ভোপাল, 15 মে : মধ্যযুগীয় বর্বরতা বোধহয় একেই বলে ! স্ত্রীকে মারতে মারতে তালজ্ঞান হারিয়ে গিয়েছিল । বাইকের ছ'য় ইঞ্চি দীর্ঘ প্লাস্টিকের হ্যান্ডেলটা সরাসরি ঢুকিয়ে দিয়েছিল যৌনাঙ্গে । অর্থের অভাব ও পারিবারিক লজ্জায় দীর্ঘ 2 বছর ধরে বিষয়টি কাউকে বলতে পারেননি ওই মহিলা । অবশেষে পুলিশের সহযোগিতায় সরকারি হাসপাতালে তাঁর সফল অস্ত্রোপচার করলেন চিকিৎসকরা । জরায়ু থেকে বের করে আনা হল বাইকের হ্যান্ডেলের টুকরোটি । স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ।
ভোপাল থেকে 251 কিলোমিটার দূরে ধার জেলা । 15 বছরের বিবাহিত জীবন এক আদিবাসী দম্পতি । তাঁদের ছ'টি সন্তান রয়েছে । বছর দু'য়েক আগে একদিন পারিবারিক অশান্তির জেরে মহিলাকে মারধর করে স্বামী । তখন রাগের বশে বাইকের ছ'ইঞ্চি লম্বা প্লাস্টিকের হ্যান্ডেল ঢুকিয়ে দেয় স্ত্রীর জরায়ুতে । দু'মাস পর শুরু হয় অসহ্য যন্ত্রণা । বাধ্য হয়ে বেসরকারি হাসপাতালে যান চিকিৎসার জন্য । চিকিৎসকরা তৎক্ষণাৎ অস্ত্রোপচারের নির্দেশ দেন । কিন্তু, তার জন্য লাগবে 1 লাখ টাকা । যেখানে বাড়িতে নুন আনতে পান্তা ফুরোয়, সেখানে 1 লাখ টাকা তো স্বপ্ন ! ফলে অস্ত্রোপচার করাতে পারেননি তিনি।
একদিকে পারিবারিক লজ্জা, অন্যদিকে সন্তানদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে প্রায় দু'বছর এই অসহ্য যন্ত্রণা সহ্য করেছিলেন ওই আদিবাসী মহিলা । কিন্তু, আর সহ্য করতে পারেননি । রবিবার (12 মে), শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তিনি কোনওরকমে স্থানীয় চন্দননগর থানায় পৌঁছান । পুলিশকে গোটা বিষয়টি খুলে বলেন । তৎক্ষণাৎ এম ওয়াই গভর্নমেন্ট হসপিটালে ভরতি করা হয় তাঁকে ।
হাসপাতালের শল্য বিভাগের প্রধান ডাঃ আর কে মাথুর বলেন, "প্লাস্টিকে টুকরোটি মহিলার জরায়ু, ক্ষুদ্রান্ত্র ও বৃহদন্ত্রের যথেষ্ট ক্ষতি করেছে । চার ঘণ্টার অস্ত্রোপচার শেষে প্লাস্টিকের টুকরোটি বের করা গিয়েছে । তবে বর্তমানে তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল ।"