কানপুর, 19 ডিসেম্বর : লড়াই থেমে গেল ৷ হাসপাতালে মারা গেলেন ফতেপুরের নির্যাতিতা ৷ গত 14 ডিসেম্বর ওই যুবতিকে ধর্ষণের পর পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করা হয় ৷ তাঁর শরীরের 90 শতাংশ পুড়ে যায় ৷ সেই অবস্থায় লালা লাজপত রাই হাসপাতালে ভরতি করা হয় ৷ আজ সকালে সেখানেই মারা যান তিনি ৷ হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, শরীরের একাধিক অঙ্গ কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছিল যুবতির ৷ সেকারণে মারা যান ৷
গত শনিবার বাড়িতে একাই ছিলেন ওই যুবতি ৷ সেই সুযোগে তাঁর কাকা ধর্ষণ করে ৷ বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে ধর্ষণের পর যুবতির গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয় অভিযুক্ত ৷ অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় বাড়ি থেকে রাস্তায় বেরিয়ে আসেন যুবতি ৷ স্থানীয়রা তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যায় ৷ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতার বাবা ৷ অভিযোগ পত্রে জানান, তাঁর এক ভাই এই কুকর্ম করেছে ৷ যদিও যুবতির ভাই দু'বার দুরকম বয়ান দেন ৷ প্রথমবার তিনি পুলিশকে জানান, ধর্ষিত হওয়ায় তাঁর বোন নিজে গায়ে আগুন দেয় ৷ পরে তিনিই আবার বয়ান বদলান ৷ ধর্ষণ ও পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ আনেন কাকার বিরুদ্ধে ৷ নির্যাতিতা পুলিশকে জানান, ধর্ষণের পর তাঁকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করে কাকা ৷
যদিও ফতেপুর জেলাশাসক সঞ্জীব সিং জানান, কাকার সঙ্গে বছর দুয়েক আগে থেকে সম্পর্ক ছিল নির্যাতিতার ৷ যা গ্রামের অনেকেই জানত ৷ দুর্ঘটনার দিন গ্রামে সভাও বসিয়েছিল মাতব্বররা ৷ সেদিন মাতব্বররা বলে, যুবতির বিয়ে না হওয়া পর্যন্ত তাঁর কাকাকে গ্রামের বাইরে থাকতে হবে ৷ তারপরই ধর্ষণ ও পুড়িয়ে মারার চেষ্টার ঘটনা ৷