ভারতীয়দের মধ্যে ভ্রাতৃপ্রেম গড়ে তুলে সেই কৌশলকে ভাঙেন গান্ধি । গড়ে তোলেন নতুন ভারতের রূপরেখা ।

Tral (J-K), Aug 22 (ANI): With normalcy returning to parts of Jammu and Kashmir, Pulwama's Tral is also looking positive, weeks after scraping of Article 370, which gave special status to J-K. Youth played cricket in the beautiful weather, while shepherds were seen grazing their sheep. A local in Tral said, "There should be places for our children to play, schools should improve, there should be a husbandry in our village, and quality of food should improve in anganwadi centers. I've full faith in government, Narendra Modi is a good man, and he will work for us." Restoration of normalcy in Tral plays a key role, as its one of the most sensitive areas. Terrorists like Burhan Wani belonged to Tral. Security was beefed up in the region after the abrogation of Article 370 and bifurcation of the state into two Union Territories - Jammu and Kashmir, and Ladakh on August 5.
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.