ETV Bharat / bharat

100 বছর পর আজও ম্যারির ফাঁসির অপরাধে দোষী এই শহর

এলড্রিজের মৃত্যু মেনে নিতে পারেননি কিংস্পোর্টের বাসিন্দারা ৷ সকলের দাবি, ম্যারিকে উচিৎ শাস্তি দিতে হবে ৷ ফাঁসি কাঠে ঝোলাতে হবে ম্যারিকে ৷ এই দাবিতেই সরব হন বাসিন্দারা ৷

elephant
মারডেরেয়াস ম্যারি
author img

By

Published : Oct 21, 2020, 9:07 AM IST

Updated : Oct 21, 2020, 9:28 AM IST

1916 সালের 11 সেপ্টেম্বর ৷ কিংস্পোর্টের বাসিন্দাদের বেশিরভাগই প্রায় তাঁবুতে সার্কাস দেখতে ব্যস্ত ৷ শয়ে শয়ে মানুষের সমাগম হয়েছিল সেখানে ৷ সকলেই মন দিয়ে দেখছিলেন ৷ হঠাৎই একটি ঘটনায় চক্ষুস্থির হয়ে যায় সকলের ৷ সকলের সামনেই বছর 38এর ওয়াল্টার এলড্রিজ নামে এক যুবককে মাথায় আঘাত করে মারডেরেয়াস ম্যারি ৷ মাথায় গুরুতর চোট পাওয়ায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে তরতাজা শরীরের এলড্রিজ ৷ মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যেই মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ে এলড্রিজ ৷ তাঁবুর ভেতর তখন আতঙ্কে ছোটাছুটি শুরু করে দিয়েছেন সকলে ৷ কোনওরকমে প্রাণ বাঁচানোর চেষ্টা করছেন তাঁরা ৷ তাঁবুর এককোণে তখন চুপচাপ দাঁড়িয়ে ম্যারি ৷

এলড্রিজের মৃত্যু মেনে নিতে পারেননি কিংস্পোর্টের বাসিন্দারা ৷ সকলের দাবি, ম্যারিকে উচিৎ শাস্তি দিতে হবে ৷ ফাঁসি কাঠে ঝোলাতে হবে ৷ এই দাবিতেই সরব হন বাসিন্দারা ৷ চার্লি অবশ্য সকলকে বোঝানোর চেষ্টা করেন ৷ দোষ ম্যারির নয়, এলড্রিজের ৷ কিন্তু কেউ তাঁর কথা শোনেননি ৷ ম্যারির শাস্তির দাবিতে অনড় থাকেন তাঁরা ৷ ঘটনার মাত্র দুদিনের মধ্যে ম্যারির ফাঁসির দিন ধার্য করা হয় ৷ 1916 সালের 13 সেপ্টেম্বর জনসমক্ষে ফাঁসি দেওয়া হয় ম্যারিকে ৷ ফাঁসি কাঠ নয়, ম্যারিকে ফাঁসি দেওয়া হয় ক্রেনের মাধ্যমে ৷ দড়ির বদলে ব্যবহার করা হয় শেকল ৷ প্রায় 5 টনের ওজন ধরে রাখতে পারবে ঠিক সেরকমই ক্রেনের ব্যবস্থা করা হয় ৷ ভাবছেন একটা মানুষের ফাঁসির জন্য কেন ক্রেন, শেকলের ব্যবস্থা করা হল ? আসলে ম্যারি কোনও মানুষ নয়, হাতি ৷

সার্কাসে খেলা দেখানোর জন্য 19 শতকে বেশ বিখ্যাত হয়ে উঠেছিল মারডেরেয়াস ম্যারি ৷ আর ম্যারির গল্প বলতে যার কথা সবার আগে বলতে হয় তিনি হলেন চার্লি স্পাইকস ৷ মাত্র 8 বছর বয়স থেকে সার্কাসে খেলা দেখাতে শুরু করেন তিনি ৷ যখন অল্প অল্প করে তাঁর সার্কাস বিখ্যাত হতে থাকে, তখনই তিনি চার বছর বয়সী ছোট্ট ম্যারিকে কিনে আনেন ৷ অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই চার্লির সঙ্গে বেশ বন্ধুত্ব হয়ে যায় ম্যারির ৷ নিজের সন্তানের মতোই ম্যারিকে ভালোবাসতেন তিনি ৷ এরপরই চার্লি একটা আলাদা সার্কাস গ্রুপ তৈরি করেন ৷ ম্যারি ছিল অত্যন্ত বুদ্ধিমতি ৷ অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই দর্শনার্থীদেরও প্রিয় হয়ে ওঠে ম্যারি ৷ এরপরেই একদিন কিংস্পোর্ট শহরে সার্কাস দেখানোর ডাক পান চার্লি ৷ কথা মতোই সেই শহরে পা রাখেন চার্লি ও ম্যারি ৷ শহরে পা রাখতেই চার্লির সঙ্গে দেখা করেন ওয়ালটার এলড্রিজ ৷ চার্লির কাছে এক অদ্ভুত অনুরোধ করে বসে এলড্রিজ ৷ ম্যারির মাহুত হিসেবে কাজ করতে চায় সে ৷ নাছোড়বান্দা এলড্রিজের আবদার শেষ পর্যন্ত ফেরাতে পারেননি চার্লি ৷ ম্যারির মাহুত হিসেবে তাঁকে নিযুক্ত করেন ৷ কিন্তু, এলড্রিজকে মাহুত হিসেবে মেনে নিতে পারেনি ম্যারি ৷

1916 সালের 11ই সেপ্টেম্বর সার্কাস দেখানো শুরু করে চার্লি ৷ শুরু হয় প্যারেড ৷ সব কিছুই ঠিকঠাক চলছিল ৷ তাঁবুর লোকজন মন দিয়ে সার্কাসও দেখছিলেন ৷ কিন্তু, ম্যারি কিছুতেই তার নতুন মাহুতকে মেনে নিতে পারেনি ৷ বেঁকে বসে সে ৷ প্যারেডের মাঝে হঠাৎই দাঁড়িয়ে পড়ে ৷ এলড্রিজ শত চেষ্টা করেও ম্যারিকে নড়াতে পারেনি ৷ বিরক্ত হয়ে সে ম্যারিকে বার বার রড দিয়ে খোঁচা দিতে থাকে ৷ মাথা ঠান্ডা রাখতে পারেনি ম্যারি ৷ এলড্রিজকে শুঁড়ে পেঁচিয়ে মাটিতে আছড়ে মারে ৷ পা দিয়ে পিষে দেয় এলড্রিজের মাথা ৷ ঘটনাস্থানেই মৃত্যু হয় তাঁর ৷ চোখের সামনে এমন ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন সকলে ৷ প্রাণ ভয়ে ছুঁটে বেরিয়ে যান ৷ এই খবর ছড়াতে অবশ্য বেশি দেরি হয়নি ৷ বিভিন্ন সংবাদপত্রেও লেখালেখি শুরু হয়ে যায় ৷ দাবি ওঠে ম্যারির শাস্তির ৷ ফাঁসির দাবিতে সরব হন বাসিন্দারা ৷ ম্যারি নির্দোষ এই কথা সকলকে বোঝানোর চেষ্টা করে চার্লি ৷ কিন্তু কেউ তার কথায় কর্ণপাত পর্যন্ত করেননি ৷ অবশেষে 13 সেপ্টেম্বর ম্যারির ফাঁসির দিন ধার্য করা হয় ৷ নিয়ে আসা হয় ক্রেন ৷ 5 টনের ম্যারির জন্য আনা হয় ক্রেন ৷ ক্রেনের শেকল শক্ত করে পেঁচানো হয় ম্যারির গলায় ৷ একটানে ম্যারিকে মাটি থেকে প্রায় 20 ফুট উঁচুতে ঝুলিয়ে দেওয়া হয় ৷ কিন্তু, প্রথম বারেই ঘটে বিপত্তি ৷ শেকল ছিঁড়ে মাটিতে পড়ে যায় ম্যারির ৷ গুরুতর আহত হয় ৷ ভেঙে যায় মেরুদণ্ড, পাঁজর, ছিঁড়ে যায় গলার কাছের চামড়া ৷ কিন্তু, তাতেও যেন রাগ কমে না মানুষের ৷ দ্বিতীয়বার আরও শক্ত করে ম্যারির গলায় শেকল বাঁধা হয় ৷ আবারও ঝোলানো হয় তাকে ৷ ম্যারির আর্তনাদে কেঁপে ওঠে পুরো শহর ৷ কিছুক্ষণের মধ্যেই মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ে সে ৷

এই ঘটনার প্রায় 100 বছর পেরিয়ে গিয়েছে ৷ ম্যারির ফাঁসির অপরাধ যেন ভুলতে পারে না এই শহর ৷ পূর্ব পুরুষের ভুলের প্রায়শ্চিত্ত আজও করে চলেছেন এই শহরের বাসিন্দারা ৷ ম্যারিকে স্মরণ করে গড়ে তোলা হয়েছে বিশেষ তহবিল ৷ হাতির দেখভালের ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করা হয়েছে ৷ কিন্তু, 100 বছরের স্মৃতি যেন আজও দগদগে ৷ ম্যারির ঘটনা এখনও ভুলতে পারেননি বিশ্বের মানুষ ৷ পশুপ্রেমীদের চোখে আজও দোষী এই শহরের বাসিন্দারা ৷

1916 সালের 11 সেপ্টেম্বর ৷ কিংস্পোর্টের বাসিন্দাদের বেশিরভাগই প্রায় তাঁবুতে সার্কাস দেখতে ব্যস্ত ৷ শয়ে শয়ে মানুষের সমাগম হয়েছিল সেখানে ৷ সকলেই মন দিয়ে দেখছিলেন ৷ হঠাৎই একটি ঘটনায় চক্ষুস্থির হয়ে যায় সকলের ৷ সকলের সামনেই বছর 38এর ওয়াল্টার এলড্রিজ নামে এক যুবককে মাথায় আঘাত করে মারডেরেয়াস ম্যারি ৷ মাথায় গুরুতর চোট পাওয়ায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে তরতাজা শরীরের এলড্রিজ ৷ মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যেই মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ে এলড্রিজ ৷ তাঁবুর ভেতর তখন আতঙ্কে ছোটাছুটি শুরু করে দিয়েছেন সকলে ৷ কোনওরকমে প্রাণ বাঁচানোর চেষ্টা করছেন তাঁরা ৷ তাঁবুর এককোণে তখন চুপচাপ দাঁড়িয়ে ম্যারি ৷

এলড্রিজের মৃত্যু মেনে নিতে পারেননি কিংস্পোর্টের বাসিন্দারা ৷ সকলের দাবি, ম্যারিকে উচিৎ শাস্তি দিতে হবে ৷ ফাঁসি কাঠে ঝোলাতে হবে ৷ এই দাবিতেই সরব হন বাসিন্দারা ৷ চার্লি অবশ্য সকলকে বোঝানোর চেষ্টা করেন ৷ দোষ ম্যারির নয়, এলড্রিজের ৷ কিন্তু কেউ তাঁর কথা শোনেননি ৷ ম্যারির শাস্তির দাবিতে অনড় থাকেন তাঁরা ৷ ঘটনার মাত্র দুদিনের মধ্যে ম্যারির ফাঁসির দিন ধার্য করা হয় ৷ 1916 সালের 13 সেপ্টেম্বর জনসমক্ষে ফাঁসি দেওয়া হয় ম্যারিকে ৷ ফাঁসি কাঠ নয়, ম্যারিকে ফাঁসি দেওয়া হয় ক্রেনের মাধ্যমে ৷ দড়ির বদলে ব্যবহার করা হয় শেকল ৷ প্রায় 5 টনের ওজন ধরে রাখতে পারবে ঠিক সেরকমই ক্রেনের ব্যবস্থা করা হয় ৷ ভাবছেন একটা মানুষের ফাঁসির জন্য কেন ক্রেন, শেকলের ব্যবস্থা করা হল ? আসলে ম্যারি কোনও মানুষ নয়, হাতি ৷

সার্কাসে খেলা দেখানোর জন্য 19 শতকে বেশ বিখ্যাত হয়ে উঠেছিল মারডেরেয়াস ম্যারি ৷ আর ম্যারির গল্প বলতে যার কথা সবার আগে বলতে হয় তিনি হলেন চার্লি স্পাইকস ৷ মাত্র 8 বছর বয়স থেকে সার্কাসে খেলা দেখাতে শুরু করেন তিনি ৷ যখন অল্প অল্প করে তাঁর সার্কাস বিখ্যাত হতে থাকে, তখনই তিনি চার বছর বয়সী ছোট্ট ম্যারিকে কিনে আনেন ৷ অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই চার্লির সঙ্গে বেশ বন্ধুত্ব হয়ে যায় ম্যারির ৷ নিজের সন্তানের মতোই ম্যারিকে ভালোবাসতেন তিনি ৷ এরপরই চার্লি একটা আলাদা সার্কাস গ্রুপ তৈরি করেন ৷ ম্যারি ছিল অত্যন্ত বুদ্ধিমতি ৷ অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই দর্শনার্থীদেরও প্রিয় হয়ে ওঠে ম্যারি ৷ এরপরেই একদিন কিংস্পোর্ট শহরে সার্কাস দেখানোর ডাক পান চার্লি ৷ কথা মতোই সেই শহরে পা রাখেন চার্লি ও ম্যারি ৷ শহরে পা রাখতেই চার্লির সঙ্গে দেখা করেন ওয়ালটার এলড্রিজ ৷ চার্লির কাছে এক অদ্ভুত অনুরোধ করে বসে এলড্রিজ ৷ ম্যারির মাহুত হিসেবে কাজ করতে চায় সে ৷ নাছোড়বান্দা এলড্রিজের আবদার শেষ পর্যন্ত ফেরাতে পারেননি চার্লি ৷ ম্যারির মাহুত হিসেবে তাঁকে নিযুক্ত করেন ৷ কিন্তু, এলড্রিজকে মাহুত হিসেবে মেনে নিতে পারেনি ম্যারি ৷

1916 সালের 11ই সেপ্টেম্বর সার্কাস দেখানো শুরু করে চার্লি ৷ শুরু হয় প্যারেড ৷ সব কিছুই ঠিকঠাক চলছিল ৷ তাঁবুর লোকজন মন দিয়ে সার্কাসও দেখছিলেন ৷ কিন্তু, ম্যারি কিছুতেই তার নতুন মাহুতকে মেনে নিতে পারেনি ৷ বেঁকে বসে সে ৷ প্যারেডের মাঝে হঠাৎই দাঁড়িয়ে পড়ে ৷ এলড্রিজ শত চেষ্টা করেও ম্যারিকে নড়াতে পারেনি ৷ বিরক্ত হয়ে সে ম্যারিকে বার বার রড দিয়ে খোঁচা দিতে থাকে ৷ মাথা ঠান্ডা রাখতে পারেনি ম্যারি ৷ এলড্রিজকে শুঁড়ে পেঁচিয়ে মাটিতে আছড়ে মারে ৷ পা দিয়ে পিষে দেয় এলড্রিজের মাথা ৷ ঘটনাস্থানেই মৃত্যু হয় তাঁর ৷ চোখের সামনে এমন ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন সকলে ৷ প্রাণ ভয়ে ছুঁটে বেরিয়ে যান ৷ এই খবর ছড়াতে অবশ্য বেশি দেরি হয়নি ৷ বিভিন্ন সংবাদপত্রেও লেখালেখি শুরু হয়ে যায় ৷ দাবি ওঠে ম্যারির শাস্তির ৷ ফাঁসির দাবিতে সরব হন বাসিন্দারা ৷ ম্যারি নির্দোষ এই কথা সকলকে বোঝানোর চেষ্টা করে চার্লি ৷ কিন্তু কেউ তার কথায় কর্ণপাত পর্যন্ত করেননি ৷ অবশেষে 13 সেপ্টেম্বর ম্যারির ফাঁসির দিন ধার্য করা হয় ৷ নিয়ে আসা হয় ক্রেন ৷ 5 টনের ম্যারির জন্য আনা হয় ক্রেন ৷ ক্রেনের শেকল শক্ত করে পেঁচানো হয় ম্যারির গলায় ৷ একটানে ম্যারিকে মাটি থেকে প্রায় 20 ফুট উঁচুতে ঝুলিয়ে দেওয়া হয় ৷ কিন্তু, প্রথম বারেই ঘটে বিপত্তি ৷ শেকল ছিঁড়ে মাটিতে পড়ে যায় ম্যারির ৷ গুরুতর আহত হয় ৷ ভেঙে যায় মেরুদণ্ড, পাঁজর, ছিঁড়ে যায় গলার কাছের চামড়া ৷ কিন্তু, তাতেও যেন রাগ কমে না মানুষের ৷ দ্বিতীয়বার আরও শক্ত করে ম্যারির গলায় শেকল বাঁধা হয় ৷ আবারও ঝোলানো হয় তাকে ৷ ম্যারির আর্তনাদে কেঁপে ওঠে পুরো শহর ৷ কিছুক্ষণের মধ্যেই মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ে সে ৷

এই ঘটনার প্রায় 100 বছর পেরিয়ে গিয়েছে ৷ ম্যারির ফাঁসির অপরাধ যেন ভুলতে পারে না এই শহর ৷ পূর্ব পুরুষের ভুলের প্রায়শ্চিত্ত আজও করে চলেছেন এই শহরের বাসিন্দারা ৷ ম্যারিকে স্মরণ করে গড়ে তোলা হয়েছে বিশেষ তহবিল ৷ হাতির দেখভালের ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করা হয়েছে ৷ কিন্তু, 100 বছরের স্মৃতি যেন আজও দগদগে ৷ ম্যারির ঘটনা এখনও ভুলতে পারেননি বিশ্বের মানুষ ৷ পশুপ্রেমীদের চোখে আজও দোষী এই শহরের বাসিন্দারা ৷

Last Updated : Oct 21, 2020, 9:28 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.