শ্রীনগর, 22 জুন : ভারতীয় সেনাবাহিনীর সঙ্গে জঙ্গিদের পৃথক দুটি গুলির লড়াইয়ে পাকিস্তানি নাগরিকসহ চার জঙ্গি নিহত হয়েছে । ঘটনা দু'টি কাশ্মীরের শ্রীনগর ও কুলগ্রামের ।
আজ শ্রীনগরের জুনিমিরার এলাকায় এনকাউন্টারে তিন জঙ্গি খতম হয়। এর মধ্যে একজন সম্প্রতি BSF-র দু'জন সদস্যকে হত্যা করে । এই বিষয়ে কাশ্মীর রেঞ্জের পুলিশ জেনেরাল জানিয়েছেন, শ্রীনগরের মৃত তিন জঙ্গি ISJK-র সদস্য। তাদের কাছ থেকে একটি AK -৪ রাইফেল, দু'টি পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে । তাদের মধ্যে দু'জনের পরিচয় জানা গেছে । একজন হলেন শ্রীনগরের ভরতানার শাকুর ফারুক লাঙ্গু এবং অন্যজন বিজবেহারের সেমথনের সৈয়দ আহমেদ ভাট । অন্য আর একজনের পরিচয় জানা যায়নি ।
20 মে এই শাকুর ফারুক লাঙ্গু BSF-র দুই জওয়ানকে হত্যা করে । যে AK রাইফেলটি জঙ্গিদের থেকে উদ্ধার হয়েছে ওই রাইফেলটি ছিল BSF জওয়ানদের । জঙ্গিরা BSF সদস্যদের হত্যা করে ওই রাইফেল ছিনতাই করে । কাশ্মীরের IGP বিজয় কুমার জানিয়েছেন, শ্রীনগরের ওই এলাকা জনবহুল । তা সত্ত্বেও কোনও প্রাণহানি হয়নি । ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এলাকার কয়েকটি বাড়ি । ওই সকল বাড়ির জানালা ও দরজা ভেঙে গেছে । বাড়ির ভিতরের আসবাবপত্রের ক্ষতি হয়েছে ।
অন্যদিকে , জানতে পারা গেছে কুলগ্রামের নিহত জঙ্গির পরিচয় । তার নাম তাইব ওয়ালিদ ওরফে ইমরান ভাই ওরফে গাজি বাবা । সে পাকিস্তানের নাগরিক । JeM জঙ্গি গোষ্ঠীর অপারেশনাল কমান্ডার ছিল সে । বিগত তিন বছর ধরে ইমরান দক্ষিণ কাশ্মীরে সক্রিয় ছিল । একজন দক্ষ শুটার হওয়ার পাশাপাশি IED বোমা বাঁধত । ওই জঙ্গির এনকাউন্টার স্থান থেকে AK রাইফেল, একটি M -৪ কার্বাইন, একটি পিস্তলসহ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে ।
জঙ্গিদের মৃতদেহগুলি মেডিকেল ও আইনি পরীক্ষার পর বারমুল্লা এবং হানদ্বারায় শেষকৃত্য করা হবে । এই অনুষ্ঠানে থাকার জন্য তাদের পরিবারকে অনুমতি দেওয়া হবে । কোরোনা পরিস্থিতির সময় পুলিশ জঙ্গিদের মৃতদেহ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করতে অস্বীকার করলেও এখন তাদের দেহ সামাজিক দূরত্ব মেনে পরিবারকে দেওয়া হচ্ছে ।