ETV Bharat / bharat

"আমি ওই মুখটা কোনওদিনও ভুলতে পারিনি", দেবিকার পোস্টে 26/11-র দগদগে স্মৃতি - 26/11 মুম্বই হামলা

দেবিকা লিখেছে, "আমি খুব রেগে গিয়েছিলাম ৷ স্টেশনে নারী ও শিশুদের সেই মৃত্যুর স্মৃতি এখনও স্পষ্ট মনে পড়ে ৷ আরও স্পষ্ট ভাবে মনে পড়ে ওই (আজমলের) মুখটা ৷ আমি ওই মুখটা কোনওদিনও ভুলতে পারিনি ৷"

26/11
দেবিকা রোতায়ান
author img

By

Published : Nov 26, 2019, 11:52 PM IST

মুম্বই, 26 নভেম্বর : এখনও টাটকা 26/11-র ভয়াবহ অভিজ্ঞতা ৷ চোখ বুজলে এখনও তাঁর সামনে ভাসে সেই রাতের স্মৃতি ৷ সেই রাতে পায়ে গুলি খেয়েছিল 10 বছরের মেয়েটা ৷ আজ এগারোটা বছর পেরিয়ে এসেও সেই দিনটিকে ভুলতে পারেননি দেবিকা রোতায়ান ৷ নিজের জীবনের সেই ভয়ংকর অভিজ্ঞতার কথা আজ সোশাল মিডিয়ায় তুলে ধরলেন দেবিকা ৷

ছত্রপতি শিবাজি টার্মিনাল রেল স্টেশনে সেদিন আজমল কাসভের বন্দুক থেকে বের হওয়া গুলিটা জখম করেছিল দেবিকাকে ৷ কিন্তু তার মধ্যেই বন্দুকধারীকে দেখে নিয়েছিল দেবিকা ৷ আজমল কাসব মামলায় সর্বকনিষ্ঠ সাক্ষী ছিল সে ৷ মামলা চলাকালীন আদালতে দাঁড়িয়ে আজমলকে শনাক্ত করেছিলেন দেবিকা ৷

নিজের সেই স্মৃতি আজ সোশাল মিডিয়ায় তুলে ধরলেন দেবিকা ৷

সে লিখেছে, "তখন আমার বয়স ছিল দশ ৷ আমি লোকটাকে স্পষ্ট দেখেছিলাম ৷ আমার দিকে তাক করে গুলি চালিয়েছিল লোকটা ৷ গুলিটা আমার পায়ে লেগেছিল ৷ এরপর আর কিছু মনে নেই ৷ জ্ঞান ফেরার পর হাসপাতালে চিকিৎসক আমাদের জানিয়েছিলেন ঠিক কী কী হয়েছিল 26/11 তে ৷ আমি খুব রেগে গিয়েছিলাম ৷ স্টেশনে নারী ও শিশুদের সেই মৃত্যুর স্মৃতি এখনও স্পষ্ট মনে পড়ে ৷ আরও স্পষ্ট ভাবে মনে পড়ে ওই (আজমলের) মুখটা ৷ আমি ওই মুখটা কোনওদিনও ভুলতে পারিনি ৷"

দেবিকা তার পোস্টে আরও জানিয়েছে, পুলিশ যখন সাক্ষী হিসেবে তাকে আদালতে পেশ করতে চাইল, বাবা-মা ভীষণ ভয় পেয়েছিলেন ৷ কিন্তু তিনি তখন নিজেই সাহসী পদক্ষেপ নেয় ৷ সে লিখেছে, "আমি ভয় পাইনি ৷ আমি চেয়েছিলেন ওর শাস্তি হোক ৷ আদালতে আমার সামনে চারজনকে আনা হয়েছিল ৷ আমি সঙ্গে সঙ্গে আজমল কাসবকে চিনে নিয়েছিলাম ৷ "

আদালতে সাক্ষ্য দেওয়ার পরে আতঙ্কে তাঁর বাবাকে ফলের দোকানও বন্ধ করে দিতে হয়েছিল ৷ পরিবারের সঙ্গেও সকলে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছিল ৷ পোস্টে দেবিকা বলেছেন, "রাজ্য সরকারের প্রতিশ্রুতি মতো ফ্ল্যাট আজও মেলেনি ৷ কিন্তু আমরা হাল ছাড়িনি ৷ আমরা যা করেছি দেশের জন্য করেছি ৷"

সোশাল মিডিয়ায় দেবিকার ওই পোস্টটি ঝড়ের গতিতে ছড়িয়ে পড়ে নেট দুনিয়ায় ৷ 700-রও বেশি শেয়ার হয়েছে পোস্টটি ৷ সাড়ে তিনশোরও বেশি কমেন্ট হয়েছে ৷ 11 বছর আগে আজকের দিনেই সেই জঙ্গি হামলায় 166 জন নিহত হয়েছিলেন ৷ জখম হয়েছিলেন প্রায় তিনশো ৷ 2012-র 21 নভেম্বর পুণের ইয়েরওয়াড়া জেলে ফাঁসি হয় আজমল কাসভের ৷

মুম্বই, 26 নভেম্বর : এখনও টাটকা 26/11-র ভয়াবহ অভিজ্ঞতা ৷ চোখ বুজলে এখনও তাঁর সামনে ভাসে সেই রাতের স্মৃতি ৷ সেই রাতে পায়ে গুলি খেয়েছিল 10 বছরের মেয়েটা ৷ আজ এগারোটা বছর পেরিয়ে এসেও সেই দিনটিকে ভুলতে পারেননি দেবিকা রোতায়ান ৷ নিজের জীবনের সেই ভয়ংকর অভিজ্ঞতার কথা আজ সোশাল মিডিয়ায় তুলে ধরলেন দেবিকা ৷

ছত্রপতি শিবাজি টার্মিনাল রেল স্টেশনে সেদিন আজমল কাসভের বন্দুক থেকে বের হওয়া গুলিটা জখম করেছিল দেবিকাকে ৷ কিন্তু তার মধ্যেই বন্দুকধারীকে দেখে নিয়েছিল দেবিকা ৷ আজমল কাসব মামলায় সর্বকনিষ্ঠ সাক্ষী ছিল সে ৷ মামলা চলাকালীন আদালতে দাঁড়িয়ে আজমলকে শনাক্ত করেছিলেন দেবিকা ৷

নিজের সেই স্মৃতি আজ সোশাল মিডিয়ায় তুলে ধরলেন দেবিকা ৷

সে লিখেছে, "তখন আমার বয়স ছিল দশ ৷ আমি লোকটাকে স্পষ্ট দেখেছিলাম ৷ আমার দিকে তাক করে গুলি চালিয়েছিল লোকটা ৷ গুলিটা আমার পায়ে লেগেছিল ৷ এরপর আর কিছু মনে নেই ৷ জ্ঞান ফেরার পর হাসপাতালে চিকিৎসক আমাদের জানিয়েছিলেন ঠিক কী কী হয়েছিল 26/11 তে ৷ আমি খুব রেগে গিয়েছিলাম ৷ স্টেশনে নারী ও শিশুদের সেই মৃত্যুর স্মৃতি এখনও স্পষ্ট মনে পড়ে ৷ আরও স্পষ্ট ভাবে মনে পড়ে ওই (আজমলের) মুখটা ৷ আমি ওই মুখটা কোনওদিনও ভুলতে পারিনি ৷"

দেবিকা তার পোস্টে আরও জানিয়েছে, পুলিশ যখন সাক্ষী হিসেবে তাকে আদালতে পেশ করতে চাইল, বাবা-মা ভীষণ ভয় পেয়েছিলেন ৷ কিন্তু তিনি তখন নিজেই সাহসী পদক্ষেপ নেয় ৷ সে লিখেছে, "আমি ভয় পাইনি ৷ আমি চেয়েছিলেন ওর শাস্তি হোক ৷ আদালতে আমার সামনে চারজনকে আনা হয়েছিল ৷ আমি সঙ্গে সঙ্গে আজমল কাসবকে চিনে নিয়েছিলাম ৷ "

আদালতে সাক্ষ্য দেওয়ার পরে আতঙ্কে তাঁর বাবাকে ফলের দোকানও বন্ধ করে দিতে হয়েছিল ৷ পরিবারের সঙ্গেও সকলে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছিল ৷ পোস্টে দেবিকা বলেছেন, "রাজ্য সরকারের প্রতিশ্রুতি মতো ফ্ল্যাট আজও মেলেনি ৷ কিন্তু আমরা হাল ছাড়িনি ৷ আমরা যা করেছি দেশের জন্য করেছি ৷"

সোশাল মিডিয়ায় দেবিকার ওই পোস্টটি ঝড়ের গতিতে ছড়িয়ে পড়ে নেট দুনিয়ায় ৷ 700-রও বেশি শেয়ার হয়েছে পোস্টটি ৷ সাড়ে তিনশোরও বেশি কমেন্ট হয়েছে ৷ 11 বছর আগে আজকের দিনেই সেই জঙ্গি হামলায় 166 জন নিহত হয়েছিলেন ৷ জখম হয়েছিলেন প্রায় তিনশো ৷ 2012-র 21 নভেম্বর পুণের ইয়েরওয়াড়া জেলে ফাঁসি হয় আজমল কাসভের ৷

Geneva (Switzerland), Nov 26 (ANI): Balochs, Sindhis, Mohajirs, Pashtuns and people from Gilgit-Baltistan protested in Tokyo, Geneva, and Paris, against Pakistan's involvement in the 26/11 Mumbai terror attack. November 26, 2008 was a horrific day in the history of India. Today is the 11th anniversary of 26/11 Mumbai Terror Attack. 2008 Mumbai attacks were a series of terrorist attacks that lasted for 4 days.
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.