দিল্লি, ১৫ মে: রাহুল গান্ধি যদি প্রধানমন্ত্রী হন, তাতে তৃণমূল সুপ্রিমোর কোনও অসুবিধা হবে না । কিন্তু কোনওভাবেই কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদিকে আরও একবার প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসতে দিতে নারাজ মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় । দাবি তৃণমূল সূত্রের । এদিকে, DMK নেতা এম কে স্ট্যালিন গতকাল আরও একবার দাবি করেন, রাহুলই হবেন দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী । সূত্রের দাবি, পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী রাহুল গান্ধি- স্ট্যালিনের এই মন্তব্যে কোনও অসুবিধা নেই । প্রধানমন্ত্রী যেই হোক না কেন, সকলেই চাইছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি যেন না হন !

সম্প্রতি, তেলাঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও দক্ষিণের সবকটি আঞ্চলিক দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন । তৃণমূল সূত্রের দাবি, সব আঞ্চলিক দলগুলো একজোট হয়ে মোদিকে দিল্লি থেকে হটানোর চেষ্টা করছে । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন । গত বছরই চন্দ্রশেখর মমতার সঙ্গে অ-BJP দলগুলোর জোট নিয়ে একপ্রস্থ বৈঠক করেন । বৈঠক শেষে তিনি জানান, আলোচনার স্বার্থে ও মোদিকে হটাতে আবারও রাজ্যে আসতে পারেন ।
প্রধানমন্ত্রী কে হবেন ? এই বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি বিরোধী দলগুলো । মোদিকে হটাতে তৎপর আঞ্চলিক অ-BJP দলগুলো নিজেদের মধ্যে ঐক্য বজায় রাখার চেষ্টা করছে । কিন্তু বেশ কিছু দলের সুপ্রিমোর প্রধানমন্ত্রী হওয়ার উচ্চাকাঙ্ক্ষা রয়েছে । যার মধ্যে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা এবং বসপা নেত্রী মায়াবতী দিল্লির মসনদ দখল করতে আগ্রহী । সেক্ষেত্রে রাহুল প্রধানমন্ত্রী হলে মায়া-মমতা কতটা বিরোধী জোট বজায় রাখতে তৎপরতা দেখাবেন তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে ।
মমতা আগামী 21 মে রাহুল গান্ধির ডাকা বিরোধী দলগুলোর বৈঠকে অনুপস্থিত থাকতে পারেন বলে সূত্রের খবর । কারণ, রাজ্যে কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেসের যে সম্পর্ক তাতে দুই দলের মধ্যে সমঝোতার কোনও সম্ভাবনা নেই । তবে প্রধানমন্ত্রী যেই হোক না কেন, মোদিকে দিল্লি দখল করতে দিতে চায় না সবকটি অ-BJP শক্তি ।