ETV Bharat / bharat

দাম না পেয়ে কপি নষ্ট চাষির, খবর পেয়ে মন গলল মন্ত্রীর

author img

By

Published : Dec 17, 2020, 11:01 PM IST

একদিকে সারাদেশে কৃষকদের আন্দোলন চলছে। অন্যদিকে, বিহারের সমস্তিপুরের এক কৃষক তাঁর ফসলের উপর ক্ষোভ উগরে দিচ্ছিলেন । বিঘার পর বিঘা ফসলের উপর ট্রাক্টর চালিয়ে । কী এমন ঘটেছিল যে কৃষক তাঁর নিজের ফলানো ফসলের উপর ট্রাক্টর চালিয়ে দিলেন ?

Farmer drove tractor on cabbage
রবিশংকর প্রসাদের টুইট

পটনা, 17 ডিসেম্বর : কয়েক বিঘা জমিতে বাঁধাকপির চাষ । কপির বস্তা পিছু প্রায় হাজার চারেক টাকার খরচ । কিন্তু বেচতে গেলে কেজি পিছু এক টাকা । ভাবা যায় ! রাগে-দুঃখে নিজের হাতে তৈরি বিঘার পর বিঘা কপির উপর দিয়ে ট্রাক্টর চালিয়ে দেন বিহারের সমস্তিপুর জেলার মুক্তাপুরের কৃষক ওমপ্রকাশ যাদব । এছাড়া আর কী বা করতেন তিনি ।

ওমপ্রকাশ জানিয়েছেন, "প্রথমে তো কপি কাটানোর জন্য শ্রমিক । তারপর নিজের খরচেই বস্তায় ভরতে হয় । গোরুর গাড়ি বা অন্য কোনও গাড়িতে করে মান্ডিতে নিয়ে যেতে হয় । এবার মান্ডিতে নিয়ে যাওয়ার পর আর দোকানিরা কিনতে চায় না । কেজি পিছু এক টাকা দরেও বিক্রি হয় না । এই পরিস্থিতি । বাধ্য হয়েই কপি খেতের উপর ট্রাক্টর চালিয়ে দিয়েছি । এবার সেখানে গম চাষ করা হবে । এর আগে গমও অনেক নষ্ট হয়েছে । এইসবের পরেও সরকারের থেকে ক্ষতিপূরণ পেয়েছি মাত্রা 1 হাজার 90 টাকা ।"

Farmer drove tractor on cabbage
রবিশংকর প্রসাদের টুইট

খেতে কপির উপর দিয়ে ট্রাক্টর চালিয়ে দেওয়ার এই খবর গিয়ে পৌঁছায় রাজধানীতেও । বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদ কমন সারভিস সেন্টারকে নির্দেশ দেন ওই কৃষককে সাহায্য করার জন্য । এরপর কমন সারভিস সেন্টার ওই কৃষকের ফসল দশ গুণ দামে কেনে । ফসলের পুরো দাম পৌঁছে যায় কৃষকের অ্যাকাউন্টে ।

কেজি পিছু এক টাকাও দাম নেই ! রাগে কপির উপরই ট্রাক্টর চালালেন কৃষক

এর পর বিহারের অন্যান্য জেলা থেকেও একই ধরনের ছবি সামনে আসে । মুজফ্ফরপুরের সরফুদ্দিনপুরের দুই কৃষক কপির ন্যায্য মূল্য না পেয়ে হতাশায় 10 বিঘা খেতের উপর দিয়ে ট্রাক্টর চালিয়ে দেন ।

বলে রাখা প্রয়োজন, কমন সার্ভিস সেন্টারের ই-মার্ট প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষকরা তাঁদের ফলানো ফসল নিজেদের গ্রাম থেকে দেশে ও বিদেশে বিক্রি করার সুযোগ পান । পাশাপাশি, এটি কৃষকদের ফসলের ন্যায্য মূল্যও দেবে । কোনও মধ্যসত্ত্বভোগীরও ঝামেলা নেই এখানে । প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও কৃষকদের বোঝাতে চাইছেন, যে নতুন আইনে কৃষকরা কোনও মধ্যসত্ত্বভোগীদের ঝামেলা ছাড়াই ফসল বিক্রি করতে পারবেন ।

ই-মার্ট কীভাবে কাজ করে ?

কৃষকরা কতটা ফসল বিক্রি করবেন, তার তথ্য কমন সার্ভিস সেন্টারে চলে আসে এবং তা নথিভুক্ত হয়ে যায় । এখানে কৃষকরা ও ক্রেতারা ই-মার্ট পোর্টালের মাধ্যমে যুক্ত হন এবং দাম অনলাইনে নিলামে ওঠে । কৃষকরা দামের সঙ্গে সহমত হলে কৃষকদের অ্যাকাউন্টে আগাম টাকা চলে যায় । এরপর ক্রেতা বা তাঁর প্রতিনিধি খেতে গিয়ে ফসল দেখে ওজন করে নিয়ে আসেন ।

কিষাণ ই-মার্টে কৃষক ভালো লাভের মুখও দেখতে পান । ফসল কেনার পর টাকা কৃষকের অ্যাকাউন্টে চলে যায় । কৃষকরা যাতে মধ্যসত্বাভোগীদের কারণে বঞ্চনার শিকার না হন, সেই কারণে এই এই প্রকল্পটি নিয়ে এসেছে । যে কোনও কমন সার্ভিস সেন্টারে কৃষকরা নিজেদের নাম নথিভুক্ত করতে পারেন এই সুবিধা পাওয়ার জন্য ।

কীভাবে নাম নথিভুক্ত করা হবে ?

যে কোনও নিকটবর্তী কমন সার্ভিস সেন্টারে গিয়ে কৃষকরা নিজেদের নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন । নাম নথিভুক্ত করার জন্য কেন্দ্র থেকে মাত্র 40 টাকা ধার্য করা হয়েছে । নাম নথিভুক্ত করার সময় কৃষককে তাঁর আধার কার্ড, পরিচয়পত্র, প্যান কার্ড, নাম, ঠিকান ও ব্যাঙ্কের তথ্য জমা করতে হবে ।

পটনা, 17 ডিসেম্বর : কয়েক বিঘা জমিতে বাঁধাকপির চাষ । কপির বস্তা পিছু প্রায় হাজার চারেক টাকার খরচ । কিন্তু বেচতে গেলে কেজি পিছু এক টাকা । ভাবা যায় ! রাগে-দুঃখে নিজের হাতে তৈরি বিঘার পর বিঘা কপির উপর দিয়ে ট্রাক্টর চালিয়ে দেন বিহারের সমস্তিপুর জেলার মুক্তাপুরের কৃষক ওমপ্রকাশ যাদব । এছাড়া আর কী বা করতেন তিনি ।

ওমপ্রকাশ জানিয়েছেন, "প্রথমে তো কপি কাটানোর জন্য শ্রমিক । তারপর নিজের খরচেই বস্তায় ভরতে হয় । গোরুর গাড়ি বা অন্য কোনও গাড়িতে করে মান্ডিতে নিয়ে যেতে হয় । এবার মান্ডিতে নিয়ে যাওয়ার পর আর দোকানিরা কিনতে চায় না । কেজি পিছু এক টাকা দরেও বিক্রি হয় না । এই পরিস্থিতি । বাধ্য হয়েই কপি খেতের উপর ট্রাক্টর চালিয়ে দিয়েছি । এবার সেখানে গম চাষ করা হবে । এর আগে গমও অনেক নষ্ট হয়েছে । এইসবের পরেও সরকারের থেকে ক্ষতিপূরণ পেয়েছি মাত্রা 1 হাজার 90 টাকা ।"

Farmer drove tractor on cabbage
রবিশংকর প্রসাদের টুইট

খেতে কপির উপর দিয়ে ট্রাক্টর চালিয়ে দেওয়ার এই খবর গিয়ে পৌঁছায় রাজধানীতেও । বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদ কমন সারভিস সেন্টারকে নির্দেশ দেন ওই কৃষককে সাহায্য করার জন্য । এরপর কমন সারভিস সেন্টার ওই কৃষকের ফসল দশ গুণ দামে কেনে । ফসলের পুরো দাম পৌঁছে যায় কৃষকের অ্যাকাউন্টে ।

কেজি পিছু এক টাকাও দাম নেই ! রাগে কপির উপরই ট্রাক্টর চালালেন কৃষক

এর পর বিহারের অন্যান্য জেলা থেকেও একই ধরনের ছবি সামনে আসে । মুজফ্ফরপুরের সরফুদ্দিনপুরের দুই কৃষক কপির ন্যায্য মূল্য না পেয়ে হতাশায় 10 বিঘা খেতের উপর দিয়ে ট্রাক্টর চালিয়ে দেন ।

বলে রাখা প্রয়োজন, কমন সার্ভিস সেন্টারের ই-মার্ট প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষকরা তাঁদের ফলানো ফসল নিজেদের গ্রাম থেকে দেশে ও বিদেশে বিক্রি করার সুযোগ পান । পাশাপাশি, এটি কৃষকদের ফসলের ন্যায্য মূল্যও দেবে । কোনও মধ্যসত্ত্বভোগীরও ঝামেলা নেই এখানে । প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও কৃষকদের বোঝাতে চাইছেন, যে নতুন আইনে কৃষকরা কোনও মধ্যসত্ত্বভোগীদের ঝামেলা ছাড়াই ফসল বিক্রি করতে পারবেন ।

ই-মার্ট কীভাবে কাজ করে ?

কৃষকরা কতটা ফসল বিক্রি করবেন, তার তথ্য কমন সার্ভিস সেন্টারে চলে আসে এবং তা নথিভুক্ত হয়ে যায় । এখানে কৃষকরা ও ক্রেতারা ই-মার্ট পোর্টালের মাধ্যমে যুক্ত হন এবং দাম অনলাইনে নিলামে ওঠে । কৃষকরা দামের সঙ্গে সহমত হলে কৃষকদের অ্যাকাউন্টে আগাম টাকা চলে যায় । এরপর ক্রেতা বা তাঁর প্রতিনিধি খেতে গিয়ে ফসল দেখে ওজন করে নিয়ে আসেন ।

কিষাণ ই-মার্টে কৃষক ভালো লাভের মুখও দেখতে পান । ফসল কেনার পর টাকা কৃষকের অ্যাকাউন্টে চলে যায় । কৃষকরা যাতে মধ্যসত্বাভোগীদের কারণে বঞ্চনার শিকার না হন, সেই কারণে এই এই প্রকল্পটি নিয়ে এসেছে । যে কোনও কমন সার্ভিস সেন্টারে কৃষকরা নিজেদের নাম নথিভুক্ত করতে পারেন এই সুবিধা পাওয়ার জন্য ।

কীভাবে নাম নথিভুক্ত করা হবে ?

যে কোনও নিকটবর্তী কমন সার্ভিস সেন্টারে গিয়ে কৃষকরা নিজেদের নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন । নাম নথিভুক্ত করার জন্য কেন্দ্র থেকে মাত্র 40 টাকা ধার্য করা হয়েছে । নাম নথিভুক্ত করার সময় কৃষককে তাঁর আধার কার্ড, পরিচয়পত্র, প্যান কার্ড, নাম, ঠিকান ও ব্যাঙ্কের তথ্য জমা করতে হবে ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.